কলকাতা
আমার বেশিরভাগ বড়বেলার বন্ধুদের সঙ্গে আমার
সবথেকে বড় অমিল হল যে কলকাতা শহর নিয়ে আমার কোনও নস্ট্যালজিয়া নেই। হয়তো থাকার কথা
ছিল না বলেই নেই। মায়ের অফিস, মামাবাড়ি, কলেজ সবই কলকাতায় ছিল, আর সেই সূত্রে শহরটায়
যাতায়াত ছিল জন্মের প্রায় পর থেকেই, তবু সে রকম ভাবে কোনও টান গড়ে ওঠেনি। কলকাতা
বললে আমার প্রথমেই ধোঁয়া, ধুলো, বাসের হর্ন, থুতু আর রাস্তার পাশে খোলা পাইপের তলায়
স্নানরত পুরুষমহিলার দঙ্গলের কথা মনে পড়ে। অ্যাকাডেমি, নন্দন, ভিক্টোরিয়া, রেড রোড
আসে তার অনেক পরে। আর বীর সাংভি যে কালচার্ড বাঙালির কথা লিখে আপামর কলকাতার মন জয়
করেছেন, যারা এখনও বুর্জোয়া পণ্যবাদের ঝড়ের মুখে বুক চিতিয়ে রবীন্দ্রসংগীত আর
শ্রীজাতর কবিতা নিয়ে রকে বসে বিদগ্ধ আড্ডা চালিয়ে যাচ্ছে, তাদের কথা সত্যি বলছি,
মনেই পড়ে না।
কলকাতাকে তবু এড়ানো যায় না। আমার বাড়ি যাওয়া
মানে এক অর্থে কলকাতাতেই যাওয়া। কারণ বাড়ি গেলেই ডাক্তার দেখাতে হয়, মামাবাড়ি যেতে
হয়, মোবাইলের ব্যাটারি বদলাতে হয়। আর ওসব কিছুই রিষড়ায় করা যায় না।
কাজেই প্রতিদিন সন্ধ্যেবেলা শরীরময় ঘাম আর ঘামে
সাঁটা ধুলোর চাদর নিয়ে, হাক্লান্ত দেহ আর তিতিবিরক্ত মেজাজ নিয়ে বাড়ি ফিরে, “আর
কলকাতা যাচ্ছি না বস্” বলে নাককানমলার পরদিনই সকাল ন’টার সময় দেখা যায় আমি আর মা রিষড়া
স্টেশনে শেওড়াফুলি লোকালের পথ চেয়ে ব্যাজার মুখে দাঁড়িয়ে আছি।
তাই আমাদের সবসময় লক্ষ্য থাকে কলকাতা গেলেই
কাজের ফাঁকে ফাঁকে কিছু অকাজ গুঁজে নেওয়ার, যাতে দুঃখের বোঝাটা একটু কমে। মানে
ধরুন, আমাদের আসল কাজ ডাক্তার দেখানো। কিন্তু আমরা মা মেয়ে ঠিক করলাম যে ডাক্তারখানায়
বসে অপেক্ষা করার সময় আমরা চট করে রাস্তার উল্টোদিকের বাঞ্ছারামের দোকানে গিয়ে
পরোটা খেয়ে আসবো। কিংবা ধরুন আমাদের যেতে হবে মিশন রো-র নোকিয়া সেন্টারে। আমরা আগে
থেকে প্ল্যান করে রাখলাম যে ফোনের ঝামেলা সেরে আমরা আর একটু এগিয়ে এসে টেলিফোন
ভবনের উল্টোদিকের চিনে রেস্টোর্যান্টটায় ঢুঁ মারব। সেই ক’বছর আগে মায়ের অফিস
থাকাকালীন যেমন মারতাম।
এবারেও বিয়েবাড়ির দেড়খানা দিন বাদ দিলে বাকি
সবদিনই আমাদের কলকাতা যেতে হয়েছিল। ডাক্তার বদ্যি, হাসপাতাল, মামাবাড়ি সব এই ক’দিনে
কভার করতে হলে রিষড়ায় বসে সময়নষ্টের বিলাসিতা পোষায় না। আমি আর মা ঠিক করলাম, এই
সুযোগে একদিন আমার জন্য একটা নতুন ফোনও কেনা
হবে।
আমার সেই তিনটি জিনিস কেনার কথা হয়েছিল মনে আছে?
তার মধ্যে ক্যামেরা আর ল্যাপটপ কিনে পয়সা নষ্ট করা হয়ে গেছে, বাকি আছে স্মার্ট
ফোন। স্মার্ট ফোন নিয়ে দ্বিধাটা আমি অনেককষ্টেও কাটাতে পারছিলাম না। কোথায় যেন
পড়েছিলাম, কসমোপলিট্যানেই হবে নিশ্চয়, যে বসের মতো চাকরি পেতে হলে আগে বসের মতো
সাজগোজ করতে হবে। সেই ভেবে আমি ব্ল্যাকবেরি কিনবো বলে মন প্রায় স্থির করেই
ফেলেছিলাম। কিন্তু একটি বিকেলের অভিজ্ঞতা আমার সবকিছু গোলমাল করে দিয়ে গেল।
বাড়ি যাওয়ার সময় আমি আর আমার সঙ্গের বন্ধু
এয়ারপোর্টে অপেক্ষা করছিলাম। অফিস থেকে সোজা আসতে গিয়ে প্লেন ছাড়ার টাইমের অনেক
আগেই পৌঁছে গিয়েছিলাম। আমাদের ঠিক উল্টোদিকে বসেছিলেন এক দম্পতি। দুজনেরই বেশ
কমবয়স। একে অপরের সঙ্গে কথাবার্তা, চাউনির ধরণ দেখে বোঝা যাচ্ছিল, প্রেম এখনও
পুরোদমে বর্তমান। একসময় অপেক্ষা করতে করতে এয়ারপোর্টশুদ্ধু লোক বোরড হয়ে গেল, কেউ
কেউ ল্যাপটপ খুলে বসল, কেউ কেউ হাঁ করে ঘুমোতে লাগল। আমি আর আমার বন্ধু নিচু গলায়
টোয়েন্টি কোয়েশ্চেনস খেলতে শুরু করলাম, আর ঠিক এমনি সময় ওই দুজনের পকেট থেকে দুটি স্মার্টফোন
বেরোলো।
ব্যস। দেখতে দেখতে প্রেমট্রেম সব খড়কুটোর মতো
কোথায় উড়ে গেল। যতক্ষণ না প্লেনের ঘোষণা হল ততক্ষণ দুজনে নিজের নিজের ফোন থেকে
একটি মুহূর্তের জন্যও চোখ তুললেন না, একে অপরকে তো দূর অস্ত, সমগ্র বিশ্বচরাচর
বিস্মৃত হয়ে ফোনে খটাখট টাইপ করে চললেন। ফোনের দিকে তাকিয়ে তাকিয়েই তাঁদের মুখে
কখনও হাসি ফুটে উঠল, কখনও ভুরু কোঁচকালো, আবার কখনও ঠোঁট বেঁকে গেল। ফোনের সঙ্গেই
তখন তাঁদের সব কথাবার্তা, হাসিঠাট্টা, রাগঅভিমান।
বাড়ি গিয়ে মা’কে আমার স্মার্টফোন কেনার আইডিয়া
আর সঙ্গে সঙ্গে এই ঘটনাটার কথাও বলতে মা একেবারে আঁতকে উঠলেন। বললেন, “খেপেছিস
সোনা? যেচে ওই মরণের ওষুধ কেউ কানে বাঁধে? ইন্টারনেটের জেলখানার বাইরে যেটুকু জীবন
পড়ে আছে, সেটুকু বুঝি তোর সহ্য হচ্ছে না?”
সহ্য হচ্ছে খুবই, কাজেই আমি স্থির করলাম যে স্মার্টফোন মাথায় থাক, একটা ফোনের মতো ফোন হলেই আমার চলবে। ওপারের লোক আমার কথা স্পষ্ট শুনতে পাবে, আমি ওপারের লোকের কথা স্পষ্ট শুনতে পাব, সকালে মর্নিংওয়াকের সময় ইয়ো ইয়ো হানি সিং-এর বিটের গান শোনা যাবে---সেই রকম ফোন হলেই যথেষ্ট।
সেই মতো আমরা নোকিয়া সেন্টারে গিয়ে আমার এখনকার
ফোনটার থেকেও সস্তা আরেকটা ফোন কিনলাম। ফোন কিনে, ফোনের ঢাকনা কিনে,
দোকানদারের সঙ্গে রাজ্যের খোশগল্প করে, ফের রাস্তায় বেরোতে বেরোতে মা মেয়ে দুজনেরই
জব্বর খিদে পেয়ে গেল। মা বললেন,
“এই রোদে আবার টেলিফোন ভবন পর্যন্ত হাঁটবি সোনা?”
আমি মুখব্যাদান করে বললাম,
“সেই। ধুর, ছেড়ে দাও। চল এখান থেকেই কিছু খেয়ে
নিই।”
যেখানে দাঁড়িয়ে আমাদের এইসব শলাপরামর্শ হচ্ছিল,
ঠিক তার পাশেই ফুটপাথে ত্রিপলের তলায় একটা শিঙাড়া জিলিপির দোকান ছিল। আরও নানারকম
জিনিস ছিল দোকানটায়। ছোট ছোট গোল গোল খাস্তাকচুরি, ঝুরিভাজা, কাঠিভাজা, সেউভাজা,
বাদামভাজা, ভাজা কড়াইশুঁটি, বাদামচাক। ত্রিপলের তলায় একজন ভালোমানুষ দেখতে প্রৌঢ়
ভদ্রলোক ফর্সা জামাকাপড় পরে বসেছিলেন আর বাদামভাজার বস্তার ওপর রাখা একটা ধুপধুনো
ঠাসা মাটির ঘটি থেকে সুগন্ধি ধোঁয়া বেরোচ্ছিল।
এই পর্যন্ত শুনে বান্টি দাঁত বার করে বলল, “বুঝেছি
তোমাদের লাইমলাইট পর্যন্ত হাঁটতে হঠাৎ অত কষ্ট হল কেন।”
সে নিন্দুকেরা যা খুশি বলে বলুক, আমি আর মা ওই
ফুটপাথে দাঁড়িয়েই একশোগ্রাম গরমগরম জিলিপি আর দুখানা শিঙাড়া দিয়ে লাঞ্চ সারলাম।
লাঞ্চের পর পাশের ফলওয়ালার কাছ থেকে ঘন সবুজ ডাঁশা পেয়ারা ডেজার্ট হিসেবে কিনে
খাওয়া হল। আর আমরা যতক্ষণ এইসব করলাম, আমাদের পাশে কার একটা পোষা পাঁঠা রেলিং-এর
সঙ্গে দড়িবাঁধা অবস্থায় দাঁড়িয়েদাঁড়িয়ে শালপাতার ঠোঙা চিবিয়ে গেল।
আর তক্ষুনি, ওই মুহূর্তটাতে, আমার হঠাৎ কলকাতাকে
ভীষণ ভালো লাগল। কারণ আমি বুঝতে পারলাম, পৃথিবীর যেখানেই থাকি না কেন, আমার
প্রিয়তম মানুষের সঙ্গে খোলা আকাশের নিচে রামছাগলের পাশে দাঁড়িয়ে জিলিপি খেতে হলে
আমাকে এই শহরটাতেই ফিরে আসতে হবে। বারবার।
সেদিন আর বাড়ি ফিরে আসতে অত কষ্ট হয়নি জানেন।
ট্যাক্সিওয়ালার অসৌজন্য গায়েই মাখিনি। হাওড়া স্টেশনে লেডিস টিকিট কাউন্টারের
সামনে পাঁচমাইল লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার সময় যখন ঠাকুমামাসিমারা অম্লানবদনে লাইন
ভেঙে আমার সামনে ঢুকে পড়ছিলেন, “আহা বয়স্ক মানুষ” বলে ক্ষমা করে দিতে একটুও রাগ
হয়নি। মায়ের হাত শক্ত করে ধরে দৌড়ে বাকি সবাইকে হারিয়ে দিয়ে তারকেশ্বর লোকালে উঠে
জানালার পাশের সিট দখল করে বসার সময়ও নিজের জীবনটার প্রতি বিন্দুমাত্র করুণা অনুভব
করিনি।
বরং একটু পরে মা’কে দিয়ে একপ্যাকেট আদা-গোলমরিচ
লজেন্স কিনিয়ে তারই একটা মুখে পুরে ছুটন্ত জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে নিজেকে খুব
সুখী মনে হচ্ছিল।
এই তো বেশ। সত্যিই তো এর বেশি কিছু চাই না আমার।
Kolkata ke sesh porjonto bhalo je legechhe ei bhalo, e amar boro priyo sohor.Rabindrasangeet, Academy, Nandan, College street, Natinal library, zoo, gariahat, new market ,city center etc etc ebong somosto chnachnamichi, moila, nogra, dhulo-bali, chhagol, goru sob kichhu niei. sudhu majhe majhe mone hoi ektu jodi amader common sense ta thik hoto, oi nijer sahor nije nogra na korar byapare. tobu eisob niei kintu eta amar khub khub priyo sohor, karur 'kolkata' bhalo lagchhena jante parlei kirakom asohai lage (jani jodio okaron , tobu ) .
ReplyDeleteও, বুঝেছি আপনিও আমার কলকাতাপ্রেমী বন্ধুদের মতন। কলকাতার নামে খারাপ কথা সইতে পারেন না। এরকম ভালোবাসার জিনিস অবশ্য থাকা ভালো, না হলে কিছুর ওপরেই টান থাকে না।
Deleteei sohor jane amar prothom sob kichhu/palate chai joto se ashe amar pichhu pichhu...
ReplyDeleteগানটা সত্যি বড় ভালো।
DeleteBhishon shundor, amio jachhi shingara, jilipi ar aankher rosh khete. Tomar lekha ta pore kalke jawar utsaho ta aro bere gelo. Thank you!
ReplyDeleteএসো এসো শিগগিরি এসো রাকা! এসে প্রাণভরে নোংরা ফুচকা আর ঝালঝাল আলুকাবলি খাও, এই আশীর্বাদ করি।
Deleteএই ব্যাপারে আমার কিছু বলা সাজে না, কারণ আমি কলকাতাতে শুধু কয়েকবার বেড়াতে গিয়েছি। তবে ফুটপাথে দাঁড়িয়ে জিলিপিফুচকা খাবার ইচ্ছে হলে চাঁদনি চক খারাপ নয় কিন্তু। গত শনিবার আমরা কয়েক বন্ধু মিলে গিয়েছিলাম, হাফ-ডে আউটিং। জিলিপি, চাট, টিক্কি, ফালুদা, ছোলে ভাটুরে, ছোলে কুলচে, পরোটা, রাবড়ি... মানে ধুন্ধুমার। মাকে নেমন্তন্ন করার আগে নিজে একবার সরেজমিনে তদন্ত করে আসতে পারেন, ঠকবেন বলে মনে হয় না।
ReplyDeleteবলছেন? ওকে, যাব তাহলে।
Delete১) এটাই কলকাতার আসল মজা। দেখার চোখ থাকা চাই। আপাতদৃষ্টিতে এই ম্যাজিকটা চোখে পড়ে না, মনে হয় আরেকটা পিছিয়ে পড়া গড়পরতা শহর। কিন্তু ঐ, দেখার চোখ থাকলে কলকাতা ভোলা অসম্ভব।
ReplyDelete২) ইয়ো ইয়ো হানি সিং কী গান?
৩) এটা লিখেছি চব্বিশ ঘণ্টাও হয়নি -
http://ovshake.blogspot.in/2013/02/its-february-again.html
১. হুম, তাই তো দেখছি।
Delete২. গান নয়, ওটা গায়কের নাম। সে সাংঘাতিক ব্যাপার। প্রায় কলকাতার মতই। একবার দেখলে আর চাইলেও ভুলতে পারবে না।
৩. পড়েছি লেখাটা। গ্রেট মাইন্ডস আরও একবার প্রমাণিত হল।
... brishti bheja, kada patch patch, college street
ReplyDelete... maidan to alipur tram shofor
... christmas er 2-3 din aager park street
... dugga pujo -sokal bikel dupur raat- jekono goli/chourasta
... sharadin jhir jhir jhom jhom kolkata style non stop brishti
... boimela!
aar likhbo na mon kemon korche :/
তুমি আমার মতোই দেখছি পরমা। বৃষ্টি আর ট্রাম ভালোবাসো। মনখারাপ কোরো না।
Deletekolkatai ek matro shohor jekhane
ReplyDelete1. korean restoran arthat "hole in the wall" er naam tirupati palace. bhetore giye dekhle ekdike dakkhini thakur er photo samne dhoop, anyadike khumchi, lamiyen and the works.
2. prochondo kayadar beauty parlour/hairdressing saloon jekhane saat din agey appointment nite hoy...parlour er malik o bishaal kaydar, accented engrazi te katha bolchey, gender tao ektu ?.....kintu sheshmesh dekha gelo eto kaydadurosto loker naam "pintu"
ঘুম থেকে উঠেই তোমার তিরুপতি প্যালেস! দিনটা ভালো যাবে মনে হচ্ছে শম্পা।
Deleteআমি যে এরকম কত অদ্ভুত পিন্টু দেখেছি কী বলব। পাঁচ থেকে পঁচাশি, নানা বয়সের, সাইজের, আকৃতির পিন্টু। বাঙালি পিন্টু নামটা সত্যি ভালোবাসে।
Gariahatar mor mini mini bus bus.......shob amaderi jonne,amaderi jonne.......thank you Abantar ...amar shei purono,dhulomakha,Kintu praner thekeo priyo shohortake abar moner kachakachi ene debar jonne.
ReplyDeleteআহা সবাই কী ভালোভালো গানের কথা মনে পড়িয়ে দিচ্ছে। ওটা আমার ফেএএএএভারিট গান রণিতা।
Deleteআদ্ধেক মিল, আদ্ধেক অমিল। কলকাতাকে ছোটবেলা থেকে হতচ্ছেদ্দা করে এসেছি, কিন্তু গত দশ-এগারো বছরে অনুভূতি উল্টোবাগে দৌড় দিয়েছে।
ReplyDeleteস্মার্ট-ফোন অতি খারাপ বস্তু। একশোবার।
Smartphone kharap bostu bolo na baba! Oti dorkari bostu, oi diyei kore khachhi!
Deleteবেশ চাপের একখান বই পড়ছেন দেখছি...
ReplyDeleteসেই জন্যই তো কিনতে গিয়েও কিনলাম না সুনন্দ। বইটা যেমন চাপের, তেমন ভালো।
DeleteAmar baba ma, 2 side er family tei 4 purush dhore Kolkata-y bash, tai ami ekebare "Calcatian" bolte paro, Robi Ghosh er bhashay. Vir Sanghvi je Kolkata bashir katha likheche, tara kintu rock e adda daye na, ar rock jinishta uthe geche 50bochhor age. Ami je Kolkata ke chini, ba ekhono gele khojar cheshta kori, tate ache abhijato cultured families, adda, gariahat e bondhu der sange ghora, bhut er sange barir ultodike phuchka khaoya, boi mela (maidan er ta), eden er cricket match, hotat ekdin dupure kakun er sange Netaji bhaban e dhu mara kimba ma r sange bina karone ganga-y launch chora ar Job Charnock er samadhi dekha. Ebaro giye Arnab er sange New Market ar tar ashe pashe ghure beriyechi. South city mall er theke Kolkata r rasta ekhono onek onek bhalo!!!
ReplyDeleteKolkata r sange prithibir kichur tulona hoy???
Smart phone ektuo Kharap bostu noi! Amar abantor porai hotona noile!!
ReplyDeleteওরে বাবা রুচিরা, না না তাহলে স্মার্ট ফোন সত্যিই খুব স্মার্ট জিনিস।
Deleteকলকাতা নিয়ে নস্ট্যালজিয়া না থাকার ব্যাপারটায় আমার আর আপনার অদ্ভুত মিল। মুশকিল হলো, যেহেতু আমি প্রবাসে মানুষ, আর বড় হয়েও বাইরে থেকেছি, আমায় বরাবরই লোকের কাছে পরিচয় দিতে গিয়ে নিজেকে কলকাতার লোক বলতে হয়, কারণ হুগলিটা লোকে চেনেনা (অর্ধেক লোক বলে জানিনা, আর বাকিদের মধ্যে অর্ধেক বলে "জানি, হুবলী অন্ধ্র প্রদেশে।" আর বাকি অর্ধেক বলে "ওটা তো একটা নদী।") আমার কলেজ ছিল সল্ট লেকে, যেটাকে কলকাতা বললে কলকাতার লোকেরা রেগে যায়। তখনও কলকাতায় খুব কমই যেতাম, কারণ অত্যধিক ভিড় আর পল্যুশন আমার কোনদিনই ভালো লাগেনা। এখন তো কলকাতায় যাওয়া টা রীতিমত "ordeal" হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে জিলিপির কথা শুনে মনটা টনটন করে উঠলো ... আমার বড় প্রিয় জিনিস, বহুদিন খাইনি।
ReplyDeleteOrdeal-টা এক্কেবারে ঠিক শব্দ বলেছেন সুগত। কলকাতার লোকেরা যে কীসে রাগে আর কীসে রাগে না, সে আমি আজ পর্যন্ত বুঝতে পারলাম না।
Deletekaal khuje peyechi Abantor.ki je neshar moto porchi ki bolbo.aaj ar amar bor ese lunch pabena.ei lekhatao khub bhalo laglo.ami ektu boro mane class seven theke kolkatar basinda.konodin serokom bhabe kolkatapremi chilam na ar amar babao bolten bangalira kolkatar bairei bhalo hoy beshi..esob niyei ektu kom I maya chilo.kintu janina boyos barche monta Kolkata-Kolkata kore tobe seta barir jonnyo na Kolkatar jonnyo bujhte parina.
ReplyDelete