সিরিয়াল মোনোগ্যামিস্ট #৬-ভালোবাসা। দেখাবার না লুকোবার?



প্রেম কীসে হয়, কীসে টেঁকে, কীসে ভাঙে সে নিয়ে বাজারে কম থিওরি নেই। কেন এত থিওরি আছে সেটা নিয়ে আমার অবশ্য আরেকটা থিওরি আছে। যতই মনের মিল, টেম্পারামেন্ট, প্রিয়কবি ইত্যাদি দেখেশুনে বাছাবাছি করা হোক না কেন, আসলে তো ব্যাপারটা একটা পর্বতপ্রমাণ জুয়া। মানি আর না মানি, জানি আর না জানি। বেশিরভাগ লোকেই অবশ্য আন্দাজ করতে পারেন এবং পেরে শঙ্কিত হয়ে থাকেন। থিওরিগুলো তখন শঙ্কার মুখে খড়কুটোর কাজ দেয়।

একটা অপ্রাসঙ্গিক কথা বলি, লোকে কী দেখে প্রেম বাছে (লোকের মধ্যে আমিও পড়ি, যদিও এটা আমার গল্প নয়) সে দেখলে সত্যি বলছি পিলে চমকে যায়। আমার এক স্নেহের পাত্রের একটি মেয়েকে খুব মনে ধরেছিল। ক’দিন ঝড়ের মতো মেসেজ-চ্যাট চলার পর দেখি হঠাৎ সব চুপচাপ। আমি বললাম, “কী রে? কী হল? হাল ছাড়লি নাকি?” তাতে সে ছোকরা বলে, “ছাড়ব কি গো, পালিয়ে বেঁচেছি। যে মেয়ে চে গুয়েভারার নাম জানেনা, তার সাথে প্রেম করব? আমি?”

গল্পের নীতিকথা একটাই, যারা প্রেমের খোঁজে আছেন তাঁরা উইকিপিডিয়া খুলে চে-র জীবনীটা ঝালিয়ে নিন। কখন কোথায় কাজে লাগবে বলা যায় না।

আজকের সিরিয়াল মোনোগ্যামিস্ট মেয়েটির সমস্যা/প্রেমটার শুরু হয়েছিল এরকম একটা থিওরি দিয়ে। মেয়েটি শান্ত, ছেলেটি দুর্দান্ত। মেয়েটি স্কুলের স্পোর্টসে গুলিচামচে থার্ড প্রাইজ, ছেলেটি রাজ্যস্তরে পিং পং চ্যাম্পিয়ন। মেয়ের বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না, ছেলে প্রিন্সিপ্যালের হুবহু নকল করে পার্টিশুদ্ধু লোকের পেটে খিল ধরায়।

বায়োলজির নিয়ম মেনে একদিন এদের দুজনের চারচক্ষু এক হল। সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ে বলল, “আরে জানিস না অপোজিটস অ্যাট্রাক্ট? এ জুটি স্বর্গে অর্ডার দিয়ে তৈরি। লেগে পড়।”

প্রেম শুরু হয়ে গেল। সমস্ত অমিল ঝড়ের মুখে ছেঁড়া প্লাস্টিকের মতো উড়ে গেল।

যতদিন না ফেসবুকের ব্যাপারটা শুরু হচ্ছিল।

সমস্যাঃ

প্রেমিক প্রেমিকার দুজনেরই ফেসবুকের অ্যাকাউন্ট ছিল শুরু থেকেই। কিন্তু সেখানেও মিল ওর বেশি গড়ায়নি। মেয়েটি অ্যাকাউন্ট খুলেছিল, সবাই খোলে, তাই। মাঝে মাঝে গিয়ে এদিক ওদিক দেখা, পুরোনো বন্ধুদের খুঁজে পেলে হাই হ্যালো, তোর ছানাটা কী মিষ্টি...ব্যস। আর এদিকে ছেলেটি ফেসবুকে খায়, ঘুমোয়, বাঁচে, ছবি টাঙায়। সে টাঙানো নিয়ে মেয়েটির কোনো আপত্তি ছিল না। হাজার হোক পার্সোনাল স্পেস।

তারপর ছেলেটি ওদের যুগলছবি আপলোড করা শুরু করল। মেয়েটি বিব্রত হয়ে বলল, থাক না, আমাদের ছবি আমরাই দেখব’খন। ছেলেটি ওর গালে ভীষণ ভালোবেসে একটা চুমু খেয়ে বলল, সেকি হয়? আমার এমন সুন্দর প্রেমিকা, লোকের হিংসে না হলে চলবে কী করে। মেয়েটি গলে গেল।

তারপর ছবির সংখ্যা ক্রমাগত বেড়ে চলল, ছবির নিচে লাইক আর বন্ধুদের মন্তব্যের বান ডাকল, ছেলেটি সমস্ত মন্তব্যের গদগদ উত্তর দিতে লাগল, আর মেয়েটি সংকোচে অল্প অল্প মরে যেতে থাকল। আরও ক’বার বারণ করল মেয়েটি, ছেলেটি হয় শুনল না, কিংবা বলল, “তোমার সবেতে বাড়াবাড়ি, বাকি সবাইও তো করে।”

মেয়েটার শেষ যে ছবিটা আপলোড করেছে ছেলেটা ফেসবুকে, তার পাশে লেখা “আমার মিত্তি গার্লফ্রেন্ড”। মেয়েটি এতটাই বীতশ্রদ্ধ যে বিষয়টা নিয়ে ওর আর কথা বলতেও ইচ্ছে করছেনা।

খালি মনে হচ্ছে, বড় বেশি অন্যরকম লোকের সাথে প্রেম করে ফেলেছে ও। ভুলই হয়েছে বোধহয়।

কুন্তলার মতেঃ

একটাই সমাধান, ছেলেটিকে সোজাসুজি বলা যে এসব চলবে না। হুমকি দিয়ে নয়, বাবা বাছা বলে নয়। হাসিমুখে বুঝিয়ে দাও যে তোমার ছবি কে কোথায় টাঙাবে সে সম্পর্কে তোমার কথাই শেষ কথা। এর সাথে কে কাকে কত ভালোবাসে তার কোনো সম্পর্ক নেই। ভালোবাসলে তার পছন্দ অপছন্দ রক্ষা করার দায়ও নিতে হয়, যেটা এখানে ছেলেটা স্পষ্টতই নিচ্ছে না।

ভুল ঠিকের ব্যাপারটায় বলি, এর থেকেও গুরুতর অমিল থাকে প্রেমিকপ্রেমিকার মধ্যে। কেউ পোষা কুকুরবেড়াল ছাড়া থাকতে পারেনা, কেউ বোনাফাইড অ্যানিমাল হেটার হয়। কেউ জয়েন্ট ফ্যামিলি থেকে আসে, কারো বাড়িতে একসাথে তিনের বেশি মানুষ থাকলে অ্যাজমা অ্যাটাক হয়। কেউ পি.সি. ব্যবহার করে, কেউ ম্যাক। তবু তারা আলাপআলোচনা করে বা না করেই একসাথে থাকার একটা উপায় বার করে। তোমাদের পার্থক্যটা হচ্ছে প্রেম করার স্টাইলের পার্থক্য। মিল থাকলে ভালো হত, নেই যখন একটা সম্মানজনক রফায় আসতে হবে।

সে রফায় যদি না আসা যায় তাহলে অবশ্য ভাবার ব্যাপার আছে। কিন্তু সেটা পরের কথা।

Comments

  1. :) bah ,topic ta amar besh mone dhareche....kal akta natun site er sandhan pelam....facebook detox...sekhane facebook er kufal nie anaek uchit katha lekha ...

    ReplyDelete
    Replies
    1. মনে ধরেছে? গুড গুড। সাইট-টা দেখব তো।

      Delete
  2. ১ এটা সিরিয়স ব্যাপার। মানে, লোকে যতটা সিরিয়স ভাবে তার থেকে সম্ভবতঃ বেশি সিরিয়স। মতের অমিল বেশি থাকলে সম্পর্কে ভাঙন ধরতে বাধ্য, কারণ শারীরিক আকর্ষণ একটা স্তরের পর কমে যায়, আর যে বয়সের কথা বলছিস্‌ তাতে মারাত্মক মানসিক ম্যাচিওরিটি আসেনা।
    ২ বেড়াল প্রথম রাত্রেই মারতে হয়।
    ৩ লোকে কোনো কারণে ধরে নেয় ৯৯% লোকে যা করে, বাকি ১%-এরও তাইই করা উচিত।
    ৪ আমি এমন লোককে খুব ঘনিষ্ঠভাবে (বলা উচিত, হাড়ে-হাড়ে) চিনি, যার জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য হল ফেসবূকে ছবি আপলোড করা, এবং তার "লাইক" আর কমেন্টের আশায় হাপিত্যেশ করে বসে থাকা।

    ReplyDelete
    Replies
    1. অ্যাবসলিউটলি। বাকি সবকিছুর মিল যখন ফুরোয় তখন মনের মিলটাই একমাত্র কাজে লাগে। অপোজিটস অ্যাট্রাক্ট কার কার খেটেছে জানিনা, আমার ক্ষেত্রে বিধ্বংসী চেহারা নিয়েছে।

      Delete
  3. এই ছেলে কে বোঝানো একটু চাপ আছে . মেয়েটিকে ও "লাজুক" ভেবে নিয়েছে . তাই যা বলতে যাবে সেইটা এইভাবে ডিফাইন্ড হবে যে মেয়েটা প্রকাশ্যে সম্পর্কের কথা বলতে লজ্জা পায়. যেটা সত্যি নয় .
    খুব স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেওয়া উচিত এতে লজ্জার কিছু নেই কিন্তু রুচির ব্যাপার . গার্লফ্রেন্ড এর ছবি ঘনঘন আপলোড করা , মন্তব্য করা এগুলো আদেখলাপনা / ইমম্যাচিওর ব্যাপার .

    "ইমম্যাচিওর" ইস আ ওয়ার্ড যেটা ছেলেদের হিট করে . কোনো ঝগড়া না করে স্পষ্ট ভাবে এটুকু বুঝিয়ে দিলে শুধরে যাবে.

    ReplyDelete
    Replies
    1. একেবারে একমত অলর্ক। মেয়েটিকে শক্ত হাতে এটা সমূলে বিনাশ করতে হবে।

      ওহ আর "ইমম্যাচিওর" টিপসটার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। তূণে তীর ভরে নিলাম, সময় মতো নিক্ষেপ করা যাবে। থ্যাঙ্ক ইউ।

      Delete
  4. আজকের এই পোস্ট পড়ার কিছু পরেই 'রোববার'এর গোঁসাইবাগানে পড়লাম, জয় গোস্বামী বুদ্ধদেব বসুকে কোট করেছেন। সেটা পড়ে এই লেখার কথাই মনে পড়ে, কিন্তু এই এতক্ষণে লেখার সময় পেলাম... পুরোটাই তুলে দিচ্ছি--
    "...মৌল দৃষ্টিভঙ্গির অনৈক্য থাকলে ব্যক্তিগত বিচ্ছেদও অনিবার্য। দু'জন মানুষের সম্বন্ধ যদি এমন হয়, যেখানে একজনের সাধনা অন্যের উপহাসের বিষয় এবং একের অবিশেয়াস অন্যের জীবন্সম্বল, সেখানে যে কি করে মিলন সম্ভব আমি ভেবে পাই না- যদি না মাতা-পুত্র কিংবা স্বামী-স্তীর মতো গভীর স্বার্থজড়িত কোনও সম্বন্ধ থাকে। এমনকি দাম্পত্যের মতো অন্তরঙ্গ আত্মীয়তার ক্ষেত্রেও এরকম বৈষম্য গভীর ব্যবধানের সৃষ্টি করে, তাতে সন্দেহ নেই...... ভদ্রতাজনিত আপোশ অনেকদূর পর্যন্ত চলে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত চলে না..."
    গালভরা হয়ে গেল জানি, কিন্তু কি করি? এই ভদ্রলোকের বাংলা আমার পক্ষে পালটানো খুব কঠিন... :(

    ReplyDelete
    Replies
    1. না না সুনন্দ, গালভরায় আমাদের আপত্তি কিছু নেই তো, যদি তার ভেতরের মানেটা সরল হয়। আর এখানে মানেটা একেবারে জলের মতো স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। স্বামীস্ত্রীর মধ্যে ভদ্রতা ব্যাপারটা শুধু অসম্ভবই নয়, সাঙ্ঘাতিক। আমার মা একটা কথা বলেন, হয়তো ভুলই বলেন জানিনা, কিন্তু যাই হোক...মা বিশ্বাস করেন যেসব স্বামীস্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়না তারা একে অপরের সাথে অভিনয় করছে। ভদ্রতার অভিনয়। মা শিউরে উঠে বলেন, ওর থেকে মারামারিও ভালো।

      Delete
    2. ভয়ানক তাড়ায় আর একবারও খেয়াল করিনি, এখন "অবিশেয়াস অন্যের জীবন্সম্বল" আর "স্বামী-স্তী" দেখে বেজায় হাসছি নিজেই... :D

      Delete
    3. আরে নো প্রবলেম।

      Delete
  5. haey re, Che Guevara er sombondhye khub besi na janar pholei hoyto prem hoche na akhono :P. ebar dekhchi wikipedia ta dekhtei hoche :D. meye tir somosyay asha jak. facebook e chobi upload kora ta jemni dosh er noy, temni je kono ekjon er mot na thakle taar chobi lagano ta thik noy. ajkal jano facebook e pda korar jonnoi prem korte hobe, erom ekta trend dekha diche! sutorang ami tomar mot er sathei ekmot.

    ReplyDelete
    Replies
    1. করেছ কী আত্রেয়ী? এক্ষুনি চে-র চ্যাপ্টারটা দুলে দুলে ঠোঁটস্থ করে ফেল দেখি।

      ফেসবুকে PDA? এ তো নতুন কথা শুনলাম গো আত্রেয়ী। তবে না হওয়ার কোনো কারণ নেই। যাই হোক, তোমার মন্তব্য থেকে একটা নতুন জিনিস শেখা গেল, মেনি মেনি থ্যাংকস।

      Delete
    2. কোন্‌ যুগে পড়ে আছিস্‌? মানুষ বাস্তবে সুখী হোক্‌ না হোক্‌, ফেসবূকে সুখী দেখানোটা এখন প্রায় বাধ্যতামূলক।

      Delete
    3. আমি যে যুগে পড়ে আছি, সেটা এ যুগের থেকে সুবিধের মনে হচ্ছে।

      Delete
  6. ফেসবুকে PDA, বা FDA বেশ বিরক্তিকর ব্যাপার হয়ে দাঁড়াচ্ছে ক্রমশ | মানে আমি এমন মানুষকে চিনি যে শুধু গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে ছবি লাগিয়েই ক্ষান্ত হবেনা, সেই সঙ্গে ফেসবুকের বাইরে, মানে ফোন, চ্যাট বা ই-মেলে বন্ধুদের ডেকে ডেকে বলবে যে দেখ, আর কমেন্ট কর| জিজ্ঞাসা কর, "মেয়েটা কে বস?" বন্ধু জিজ্ঞাসা করলে তারপর সে রহস্য করে একটা কিছু জবাব দেবে| ব্যাপারটা শুধু গার্লফ্রেন্ডের ক্ষেত্রে না, সব ক্ষেত্রেই করে থাকে এরা| তবে গার্লফ্রেন্ডের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা এক্সট্রা-বিরক্তিকর কারণ আরেকজন মানুষের পছন্দ-অপছন্দ অগ্রাহ্য করে করা হচ্ছে কাজটা| কড়া ভাবে আপত্তি কড়া ছাড়া উপায় নেই|
    Opposites attract যারা বলতে আসে তাদের বলে দেবেন ফিসিক্সের ফান্ডা এখানে না লাগানোই ভাল| আমি চেষ্টা করে দেখেছি, opposite মানুষের সঙ্গে জীবন কাটানো মোটেই সুখের নয়| যারা ভাবে যে তারা কাটাচ্ছে, তারা আসলে কোনো মূল জায়গায় ভীষণ একরকম তাই কাটাচ্ছে| সত্যি সত্যি opposite হলে আর দেখতে হতনা!

    ReplyDelete
    Replies
    1. হোয়াট! এরকম নাটক করে নাকি লোকজন? এ কি সাসপেন্স সিনেমা নাকি?

      আপনার সাথে একেবারে একমত সুগত। গোড়ায় মিল না থাকলে পুরোটাই গলদ হতে বাধ্য।

      Delete
    2. হ্যাঁ, লোকে এইধরনের নাটক করে, বিশ্বাস কর্‌।

      Delete
    3. Biyer byapare kichu basic mil na thakle mushkil. Seta sotyi katha. Similar bringing up, similar background, egulo khubi dorkari. Sotyi, physics er funda na laganoi bhalo..amra to ar positive ar negatively charged particle na :D

      Delete
    4. হাহা, যা বলেছ রিয়া।

      Delete
  7. Amar mote bhalobasata onektai adjustment..mane eksathe thaka manei je dujon er motamot ek hobe tar to kono mane nei...amar mote kichu ami mene ni r kichu onyojon mene nik....byas somoshya somadhan,r nehat jodi mante na pari tahole bolei dao amar dara hobena boss...hehe..ekjon er kotha sunle jodi dujon e khushi thakte pari tahole khoti kothay...oboshyoi ekdom ultopalta kichu na holei holo.... konorokom bhodrota r proshnoi aslona...bhodrota korte jodi hoy bapu ofc er boss er sathe koro neighbour er sathe koro....kintu nijer loker sathe noy....

    ReplyDelete
    Replies
    1. একমত এবং একমত রাখী।

      Delete
  8. Koyekta jinish mone rakhbar - Saradindu'r bhashay mental, physical ar intellectual mil na holey kono relation perfect hoy na. Kintu imperfect relationship niyei prithibir 99.99% manush hashimukhe songsar korche. Kichu somoy jemon mone hoy manusher independence esheche tar partner bechhe neyar, eta khub bhalo abar temni mone hoy manush ajkal boddo beshi barabari korche. Amader ager generation e jeshob niye keu konodin matha ghamato na, ajkal seguloi "break up" er boro karon hoye dariyeche. Tar mane ki ei je amader ager generation e omil chhilo na? Onek beshii chhilo, kintu loke adjust korte janto. "Breaking up" wasn't an acceptable solution. Ami thik ja ja jani, seo exactly segulo janbe, tahole to ar keu kichhu shikhbe na. Che'r nam jane na tomar girlfriend? Bhalo, tumi Che'r katha bujhiye dao takey. Abar tumio to onek kichu jano na ja tomar girlfriend jane! Ei niyei to moja, etai to ananda shekhbar.
    Ei couple er byapare ashi - dujon kei kichhuta kore chhar ditey hobe. Chheletir etto etto chhobi upload kora uchit na. Kothao berate-terate gelo to bhalo dekhe ekta chhobi dilo seta thik ache, kintu "ei dekho amra cha khachi", "ei amader notun chhata", erokom chhobi deya tar uchit noy. Meyetir oke politely but firmly janano uchit. Abar on the other hand, meyetir o erokom "goyar gobindo" hoyar kono mane nei. Diloi ba jodi kota chhobi to or oshubidhe ta kothay? Ki hobe jodi ar 5ta beshi lok or chhobi dekhe? Normal ghurche-berachhe-khachhe-dachhe sei chhobi te to privacy noshto hoyar o to kono scope nei.Ar ekhon sodyo sodyo bhab hoyeche chheleta oto shokh kore girl friend er chhobi diche, jokhon biye hoye jabe tokhon rojkar bajar kore ar machher dor kore se tar bou er chhobi upload korbe na. Eta ekta temporary byapar. Oto serious kichu na.

    ReplyDelete
    Replies
    1. বুঝেছি রিয়া, তোমার মধ্যপন্থা পছন্দ তাই তো? সেটা মেকস সেন্স।

      Delete
    2. Ha, Buddhadeb bolechilen modhyopantha abalamban korte :)

      Delete
  9. Er ekta sahoj solution achhe. Chhobi tolar mato prosongo uthlei, meyeti khub gombheer mukh kore bolbe amar chhobi tulbe na! jakhon chheleti jhulo jhuli korbe (jodi kore), takhon bolbe thik achhe tulte paro jodi facebook-e na lagao. Tate apotti korle athoba jor kore chhobi tulle besh kichhukkhon silent treatment! dudine chhobi laganor bhut palie jabe!

    ReplyDelete
    Replies
    1. হ্যাঁ রুচিরা আমিও সেটা ভাবছিলাম। ছবি তোলার সময়েই রুখলে কেমন হয়।

      আর সাইলেন্ট ট্রিটমেন্ট যুগ যুগ জিও। ওটা না থাকলে যে কোথায় যেতাম কে জানে।

      Delete

Post a Comment