মিথ্যুক
মিথ্যেবাদীদের প্রতি আমার মনোভাব কী সেটা আমাকে যারা চেনেন তাঁরা জানেন। আমি নিজে মিথ্যে কথা বলতে ভালোবাসি, ডাইনে বাঁয়ে বলে থাকি এবং কেন সবাই মিথ্যে বলার প্রতি এরকম খড়গহস্ত হয়ে থাকে সেটা ভেবে থই পাই না। কিন্তু আমি জন্ম-মিডিওকার, মিথ্যে বলাতেও সরেস হতে পারিনি। আমার মিথ্যে কথাগুলো সব ওই দরজায় চাবি ঘোরাতে ঘোরাতে মোবাইল ফোন তুলে “আরে ভীষণ জ্যাম, পৌঁছতে লেট হবে” কিংবা আগাপাশতলা সুর-তাল-লয়হীন গান শুনে সিরিয়াস মুখে “ফাটিয়ে দিয়েছেন” গোছের। ব্যস। মিথ্যে বলাটাকে আর্টের পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারিনি আমি। আর্টিস্ট নই বলেই বোধহয়। সেটা যারা পেরেছেন আমি তাঁদের শ্রদ্ধা করি। ইন ফ্যাক্ট ফেসবুকে যারা নিজেদের প্রিয় কোটেশনের জায়গায় “অনেস্টি ইস দ্য বেস্ট পলিসি” বা “সত্যের জন্য সবকিছুকে ত্যাগ করা যায়” লিখে রাখেন তাঁরাও করেন। কারণ তাঁদেরই প্রিয় বইয়ের লিস্টে দেখবেন থরে থরে ঘনাদা, টেনিদা, জোজো সাজিয়ে রাখা আছে। রাখাই উচিত। সন্তুর থেকে জোজো হাজারগুণ ভালো আর লক্ষগুণ ইন্টারেস্টিং। সত্যি কথা বলতে কি জোজো না থাকলে কাকাবাবুর ক’টা গল্প আমি পুরোটা বসে পড়তে পারতাম আমার সন্দেহ আছে। কিন্তু ...