ইটিং আউট


আমার ছোটবেলায় বাইরে খাওয়াটা একটা ব্যাপার ছিল। ইন ফ্যাক্ট, লায়েক হওয়ার আগে (অর্থাৎ কিনা কলেজে ঢোকার আগে) আমি ক'বার রেস্টোর‍্যান্টে খেতে গেছি সেটা গুনে বলে দেওয়া যায়। খুব সম্ভবত শূন্য বার। বিশ্বাস হচ্ছে না? আচ্ছা, খুব বেশি হলেও পাঁচবার। তার বেশি কক্ষনো নয়। তার কারণ এক, রিষড়ায় রেস্টোর‍্যান্ট বলতে তখনও চাউমিন আর এগরোলের গাড়ি বোঝাত; দুই, আমার বাবামা কেউই ঠিক রেস্টোর‍্যান্টে খাওয়া টাইপ নন। মায়ের তো চিরকালই পেট ভরলেই হল, বাবার মন ভরাতে হলে ক্যান্ডেলালোকিত হাক্কা চাউমিনের বদলে রাস্তার ধারের তেলচপচপে বেগুনিফুলুরি একশোগুণ বেশি এফেক্টিভ।

তাই বলে আমার শৈশবকে করুণা করবেন না যেন। চাউমিন শনিরবিবার সকালে মা বাড়িতেই বানাতেন আর সন্ধ্যেবেলা ট্যাংট্যাং বাজনা বাজিয়ে ইডলিদোসার গাড়ি আসত পাড়ায়। ঠাকুমার পেনশনের টাকা উড়িয়ে আমি নিয়মিত সেগুলো চেটেপুটে খেতাম। দোসাওয়ালার ব্যবসাবুদ্ধি প্রখর ছিল, রোজ আমাদের বাড়ির সামনেটায় এসে আস্তে আস্তে হাঁটত আর বেশি জোরে জোরে তাওয়া বাজাত।

কাজেই পাড়াগাঁয়ে থাকলেও ওরিয়েন্টাল আর দক্ষিণী কুইজিনের সঙ্গে আমার আলাপ বহুদিনের। প্রায় আপনাদের মতো শহুরে লোকজনের সমান সমান। শুধু যে জায়গাটায় আপনারা আমাকে হারিয়ে দেবেন, সেটা হচ্ছে ওই কালো দরজার আড়ালে টিমটিমে আলোজ্বালা আর গুনগুনে গান বাজানো ঝিংচ্যাক ঠাণ্ডা দোকানে বসে খাওয়ার জায়গাটা।

তাই লায়েক হওয়ার পর আমাকে সেই জায়গাটা পুষিয়ে নিতে হল। দোকান দেখলেই হল, দলবল মিলে চড়াও হতাম। আর দাবি করতাম একপ্লেট হট অ্যান্ড সাওয়ার স্যুপ ছ’টা বাটিতে ভাগ করে দিতে হবে। কিংবা একপ্লেট চাউমিন ন’টা প্লেটে। সবথেকে আশ্চর্যের কথা বেশিরভাগ দোকানে সেসব দাবি হাসিমুখে মেটানোও হত। যারা মেটাত না তাদের দোকানে আমরা আর কোনোদিন যেতাম না। উঠুক বিজনেস লাটে, দেখবি কেমন লাগে তখন।

এই করতে করতে আমাদের সবার মধ্যে এক বিরল প্রতিভার উন্মেষ ঘটল। কলেজে পড়াকালীন সব মানুষেরই বোধহয় ঘটে। কলকাতা শহরের কোন গলিতে সস্তার কোন খাবার দোকান আছে সে ব্যাপারে আমরা প্রত্যেকে একএকটি জলজ্যান্ত গুগল আর্থ হয়ে উঠলাম। কী সব গলি, আর সেসব গলিতে কী সব অনবদ্য খাবার দোকান। রাতের বেলা যেখানে যেতে অতি বড় সাহসীরও বুক কাঁপবে, দুপুরবেলা ক্লাস কেটে আমরা সেসব গলিঘুঁজি এক্সপ্লোর করে বেড়াতাম। আজ মোমো তো কাল বিরিয়ানি। পরশু জলের দরে প্লেটভর্তি কীসের মাংস কে জানে। কোনোদিন শরীরখারাপ হয়নি, অম্বল অজীর্ণ চোঁয়াঢেঁকুর ধারেকাছে ঘেঁষতে সাহস পায়নি। লৌহমানবের মতো হজমশক্তি ছিল তখন আমাদের সবার, আর কেট মসের মতো মেটাবলিজম।

সেসব সুখের সময় গেছে অনেকদিন হল। এখন ইথিওপিয়ান খেয়ে বেরিয়ে মনে হয়, বস কী বোরিং। কানের কাছে লাইভ পিয়্যানো শুনতে শুনতে ফ্রেঞ্চফুড ঠোকরাতে ঠোকরাতে বুঝতে পারি পেট তো দূর অস্ত, মনও ভরছে না। সপ্তাহান্তে কোথায় খেতে যাওয়া হবে ঠিক করতে বসে মেস্কিক্যান শুনলে এ কোঁকায় তো লেবানিজের নাম শুনলে ও গলায় দড়ি দেওয়ার ভঙ্গি করে।

পাস্তা এখন আমাদের কাছে পোস্তর থেকেও নিরেস, ব্যাসিল অরেগ্যানো দ্রুত থানকুনি আর গাঁদালপাতার জায়গা নিচ্ছে।

বাইরে খাওয়ার শখ আমার জন্মের মতো মিটে গেছে, এখন কেউ আসন পেতে বসিয়ে স্টিলের থালায় ডাল ভাত গরমগরম বেগুনভাজা যত্ন করে বেড়ে খাওয়ায় তো বেঁচে যাই। কিন্তু চাইলেই তো আর কেউ খাওয়াচ্ছে না। তাই আমরা বাপে খ্যাদানো মায়ে তাড়ানো ক’টি প্রাণ নিজেরাই নিজেদের শখ মেটাবো ঠিক করেছি। আগামীকাল রাতে আমাদের এখানে সেদ্ধভাত পার্টি। ধোঁয়া ওঠা ভাত, আলুসেদ্ধ, ডিমসেদ্ধ, সর্ষেরতেল কাঁচালঙ্কা ঘষা ডালসেদ্ধ আর ঝর্ণা ঘি-র একটা গোটা শিশি। ব্যস। থালা কোলে নিয়ে মেঝের ওপর গোল হয়ে বসব সবাই, ঝালের চোটে চোখ দিয়ে জল গড়াবে, বাঁ হাত দিয়ে ক্রমাগত সে জল মুছব আর একে অপরের দিকে তাকিয়ে হাসব খুব।

আমার আর তর সইছে না বিশ্বাস করুন।


Comments

  1. uff ..ei lekhata baddo valo hoyeche...ar laste je menuta bolli tate toh jibhe jol ese gelo...aha keu jodi arakom mekhe khaiye dito....ekhane to shak theke shuru kore mangsho sabetei paobhajir gandho beroy...:((( eating-out bolte mone porlo college-e porakalin heduar ultodike basanto cabiner tele dobano chopchope chicken chowmein amrito mone hoto!!!

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাঙ্ক ইউ তিন্নি। বসন্ত কেবিনের কথা বললি আর আমার আবার খিদে পেয়ে গেল।

      Delete
  2. আমি এই পোস্টটা অনেকদিন যাবৎ লিখতে চেয়েছি। এবার সম্ভবতঃ লিখে ফেলব।

    ReplyDelete
  3. সবই তো ভালো, কিন্তু পোস্তটা কেন নিরেস বললেন বলুন তো? বীরভূমের ছেলেদের এরকম আঘাত দিতে আপনার পাষাণ হৃদয়ে একটুও বাধল না? যম এলেও বীরভূমিয়ারা তাকে ওয়েট করিয়ে রাখবে কিছুক্ষণ। দাঁড়া বাবা, শেষ পোস্ত খাওয়াটা খেয়ে নিই।

    ReplyDelete
    Replies
    1. এমা রাগ কোর না আবির। আমি নিরেসটা ঠিক মিন করতে চাইনি। বলতে চেয়েছিলাম যে পাস্তা এখন পোস্তর থেকেও ফ্যামিলিয়ার হয়ে গেছে, আর কে না জানে ফ্যামিলিয়ারিটি ব্রিডস কনটেম্পট।

      Delete
  4. Sheddho bhaat zindabad. Kintu baire khete amar ekhono khub bhalo lage, asha hoto holeo bhalo laage.

    ReplyDelete
    Replies
    1. গুড গুড বং মম, ভালোলাগাই ভালো। জীবনে তো আনন্দ বেশি কিছু নেই। মন ভালো করাটা যদি পাণ্ডা এক্সপ্রেস-এ যাওয়ার মতো সোজা হয়ে যায় তাহলে নাথিং লাইক ইট।

      Delete
    2. Na Panda Express er motan shoja-sorol hole cholbe na, or theke sheddho bhaat bhalo.

      Delete
    3. হাহা বং মম, ট্রু ট্রু।

      Delete
  5. amar chotobelay restaurant e khawa ta motei bhalo lagto na, karon aami abar oi kanta, chamoch byapar tate anya cousins der tulonay besh "weak" chilam!!! sposto mone achey je soup tao gol chamoch diye khete amar khub ashubidhe hoto....barite tow soup cup theke dhok dhok kore giley khetam kina.
    shedin ethiopian restaurant e amay khete dekhe amar ek colleagur bollen look at her, she's eating like a pro...mone mone bhablam pro to hoboi...ei bhabei tow sara jibon kheye eshechi!!!

    ReplyDelete
    Replies
    1. Amio ekdin dui Nigerian bondhur sathe Nigerian restaurant e khete giye haat diye khaway "expertise" dekhiye taader taak laagiye diyechhilam. Tara bole tumi eto bhalo kore haat diye khete shikhle kikore? Ami bollam jonme theke etai korchhi, ekhono barite etai kori. :)

      Delete
    2. prothom bar bidesh e eshey ek bangalir office e ilish mach aar bhat kheyechilam. bhadralok er farasi bou barite "spicy" ranna korte diten na....tai aamra koyekjon chatro chatri onar office er sange lagoya kitchen e sarshe ilish (jeta microw e bhapano jay) baniyechilam. tarpor dekhi sabai chnuri/kata diye shorshe ilish aar bhat khachhe! aami bollam khoma korun ei blasphemy korte parbo na :)))

      Delete
    3. Amar 2 American bondhu ke ami ilish khaiyechilam. Karon ilish na khele ora kokhono bolte parto na je oder Bangali bondhu chhilo. Ekjon ke bechhe ditey hoyechilo, kintu onyo jon dibbi 2 haate kata bechhe kheyechilo, amar kache setar video o ache :D Tobe je kata bachhte pareni, shey kintu haat diye bhat khete perechilo :)

      Delete
    4. আমার যেটা শিখতে দম বেরিয়েছে সেটা হল চপস্টিকস। কাঁটাচামচ ওর কাছে দুধের শিশু। এখন মোটামুটি ম্যানেজ করতে পারি যদিও চিনেদের সঙ্গে বসে খেতে গেলে আমি সোজা কাঁটার দিকে হাত বাড়াই। কারণ আমি নিশ্চিত ওরা আমাকে চপস্টিক দিয়ে খেতে দেখলে হেসে গড়াগড়ি খাবে।

      আরে আমাকেও একজন কাঁটাচামচ দিয়ে ইলিশমাছ ভাজা খেতে দিয়েছিল জানো। খোদ সোনারপুরে বসে। একটা ভীষণ সুন্দর কাজকরা প্লেটে টমেটো শশা পেঁয়াজ সাজিয়ে তার মাঝখানে দুখানা এই বড় বড় মাছভাজা এনে দিয়েছে। পাশে কাঁটাচামচ। আমি বেগতিক দেখে হাত তুলে দিয়ে বললাম, আমি কাঁটাচামচ দিয়ে পারবনা, হাত দিয়ে খাব, আপনারা কিছু মাইন্ড করবেন না প্লিজ। তখন গৃহকর্ত্রী বললেন, সে তো বটেই, আমরাও হাত দিয়েই খাই। তুমি অতিথি বলে তোমাকে কাঁটাচামচ সাজিয়ে খেতে দিয়েছি।

      লোকজন যে কী অদ্ভুত হয় কী আর বলব।

      Delete
  6. yo yo daaruun post likhhechho kuntala di :-D.

    aah.. sedyobhaat party te kirom experience holo, janio kintu. ki lobhoniyo byapar. tobe unfortunately, aj ke lunch e amar menu - maggi :(

    ReplyDelete
    Replies
    1. আহারে ম্যাগি বেঁচে থাক আত্রেয়ী। নইলে আমরাও বাঁচব না। তোমরাও করে ফেল একদিন সেদ্ধভাতপার্টি।

      Delete
  7. আপনার সেদ্ধভাত পার্টির গল্প শুনে ভয়ানক লোভ হলো| দেখি এরকম একটা কিছু এখানেও করা যায় কিনা|
    আমার ছোটবেলাটা এলাহাবাদে কেটেছে তো, আর এলাহাবাদ হুগলির তুলনায় অনেক বড় আধুনিক শহর, কাজেই বেশ ভাল ভাল রেস্টুরেন্ট ছিল| আমাদের চারজনকার জন্মদিনে চারবার, বাবা মায়ের "বিয়ের জন্মদিনে" একবার, আর পয়লা বৈশাখে একবার বাইরে খাওয়া হত| কখনো কখনো দুর্গাপুজোতেও| তখন এত ক্যালরি নিয়ে ভাবতামনা - "হট স্টাফ" গেলে সাধারণত পিজা নিয়ে আসা হত বাড়িতে, আর সে পিজার যা স্বাদ, এ দেশে ভাবতেও পারবেনা| কখনো কখনো মুরগি ভাজা আনা হত - যেটায় এখন অরুচি, আর ওখানে বসে খেলে আইসক্রিমও খেতাম| কাসাটা, টুটি ফ্রুটি, ব্যানানা স্প্লিট এসব আইসক্রিম প্রথম ওখানেই খেয়েছিলাম| অন্য রেস্টুরেন্টে গেলে বসেই খাওয়া হত, চাইনিজ বা অন্য কিছু| আমেরিকান চপসয়ে আমার খুব প্রিয় খাবার ছিল| আমেরিকায় আসার পর থেকে আর খাইনি| এখন বাইরের খাবারের সেই আকর্ষণ টা নেই|
    এ প্রসঙ্গে মনে পড়ল, আমার এক বন্ধু বছর দুয়েক বিদেশে কাটিয়ে দেশে ফেরার পর ভাইবোনেরা বায়না করে যে খাওয়াতে নিয়ে যেতে হবে| "কোথায় যেতে চাস?" জিগ্গেস করায় তারা বলে কলকাতায় নতুন ম্যাকডোনাল্ড্স খুলেছে, সেখানেই যেতে চায়| আমার বন্ধুটি কিছুতেই ভেবে পায়নি যে লোকে শখ করে কেন ম্যাকডোনাল্ড্স এ খেতে যেতে চাইবে!

    ReplyDelete
    Replies
    1. করে ফেলুন করে ফেলুন। শুভ কাজে দেরি করবেন না।

      বাসরে আপনি তো দেশে বসেই রীতিমত নামীদামী জিনিসপত্র খেয়ে ফেলেছিলেন দেখছি সুগত। আইসক্রিমে যে লোকে কলা দেয় সেটা আমি বুড়োবয়সে জেনেছি।

      ম্যাকডি-র কথা আর বলবেন না। এখন আরেক আপদও জুটেছে শুনেছি, KFC. লোকে নাকি বালতি করে চিকেনভাজা খেতে হামলে পড়েছে। মোড়ে মোড়ে KFC আর অলিতেগলিতে জিম। লোকে পয়সা খরচ করে মোটা হচ্ছে আবার পয়সা খরচ করে রোগা হওয়ার চেষ্টা করছে। অদ্ভুত।

      Delete
    2. Kolkatay loke shokh kore Starbucks er coffee o khachhe shunechi. Kale kale aro koti na ghotbe :)

      Delete
  8. Amadero bari te "baire khaoya" byapar tar chol chhilo na ekkebare. Majhe majhe sudhu ami ar Bhut Kakabhai-Mum er sange jetam "Hotel Swagath" e dosa khete. Dosa khaoar chol ta moter opor chilo karon amader barir kachei ekta South Indian settlement ache (Lake Market elakay). Shonibar bikele onek somoy "Prema vilas" eo dosa khete gechi. Class 8 er somoy theke amra bondhu der sange pujoy sokal e beranor permission peyechilam, class 9 theke bikel-sondhye porjonto. Tokhon theke baire khaoya ta besh bhaloi hoy. Baba-ma'r sange pujor bajar korte gele onek somoy chicken roll kheyechi Gariahat e :)

    Ekhane ashar por to legei chilo baire khaoa. Biyer poreo onek kheyechi, tobe ekhon abar komiye felechi. Barir khadye mono nibesh korechi, tate onek labh.

    Seddho bhaat er party na holeo, majhe majhei khai amra. Jharna ghee'r bodole Baghabari'r Anil Ghosh (amar relative noy kintu), tar banano ghee. Ar Arnab shukno lonka pora diye dim-alu bhaate ta byapok makhte pare, tai ota to khai-i :D

    ReplyDelete
    Replies
    1. হ্যাঁ হ্যাঁ পুজোয় বেরিয়ে আমরাও বাইরে খেতাম রিয়া, তবে সেটাও ওই রোল আর ফুচকা। অনিল ঘোষবাবুকে শেলফে দেখেছি। তোমার ডিসক্লেমার শুনে মনে পড়ল আমাদের এক ঘোষ বন্ধু ছিল, সে রাস্তায় বেরোলে ঘোষ মিষ্টান্ন ভাণ্ডার দেখলেই বলত, আমার আত্মীয় না কিন্তু।

      ডিম আলু ভাতেটা আমার বাড়িশুদ্ধু লোকের ফেভারিট।

      Delete
  9. jhaal? keno? keno? KENO? duto mishti khawar kotha karor mone poRey na?
    PS: aj amar baRiteo mishti nei. dinner-er por ek khabla chini khelam.

    ReplyDelete
    Replies
    1. Oneke to sesh paate chini diye luchi khaye. Amar baba ar shoshur-moshai dujonei eta bhalobashe, kheye dekhte paro. Tobe ha, luchi na pele pauruti kheyo :D

      Delete
    2. সোমনাথ, তোমার সুইট টুথ যে বেশ ধারালো সেটা বোঝা যাচ্ছে। আমার মা ঠাকুমা দুজনেই তোমার মতো। দোকান থেকে চিনি কিনে এনে শিশিতে ঢালতে গিয়ে মুঠো মুঠো নিজেদের মুখে ফেলতেন, একজন তো এখনও ফেলেন।

      রিয়া, লুচি চিনিটা একটা স্বর্গীয় ব্যাপার। আমি য'টাই লুচি খাই না কেন, শেষটা চিনি দিয়ে খাই। মানে নিজের বাড়িতে বসে। লোকের বাড়িতে গিয়ে তো আর চিনি দিন বলা যায় না। কিন্তু তৃপ্তি হয়না ঠিক।

      Delete
  10. pauruti diyei jodi khete hoy, tahole bapu chini cholbe na....borong jhola gur diye khawa jak :))

    ReplyDelete
    Replies
    1. এক্কেরে হক কথা কইস শম্পা।

      Delete
    2. Hahahaha thik bolecho :D "sobar chaite bhalo" bole katha!!

      Delete
  11. প্রায় এই মেনুটাই ক'দিন আগে আমাদের বাড়িতে ডিনার হয়েছিল। ধোঁয়া ওঠা ভাত, আলুসেদ্ধ, ডিমসেদ্ধ, কাঁচালঙ্কা, ঘি। ঘি ছিল বলে সর্ষেরতেলটা বাদ পড়ে গিয়েছিল, আর ডালসেদ্ধ ছিল না, তার বদলে পেঁয়াজকুচি। কিন্তু আমাদের ছিল ঠেলায় পড়ে (রান্না করার ইচ্ছে নেই), আর আপনাদের দেখছি মোচ্ছব।

    বছর পাঁচেক আগে দিল্লির নেহরু প্লেস অঞ্চলে একটা তিনসপ্তাহ ব্যাপী ট্রেনিং ছিল। কাছেপিঠের খাবার জায়গা বলতে শুধু একটা ম্যাকডি। টানা তিন সপ্তাহ নানা প্রকারের বার্গার খেয়ে এমন হয়েছিল, যে হলুদ রঙের এম লেখা দেখলেই জ্বর, বমি, মাথাঘোরা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিত।

    ReplyDelete
    Replies
    1. ইয়েস! আমরাও পেঁয়াজকুচি নিয়ে বসেছিলাম। ফাটাফাটি খাওয়া হল। ম্যাকডি দেখলে আমারও মাথা ঘোরে দেবাশিস। আপনার সঙ্গে আরও একটা জিনিস মিলল।

      Delete
  12. Sheddho bhaater party to ami roj i kore thaaki...ami abar party chhara thaakte pari na kina :P

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা শ্রমণ, ভালোই কর। লাক্কি বয়।

      Delete
  13. i liked this one other posts too. lucid, tacit humorous and what's not. wish all success to the flourishing writer in other-side of the pen.

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাঙ্ক ইউ কৌশিক। আপনার মন্তব্য পড়ে খুব ভালো লাগল।

      Delete
  14. eto khabar er golpo pore khide peye gelo.edike baire jhom jhomiye bristi hohche bari jete parchi na :(

    ReplyDelete
    Replies
    1. যাঃ, শিগগিরি যেন বৃষ্টি ধরে যায়, সেই কামনা করি প্রিয়াঙ্কা।

      Delete

Post a Comment