দুই বোন


একজনের বয়স পাঁচ, আরেকজনের তিন। যার বয়স পাঁচ সে ছোটবোনের চুল কেটে দিয়েছে। নিজদায়িত্বে। বলাই বাহুল্য পরিণতি খুব একটা সুবিধের হয়নি। সপ্তাহকয়েক পর বোনেদের বাবা তাদের একটা ইন্টারভিউ নিয়েছেন। চুলকাটার ইতিহাস, উপকরণ, পদ্ধতি এবং কর্তন-পরবর্তী উপলব্ধি নিয়ে। শুনে দেখতে পারেন। আপনারা যদি আমার মতো হন, তাহলে একবার শুনে মন ভরবেনা গ্যারান্টি।


Comments

  1. বার তিনেক শুনে ফেলেছি... আর শোনাটা ঠিক হবে না। শেষে ওইটুকু বাচ্চা যা বাণী দিলো, সেটা উপলব্ধি করার আগেই অমন কুকার্য (যা কিনা জীবনে মোটের ওপর বার তিনেক করার ছাড় থাকছে) অসংখ্য বার করে ফেলেছিলাম :( নাঃ, সত্যিই চোখের সামনে বিবর্তন দেখা যাচ্ছে মনে হয়। ভাগ্যবান বাবা-মা...

    ReplyDelete
    Replies
    1. সেরেছে সুনন্দ, তুমিও কি তোমার ভাইয়ের চুল কেটে দিতে নাকি?

      Delete
    2. একটা কীর্তির কথা বলছি- সেটা থেকে বাকি গুলোর আন্দাজ পাওয়া যাবে।
      লম্বাটে স্কুলবাড়ির মতো একতলা ভাড়াবাড়ি। চারটে ঘর। শেষ ঘর দু'ভাইয়ের। একজন ১২, অন্যজন ৪। ৪ এর ঘুষিতে সিনেমার ভিলেনের মতো পালটি খেতে খেতে ছিটকে পড়ার অভিনয় করছে ১২- পড়ছে যথারীতি বিছানায়। বক্স খাট। বার বিশেক হাতির বাচ্চার পতনবেগ রোধ করার পর আর্তনাদ করে তিনি খুলে পড়লেন। ভেঙ্গে নয়, খুলে। দুই বাচ্চা প্রাথমিক আতঙ্ক কাটিয়ে কি করে ড্যামেজ কন্ট্রোল করা যায়, সেই চেষ্টায় রত হলো। প্রবল বেগে হাতকেই হাতুড়ি বানিয়ে কোনক্রমে যখন কাজ সমাধা হলো, তার আগেই বাড়ির কাজের দিদি ঘর ঝাঁট দিতে এসে সাক্ষী হয়ে গেছে ঘটনার।
      রাতে বাবা মশারি খাটাতে এসে খাটের ওপর উঠে দাঁড়ালেন। দু'ভাই নিঃশ্বাস বন্ধ করে অপেক্ষা করছে- কিসের, সেটা পরিষ্কার জানেনা। কিছু হলো না। ১২ হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো- যাক এবারকার মতো বাঁচা গেলো তবে!

      দিন তিনেক পরের ঘটনা। স্কুল থেকে হৃষ্টচিত্তে বাড়ি ফিরেই ১২ খেলো বেদম বকুনি আর সামান্য ঠ্যাঙানি। কারণ, তার অনুপস্থিতিতেই মায়ের পায়ের ভার সইতে না পেরে খট্টাঙ্গ-পুরাণ রচিত হয়ে গেছে। কাজের দিদির ফিকফিক দেখে চেপে ধরায় সে আমাদের হাঁড়ি ঘরেই ভেঙ্গে ফেলে। অতএব... ৪ কে তো আর কিছু বলা যায় না, উচিতও নয়।
      :D

      Delete
    3. হাহাহাহা, আমি ছোট সাইজের সুনন্দকে ভিলেনদের মতো পালটি খেতে খেতে পড়তে কল্পনা করতে করতে একাই হাসছি। ফাটাফাটি গল্প।

      Delete
  2. kicchu bolar nei!!!katobar je shunlaam..

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমি তো এখনো শুনছি।

      Delete
  3. Amar 3 bochor er meye, nijei nijer chul ketechilo. But, tar chul bhagiysh "butt" obdi lomba npy bole se edik odik khapchara khanik ta kuchi korechilo ar chupi chupi sei gulo ke garbage e o fele esehchilo

    ReplyDelete
    Replies
    1. আহারে, আপনি খুব বকেছিলেন নাকি বেচারাকে বং মম?

      "বাট" পর্যন্ত চুলের ব্যাপারটা কিন্তু দুর্দান্ত। তার ওপর আবার যদি "হিপস-ইচিং" হয় তাহলে তো না কেটে উপায় থাকেনা, বলুন?

      Delete
  4. Aami chhotobelaye amar ek bandhur chul kete diyechhilam =(..kyano ketechhilam thik mone nei kintu vaguely eituku mone aachhe je there was the motive of making her look prettier..eessh amaro keu interview niye raakhle paarto tahole jantam kyano ketechhilam..kintu Ma baari phire jante parar por jakhon niche eshechhilen amake khelar majhkhane daakte shei mukh aami janmeo bhulbo na..ato bhoy aami khub kom peyechhi!!-SG

    ReplyDelete
    Replies
    1. SG. কেলেঙ্কারি তো! তবে আপনার ভয়ের মাত্রাটা আমি কল্পনা করতে পারছি।

      Delete
  5. Ami ASHCHORJO!!!! Ki sanghatik :O :O

    ReplyDelete
    Replies
    1. সাঙ্ঘাতিক কিনা বল রিয়া?

      Delete

Post a Comment