Posts

Showing posts from September, 2012

সাপ্তাহিকী

Image
ছেলের সঙ্গে পাবলো পিক্যাসো ছবিঃ রবার্ট কাপা I think everybody should like everybody. এমন কথা আর কেই বা বলতে পারেন? অ্যান্ডি ওয়ারহল ছাড়া? ক্যানভাস যখন মুখ। শাহরুখ খান বা প্রীতি জিন্টার মতো গালে টোল চাই? তবে এই যন্ত্রটা  জোগাড় করুন। ১৯৭৫ সালের একটি বিয়েবাড়ি। আহা এরকম একটা ঘুড্ডির সঙ্গে আমিও যদি উড়ে যেতে পারতাম। ফোটোগ্রাফির ভালোমন্দ।  যে চাকরিগুলো আপনি চাইলেও আর পাবেন না। অরিজিনাল বরফি! এসপ্তাহে আপনাদের জন্য  রইল  এই মধুর গানটি। কানুকে দিয়ে যেতে পারছি না, কিন্তু অবান্তরকে  আপনাদের হাতে ছেড়ে দিয়ে ক'দিনের জন্য ভাগলবা হচ্ছি। দেখা হবে সোম নয়, মঙ্গল নয়, বুধ নয়, সেই এক্কেবারে বৃহস্পতিবার। ততদিন ভালো হয়ে থাকবেন, বরফি এখনো না দেখে থাকলে দেখে ফেলবেন, আর অবান্তরকে মনে রাখবেন। টা টা। 

হারানো হিন্দি

Image
পূর্বভারতের মানুষ হওয়ার একটা এক্সটারন্যালিটি হল হিন্দি ভাষার সঙ্গে সম্পর্কটা একটু গোলমেলে হয়ে যাওয়া। জেনেরালাইজেশনের ঝুঁকি নিয়েই বলছি উত্তরভারতের লোকেদের মতো ভাষাটার প্রতি অন্ধ আনুগত্য কিংবা দক্ষিণ ভারতীয়দের মতো বাড়াবাড়ি বৈরিতা কোনোটাই আমাদের থাকেনা। নিজের কথা বলতে পারি, আমার সঙ্গে রাষ্ট্রভাষার সম্পর্ক, যাকে বলে---কমপ্লিকেটেড। আমার ধারণা বেশিরভাগ বাঙালিরই তাই। অন্তত আমি যেসব বাঙালির মাঝখানে বড় হয়েছি তাদের দেখে আমার সে ধারণাটাই বদ্ধমূল হয়েছে। হিন্দি ভাষার সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় ‘বুনিয়াদ’ দেখতে গিয়ে। আমার মা, যিনি টিভিকে সাক্ষাৎ শয়তানের অবতার বলে মনে করেন, যিনি শনিরবিবারের বাংলা সিনেমা তো দূরের কথা, টিভিতে রামায়ণ মহাভারত পর্যন্ত দেখতেন না, তিনিও বুনিয়াদ দেখতেন। আর তাঁর কোলে বসে আধাঘুমন্ত চোখে আমিও। অবশ্য বুনিয়াদ খায় না মাথায় দেয় এসব কিছু বোঝার ক্ষমতা আমার ছিলনা। বড়দের সঙ্গে বসে বড়দের মতো একটা কিছু করার গৌরব, সেটাই ছিল আমার বুনিয়াদ দেখার একমাত্র মোটিভেশন। ছোটবেলায় সবার দেখাদেখি আমি দুটো হিন্দি কথা শিখেছিলাম। এক অনেকক্ষণ লোডশেডিং চলার পর কারেন্ট এলে পাড়াশুদ্ধ...

ঢাল তরোয়াল নেই? টি শার্ট তো আছে।

দুটো মগজ, দুশো বাইশটা  টি শার্ট , উদ্ভট আইডিয়া আর সে আইডিয়াকে বাস্তবে রূপায়িত করার  অসীম ধৈর্য । পরিণতি যে দেখার মতো হবে তাতে আপনার সন্দেহ ছিল নাকি? আমার তো ছিল না। 

ছবি দেখে ছায়াছবি, দেখুন তো চিনতে পারেন নাকি

Image
আজ চলুন একটু অন্যরকম খেলা করা যাক। নিচে যে দশটা ছবি দেখতে পাচ্ছেন সেগুলো আসলে ছবি নয়, সিনেমার ক্লু। সবকটি ক্লু-ই সোজা, তার মধ্যে কয়েকটি তো আবার বাড়াবাড়ি রকমের সোজা। আপনাদের কাজ হচ্ছে ক্লু গুলো থেকে সিনেমা চেনা। ছোটবেলার শিক্ষা মনে আছে নিশ্চয়? উত্তর লেখার সময় স্পষ্ট করে কত নম্বর প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন সেটা লিখতে ভুলবেন না। ভুললেই ঘ্যাচাং করে নম্বর কাটব। খেলায় টোকাটুকি এড়ানোর জন্য আমি আপাতত কমেন্ট অদৃশ্য রাখছি। যিনি সবার আগে জবাব দেবেন তাঁকে এক্সট্রা নম্বর দেওয়া হবে। অতএব আলসেমি না করে লেগে পড়ুন। 1.   2. 3. 4. 5. 6. 7. 8. 9. 10. রেডি, স্টেডি (আমি যদিও অনেকদিন পর্যন্ত সেডি বলতাম), গো। ****** টিং টিং টিং খেলা শেষ!!! আপনাদের অংশগ্রহণ দেখে আমি মুগ্ধ, শিহরিত, বিগলিত। ঠিক উত্তরগুলো জানাতে আর দেরি করব না কারণ আমি জানি আপনারা আর ধৈর্য ধরতে পারছেন না। কিন্তু যে কথাটা ফলাফল ঘোষণার আগে বলতেই হয় সেটা একবার বলে নিই? মনে রাখবেন হার-জিতটা কথা নয়, পার্টিসিপেশনটাই আসল। আপনারা যে সেটা করেছেন...

Dis or Dat: চলচ্চিত্রচঞ্চরি

Image
গুগল ইমেজেস থেকে পথের পাঁচালী না অপরাজিতঃ অপরাজিত উনিশে এপ্রিল না পারমিতার একদিনঃ উনিশে এপ্রিল ভূতের ভবিষ্যৎ না বাইশে শ্রাবণঃ ভূতের ভবিষ্যৎ হীরের আংটি না কাবুলিওয়ালাঃ কাবুলিওয়ালা সপ্তপদী না উত্তরফাল্গুনীঃ উত্তরফাল্গুনী বাওর্চি (বাবুর্চি) না গল্প হলেও সত্যিঃ গল্প হলেও সত্যি কুছ কুছ হোতা হ্যায় না দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে যায়েঙ্গেঃ দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে যায়েঙ্গে থ্রি ইডিয়েটস না রংগ দে বসন্তিঃ রংগ দে বসন্তি লগান না চক দে ইন্ডিয়াঃ লগান ব্ল্যাক না বরফিঃ বরফি গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর (এক এবং দুই) না গুলালঃ গুলাল গোলমাল না যানে ভি দো ইয়ারোঃ যানে ভি দো ইয়ারো সত্যা না কম্পানিঃ সত্যা গুন্ডা না শোলেঃ শোলে বর্ডার না গদরঃ বর্ডার ফায়ার না 1947 আর্থঃ 1947 আর্থ সিলসিলা না কভি কভিঃ সিলসিলা আনন্দ না অভিমানঃ অভিমান খামোশি না হাম দিল দে চুকে সনমঃ খামোশি দ্য বিগ লেবোস্কি না নো কান্ট্রি ফর ওল্ড মেনঃ দ্য বিগ লেবোস্কি ফিলাডেলফিয়া না ফরেস্ট গাম্পঃ ফরেস্ট গাম্প ফাইন্ডিং নিমো না কুংফু পাণ্ডাঃ ফাইন্ডিং নিমো টাই...

আবিষ্কারের নেপথ্যে

Image
জাড্য কাকে বলে? ছোটবেলায় বাবার সঙ্গে হাঁটতে বেরিয়ে প্রশ্নটার সঙ্গে প্রথম মোলাকাত হয় রিচার্ড ফেইনম্যানের। সেই প্রশ্নের পিছু ধাওয়া করতে করতে শেষমেষ নোবেল প্রাইজ। তবে নোবেলের থেকেও বড় প্রাপ্তি, মানুষের জ্ঞানভাণ্ডারের পরিধি আরো একটু বিস্তৃত হওয়া। এরকম কত অকিঞ্চিৎকর প্রশ্ন মানবসভ্যতাকে কত লক্ষযোজন এগিয়ে দিয়েছে জানতে হলে নিচের ভিডিওটা  অবশ্যই  দেখুন। 

দুঃখের কথা

ডেথক্লক যতই ভয় দেখাক না কেন আমি একশো তিন বছর বাঁচব, আমি জানি আমার আয়ু মেরেকেটে তেষট্টি। আমার দিদিমা সাতান্ন বছর বয়সে নিউমোনিয়ায় ভুগে মারা গিয়েছিলেন আর দাদু বাষট্টিতে। এর সঙ্গে ধরুন আমার ঠাকুরদার সত্তর। সবশুদ্ধু যোগ করে তিন দিয়ে ভাগ করুন। তেষট্টি হল কিনা? সময়ের বেশি বেঁচে থাকাকে আমার বড় ভয়। মায়েরা ছোটবেলায় বাজেশিবপুরের যে বাড়িটায় ভাড়া থাকতেন তার পাশের বাড়িতে একটা বুড়ি থাকত শুনেছি। বুড়ির ছেলেমেয়ে সব বড় হয়ে, বুড়ো হয়ে, নিজেরাই ঠাকুমা-দাদু হয়ে গিয়েছিল তবু বুড়ির মরবার উপক্রম দেখা যাচ্ছিল না। সে সকালবেলা হলেই খুরখুরিয়ে বারান্দায় এসে বসে পাড়াশুদ্ধু লোকের হাঁড়ির খবরাখবর নিত, আর মাঝে মাঝে খবর নেওয়া থামিয়ে আকাশের দিকে মুখ তুলে ইনিয়েবিনিয়ে বিলাপ করত, “ওরে নে রে, নে রে, নে রে।” তবু ভগবান তাকে নেওয়ার নাম করতেন না। কী ভয়ানক ভাবুন। নিজেই নিজের মৃত্যুকামনা করার পর্যায়ে যাওয়ার আগে যেন সবাইকে কাঁচকলা দেখিয়ে কেটে পড়তে পারি ঠাকুর। যাই হোক, আমার আন্দাজ যদি সত্যি হয় (যেন হয় যেন হয় যেন হয়) তাহলে আমি জীবনের প্রায় অর্ধেক পথ পেরিয়ে এসেছি বলা যেতে পারে...

এই উইকএন্ডে আমি কী কী শিখলাম

Image
চারুলতা , ১৯৬৪-তে যতটাই মোহময়ী, ২০১১তে ততটাই ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’। যারা দেখেছেন তাঁরা অলরেডি জানেন, যারা দেখেননি তাঁরা জানবার চেষ্টাও করবেন না। আমার কথা বিশ্বাস করুন। ঠকবেন না। ·         একগ্লাস জলজিরা , এক বড় প্লেট পাপড়ি চাট , একখানা মেদুবড়া, আধখানা (মতান্তরে তিন-চতুর্থাংশ) পেপার দোসা, গব্যঘৃতে ভাজা মটর-কচৌরির আধখানা চেটেপুটে শেষ করার পরও যদি খিদে খিদে পায় তাহলে বুঝতে হবে সেটা চোখের খিদে। তখন আর এক প্লেট রাবড়ি অর্ডার করা মানে খাল কেটে কুমীরকে নেমন্তন্ন করে আনা। বা অম্বলকে। ভালোবাসা মানে সিগারেট ছাড়ার প্রতিশ্রুতিও নয়, আর্চিস গ্যালারি তো নয়ই। ভালোবাসা মানে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে দাঁত মেজে বাথরুম থেকে ফিরে দিনের প্রথম কাপ গরম চা-টা তৈরি পাওয়া। সঙ্গে জ্যাম মাখানো বিস্কুট। গুগল ইমেজেস থেকে ডেনজেল ও য়াশিংটন থাকা মানেই সিনেমা ভালো নয়। ‘থ্রিলার + ডেনজেল’ দেখে লাফিয়ে দ্য বোন কালেক্টর (1999) দেখতে বসে শেষে হাই তুলে তুলে কূল পাইনা। তবে আমাদেরও দোষ আছে। সিনেমাটায় অ্যাঞ্জেলিনা জোলি আছেন দেখেও সাহস করা উচিত হয়নি...

সাপ্তাহিকী

Image
সিলভিয়া প্লাথের নিজের হাতে চিহ্নিত করা দ্য গ্রেট গ্যাটসবি-র একটি পাতা কখনো ভেবে দেখেছেন, এ বি সি ডি-রা সব এল কোত্থেকে? বলা যায়না, বাড়িতে টেবিলের অভাব হতেও তো পারে? সেইসব এমারজেন্সি পরিস্থিতিতে কাজে লাগবে। বুকশেলফ পর্ন। And you silently tipped the ice-cube down his shirt. The ice-cube was cold. His body was hot. The cold ice-cube felt good inside his shirt. He didn’t feel hot. The sun began to beat down on the man, and the shirt, and the ice. The ice-cube began to melt. It was not a bad feeling. It was a tingly feeling. আজ্ঞে না কসমোপলিটান পত্রিকার উদ্ধৃতি নয়, খোদ হেমিংওয়ের লেখা। দেখুন তো, এর মধ্যে কোনোটা আপনার পাসওয়ার্ড কিনা। হলে পত্রপাঠ বদলে ফেলুন। গুগল করতেও শিখতে লাগে। এই মুহূর্তে আমার প্রিয়তম গান। শুনেই চলেছি, শুনেই চলেছি। ভালো হয়ে থাকবেন। ডায়েটিং চুলোর দোরে দিয়ে পেটপুরে খাওয়াদাওয়া করবেন, নাহলে বিজলির তারের থেকেও পাতলা হয়ে গেলে আর দেখতে হচ্ছে না। সোমবার দেখা হবে। টা টা।

The Guernsey Literary and Potato Peel Pie Society

Image
হয় আমার গল্পের বইয়ের বৃহস্পতি আপাতত তুঙ্গে যাচ্ছে, নয় আমি বুদ্ধি খাটিয়ে এমন সব বুদ্ধিমান লোকেদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে রেখেছি যারা আমাকে একের পর এক অসাধারণ সব বইয়ের সন্ধান দিয়ে চলেছেন। যেমন ধরুন The Guernsey Literary and Potato Peel Pie Society. The Guernsey Literary and Potato Peel Pie Society আমার স্মরণযোগ্য অতীতের একমাত্র বই যেটা আমি এ’মলাট থেকে ও’মলাট পর্যন্ত একবারও মাথা না তুলে শেষ করেছি। নাওয়া, খাওয়া, ইন্টারনেট বিস্মৃত হয়ে। বং মম, এমন একখানা বই পড়ানোর জন্য আপনাকে মনের একেবারে ভেতর থেকে ধন্যবাদ। সত্যি। আচ্ছা এবার বইটার কথায় আসা যাক। বইটায় কী কী আছে? দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধবিধ্বস্ত লন্ডন আছে, সেই লন্ডনের অলিতেগলিতে ঘোরা আমাদের সুন্দরী বুদ্ধিমতী নায়িকা আছেন যিনি নিউজপেপারে মজারু কলাম লিখে সদ্য খ্যাতির শীর্ষে উঠেছেন, নায়িকার পিছু ধাওয়া করা রহস্যময় অ্যামেরিকান কোটিপতি আছে, ‘কিট’ নামের একটা ভীষণ গম্ভীর চার বছরের মেয়ে আছে, দীর্ঘ পাঁচ বছর পরে জার্মানদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া ইংলিশ চ্যানেলের বুকে একটা ছোট্ট দ্বীপ আছে, যে দ্বীপে আবার একটা সাহিত্যসমিতিও আছ...