মর্ষকাম


কেমন আছেন সবাই? আমি ভালো আছি। নিজেই নিজেকে খারাপ রাখার যথাসাধ্য চেষ্টা করার পরেও বেঁচেবর্তে আছি। নিজেই নিজের পাকা ধানে মই দেওয়ার সবরকম ব্যবস্থা করার পরেও চলে যাচ্ছে একরকম।

মনের ডাক্তাররা অবশ্য পার্সোন্যালিটি ডিসঅর্ডারের বইয়ের অ্যাপেনডিক্সে বহুদিন থেকেই মর্ষকামকে জায়গা দিয়ে আসছেন (সূত্রঃ উইকিপিডিয়া)। মূল বইয়ে এরোগের জায়গা হয়নি। মা যে কথায় কথায় বলেন, “পাগলেও নিজের ভালো বোঝে সোনা”, কথাটা মিথ্যে নয় তাহলে। মায়েদের কোনো কথাই মিথ্যে হয়না কেন কে জানে। জঘন্য।

যাই হোক। আমার মাথা এমনিতে বেশ ফিট, ভিড় মারামারি গণধোলাই এড়িয়ে চলে, সিরিয়াল দেখেনা, হিমেশ রেশম্মিয়া শোনে না, কসমোপলিট্যান পড়েনা, আর্ট অফ লিভিং করেনা। কিন্তু তাও হবি তো হ, অ্যাপেনডিক্স থেকেই একখানা রোগ হয়েছে আমার মাথার। অনেকদিন থেকেই হয়েছে। সেই ক্লাস নাইনের অ্যানুয়াল ইংরিজি পরীক্ষার আগের দিন যখন হুমড়ি খেয়ে পড়ে কপালকুণ্ডলা শেষ করছিলাম তখনই টের পেয়েছিলাম ভাইরাস ঢুকে গেছে। কপালে ভোগান্তি আছে।

পরীক্ষার আগের দিন গল্পের বই মুখে করে বসে থাকা আর দেখ-না-দেখ ডাইনেবাঁয়ে প্রেমে পড়া পেরিয়ে শেষমেষ মর্ষকামের একটাই উপসর্গ রয়ে গেছে আমার জীবনে। সেটা হচ্ছে ভয়ের সিনেমা দেখা।

ভয়ের সিনেমা মানে ‘হঠাৎ নীরার জন্য’ নয় (যদিও সেটাও যথেষ্ট ভয়ের), সিরিয়াস ভূতের সিনেমার কথা বলছি আমি। যেরকম ভূতেরা সত্যি সত্যি লোকের ঘাড় মটকে দেয়, নিজেরা নিজেদের ঘাড় বনবন করে ৩৬০ ডিগ্রি ঘোরাতে পারে, আর টিভি থেকে হামাগুড়ি দিয়ে বেরিয়ে এসে সারা বাড়ি জল থইথই করে দেয়। অবশ্য সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির মালিকের ভবলীলাও সাঙ্গ করে, কাজেই ঘরনোংরা করা নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার হয়না।

আমার সমস্যা হচ্ছে আমি এই সিনেমাগুলো হাঁ করে বসে বসে দেখি। দেখি বলাটা অবশ্য বাড়াবাড়ি। একগাদা বালিশ কুশনের পাহাড়ের নিচে ক্রমাগত নিজেকে চাপা দিতে দিতে, দুহাত দিয়ে চোখ টিপে ধরে, অনামিকা আর কনিষ্ঠার মাঝখানের হাফ মিলিমিটার ফাঁক দিয়ে যতটুকু দেখা যায়, দেখি। দেখি আর গোঙাই। “মাগো বাবাগো ভূতে মেরে ফেলল গো” বলে ডাক ছাড়ি।

মা বকেন। বকার কারণ আছে অবশ্য। সেই কোন যুগে একবার টিভিতে রামগোপাল বর্মার “কৌন” দিয়েছিল, সেই যে যেখানে একটা মস্ত ফাঁকা বাড়িতে সাদারঙের গাউন পড়ে ঊর্মিলা মাতোণ্ডকর ঘোরাঘুরি করছিলেন আর মাঝরাতে মনোজ বাজপাই এসে উপস্থিত হলেন আর কারেন্ট-টারেন্ট চলে গিয়ে একটা যাচ্ছেতাই ব্যাপার হল, সেই সিনেমাটা দেখার পর টানা সাতদিন আমি মায়ের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছিলাম। সারাদিনের পরে ক্লান্ত শরীরে মা মশারির ভেতর ঢুকে সবে বালিশে মাথা ঠেকাতেন আর আমি ততক্ষণে হাফ ঘুম সেরে ধড়মড়িয়ে উঠে মাকে রামঠ্যালা দিয়ে বলতাম, “মা মা! শিগগিরি যাও দেখে এস ছাদের দরজা বন্ধ করা আছে কিনা।” মা যত বলতেন আছে আছে, এই তো নিজে হাতে বন্ধ করে এলাম, আমি কাঁদোকাঁদো হয়ে বলতাম, “যাও মা আরেকটিবার দেখে এস, তোমার দুটি পায়ে পড়ি।” তখন মাকে আবার শ্রান্ত শরীর টেনে তুলে মশারি থেকে বেরিয়ে বারান্দা ডিঙিয়ে সিঁড়ি টপকে ছাদের দরজার ছিটকিনি পরীক্ষা করতে যেতে হত।

পরীক্ষা করে এসে মা রাগ দেখিয়ে বলতেন, “আর যদি কোনোদিন দেখেছিস ভূতের সিনেমা তো দাঁড়া...” আমি জিভ কেটে একগাল হেসে উল্টোদিক ফিরে ঘুমের সেকেন্ড হাফে ঢুকে যেতাম।

এই উইকএন্ডটা ভয়ের সিনেমা দেখে ভয় পেতে পেতেই কেটে গেল। প্যারানর্ম্যাল অ্যাক্টিভিটি (২০০৭) আর দ্য ব্লেয়ার উইচ প্রোজেক্ট (১৯৯৯)। ব্যাক টু ব্যাক। দুটো সিনেমাতেই একবারও ভূত দেখা যায় না (প্রথমটায় একেবারে শেষের হাফ সেকেন্ড ছাড়া) কিন্তু তাতে ভয় কিছু কম লাগে না। বান্টি বলে এরকম সিনেমাই নাকি বেশি ভয়ের। যেসব ভূতের সিনেমায় ভূত দেখায় আর ধুমধাম শব্দ করে লোককে চমকে দেওয়ার চেষ্টা করে, “যেমন কিনা ‘কৌন’”, আমার দিকে আড়চোখে চেয়ে বলে বান্টি, সেগুলো নাকি পাতে দেওয়ার মতো নয়।

সে যে যাই বলুকগে আমার দেখা শ্রেষ্ঠ ভয় পাওয়া ভূতের সিনেমাগুলোর সবগুলোতেই ভূত দেখা গিয়েছিল। আমি তো বলি, যতখানি না দেখলেও চলে ততখানিই দেখা গিয়েছিল।

আমার সেরা ভূতুড়ে সিনেমার তালিকার প্রথমেই থাকবে দ্য রিং (২০০২)। সামারা-কে দেখে ভয় পাননি এরকম বীরপুরুষ আমি এপর্যন্ত দেখিনি। রিং দেখেও আমার অবস্থা যারপরনাই করুণ হয়েছিল। মাঝরাতে রুমমেটকে ঘুম থেকে তুলে বাথরুমে যেতে হত। মায়ের মতো আমার রুমমেটের কপালও অত্যন্ত বাড়াবাড়ি রকমের ভালো, প্রশ্রয়মিশ্রিত “কুন্তলা!” ধমকানি ছাড়া সে মেয়ে আমাকে কোনোদিন কিছু বলেনি। ইন ফ্যাক্ট এই প্যারাগ্রাফটার পরে আমি সামারার কালোচুলঢাকা মুখের একটা ছবি দিয়েছিলাম। দিয়ে নিজেই সেদিকে তাকাতে পারছিলাম না। কাজেই ডিলিট করে দিয়েছি। সেজন্য আপনাদের আমাকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত। 

রিং-এর পরেই তালিকায় থাকবে শাটার (২০০৪)। ক্যামেরা যে সাক্ষাৎ শয়তানের প্রতিনিধি সেটা এখনও যারা মানতে চাননা তারা অতি অবশ্য এই সিনেমাটা দেখবেন। কী ভয় কী ভয় বাসরে। আমি জীবনে কোনোদিন কোনো ডার্করুমে ঢুকছিনা বস। লাখটাকা দিলেও না। শাটার দেখেও আমার মর-মর অবস্থা হয়েছিল, কিন্তু এই সিনেমাটাও আমি অলরেডি বার তিনেক দেখে ফেলেছি। সঙ্গে কেউ দেখতে রাজি হলে আবার দেখব।

বলেছিলাম, ভয়ের সিনেমা দেখাটা আমার কাছে ড্রাগের নেশার মত। যত ভয় লাগে, ভয়ের নেশা তত চড়ে। হৃৎপিণ্ড যত জোরে জোরে বুকের ভেতর ধাক্কা মারে, গলা যত শুকিয়ে কালাহারির মতো খটখটে হয়ে যায়, শিরার ভেতর রক্ত যত জমে হিমঠাণ্ডা হতে থাকে, আমি তত নিজেকে বাধ্য করি আঙুলের ফাঁক দিয়ে চেয়ে থাকতে আর বলির পাঁঠার মত ছটফট করতে।

ভগবানই জানেন কেন।

তবে ড্রাগের নেশার সঙ্গে ভয়ের সিনেমা দেখার পার্থক্য হচ্ছে এই যে ড্রাগের নেশা শুধুই খারাপ আর ভয়ের সিনেমার কয়েকটা ভালো দিকও থাকে। আমার জীবনে তো অন্তত আছে। আমি একবার সঙ্গী না পেয়ে একা একাই রাত জেগে রাত (১৯৯২) সিনেমাটা দেখছিলাম আর কেঁপেকুপে সারা হচ্ছিলাম। তক্ষুনি চ্যাটবাক্সে একজন সবুজ হয়ে বললেন, “Hey wassup?” আমি তাঁকে আমার বিপদের কথা খুলে বলতে তিনি বললেন, “কুছ পরোয়া নেই, এই আমি চ্যাটবাক্সের এদিকে তোমার পাহারায় রইলাম, তুমি সিনেমা দেখ। ভয় সহ্যসীমা পেরলেই পিং কোরো, আমি এসে তোমাকে সাহস দেব।”

সেই থেকে তাকে আমি আমার পাহারায় নিয়োগ করেছি। বলতেই হচ্ছে পাহারাদার অতি সরেস। আমি ভয় পাই আর না পাই, সে আমার অতন্দ্রপ্রহরায় থাকে। ফাঁকি দেয়না, হাই তোলে না, “এই একটু আসছি” বলে হাওয়া হয় না। ইন ফ্যাক্ট আমার পাশে বসে ভয়ের সিনেমা দেখতে দেখতে আমারই মতো ভয়ে লাফালাফি করে।

ভয়ের সিনেমা না থাকলে এমন পাহারাদারের সঙ্গে দেখা হত কী করে আমার বলুন দেখি?

 
ছবি গুগল ইমেজেস থেকে

আপনারাও কি আমার মতো ভূতের সিনেমা দেখতে আর ভয় পেতে ভালোবাসেন? নাকি বান্টির মতো “এসব কী ছেলেমানুষি হচ্ছে” বলে উড়িয়ে দেন? আপনার দেখা শ্রেষ্ঠ ভূতের সিনেমা কী? আমাকে বলুন, না দেখে থাকলে লাইব্রেরি থেকে আনানোর ব্যবস্থা করব।

Comments

  1. Nah bhuter cinema dekhina! Dekhar agei jatheshto bhoi pai, ar bhut tut lage na. Tv te kono cinema dekhte dekhte jodi ter pai seta thriller ba bhuture omni channel change! Tobe ghost cinema ta bohu bar dekhechhi ebong sujog pele abar dekhbo! Whoopi Goldberg ke dekhar jonno!

    ReplyDelete
    Replies
    1. হুপি গোল্ডবার্গে হাই ফাইভ রুচিরা। ঘোস্ট আমারও খুব খুব প্রিয় সিনেমা আর প্যাট্রিক সুইজি আমার খুব প্রিয় নায়ক। আমিও ওটা টিভিতে দিলেই দেখি।

      Delete
  2. 'প্যারানরমাল...' আর দ্য রিং, দুইই আমার অতি প্রিয় সিনেমা। একমাত্র এই দু'টো দেখেই আমার গা ছমছম করেছিলো। তবে মনে হয় যে বয়সে 'প্যারানরমাল...' দেখেছি, সে বয়সে দেখলে দ্য রিংও বিশেষ ভালো লাগতো না।
    এর একমাত্র কারণ, ভূতের সিনেমা দেখতে বসে প্রতি মুহূর্তে প্রেডিক্ট করার চেষ্টা করা, যে ঠিক পরের সিনটায় কি হবে। তার সঙ্গে মনে হয়- 'ইস্‌ , কি মেকআপটাই না দিয়েছে...', 'এইটা শ্যুট করতে না জানি কতবার লোকটাকে অমন করে চমকাতে হয়েছিলো...', 'ও, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক কমে গেছে, ক্যামেরা অড অ্যাঙ্গেল থেকে প্যান করতে শুরু করেছে- এইবার নিশ্চয়ই ওই ঝোপটা থেকে কিছু একটা বেরিয়ে আসবে...' -- এই সব। ভয় পেতে পারি না, আর তাই পুরো ব্যাপারটা মাঠে মারা যায়। :'(

    আর হ্যাঁ, আমার মর্ষকামের নমুনা, যে কোন ডেডলাইন সামনে থাকলেই পরিষ্কার পাওয়া যায়- তখন ওইটা বাদ দিয়ে বাকি সব কাজ এত ভাল লাগে, কি বলবো!
    "... আর টিভি থেকে হামাগুড়ি দিয়ে বেরিয়ে এসে সারা বাড়ি জল থইথই করে দেয়। অবশ্য সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির মালিকের ভবলীলাও সাঙ্গ করে, কাজেই ঘরনোংরা করা নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার হয়না।"-- তুখোড়! :D

    ReplyDelete
    Replies
    1. এই তো, তুমি সিনেমা দেখতে বসে বিহাইন্ড দ্য সিন নিয়ে মাথা ঘামাবে আবার ভয়ও পাবে এরকমটা করলে কী করে হবে বল দেখি সুনন্দ? আমার মতে এই হচ্ছে বিশেষজ্ঞ সিনেমাদর্শক হওয়ার অসুবিধে। টেকনিক্যালিটিস অর্ধেক মজা মেরে দেয়।

      তোমার ডেডলাইন সংক্রান্ত মর্ষকামটার আমার আরেকটা মর্ষকামের সাথে অদ্ভুত মিল দেখতে পাচ্ছি। প্রায় প্যারানর্ম্যাল লেভেলের।

      Delete
  3. bah! eta besh moner moto subject. ami eka thaklei amar bhuter cinema dekhte ichhey korey. to the extent je ami Ramsay brothers theke shuru korey Ringu, shob ekadhikbaar dekhe felechhi.
    bhalo horror-er list-e original "The Omen" ke rakhbo. aar tumi je original "Shutter"-er link-ta diyechho, oi jachhetai Hollywood remake-ta na, sheta besh bhalo laglo.
    Tomar je dhoroner horror pochhondo, taate tomay Asia-te concentrate korte hobey - maane mostly Japanese aar Korean movies. eta dekhechho: http://www.imdb.com/title/tt0365376/ ? eta http: //www.imdb.com/title/tt0325655/ ? eta : http://www.imdb.com/title/tt0308379/ ? eta : http://www.imdb.com/title/tt0366292/ ? eta : http://www.imdb.com/title/tt0235198/ ?

    ReplyDelete
    Replies
    1. বাসরে তুমি তো হরর সিনেমার পোকা মনে হচ্ছে সোমনাথ। আর একা থাকলে ভয়ের সিনেমা দেখার ইচ্ছেটা সিরিয়াসলি মর্ষকাম। যাচ্ছেতাই শাটার-টা আমি দেখিনি, লোকজন সাবধান করে দিয়েছিল।

      লজ্জার ব্যাপারটা হচ্ছে তোমার দেওয়া লিঙ্কগুলোর একটাও দেখিনি। আর খুশির ব্যাপারটা হচ্ছে প্রচুর নতুন ভূতের সিনেমা পাওয়া গেল। অজস্র অসংখ্য ধন্যবাদ।

      Delete
    2. shutter theke hindi remake hoechilo click,setai joteshtho bhoyer..amar obostha kharap hoe gechilo..tao din dupure dekhe..ami bou ke ghum theke tule tule bathrume jetam pray ek mas...parle dekhben..click..

      Delete
    3. হাহা, ভূতের সিনেমা দেখে রাতে বাথরুম যাওয়াটা সত্যি কঠিন ব্যাপার। দেখব সিনেমাটা পেলে। খবর দেওয়ার জন্য থ্যাংক ইউ।

      Delete
  4. babare ..biere megh kore andhokar ar prachanda brishtio hocche,aar ami akhon flat e eka achi...link gulo pore dekhai valo.......:) kaun er seshe urmilar oi chokh pakiye camerar dike takano..ar tarpore chader panchile hete berano dekhe amaro pran ure gechilo..amio ota aka baritei dekhechilam...bhagyish ring e meyetar chabi disni!!!!!tobe kodin age akta film delkhlam memories of murder bole horror na semi thriller typer..besh bhalo...!

    ReplyDelete
    Replies
    1. মেমোরিস অফ মার্ডার আমিও দেখেছি। ভালো লেগেছে বেশ। কৌন দেখে তোরও ভয় লেগেছে জেনে শান্তি পেলাম, আমি ভাবতাম আমার একাই ভয় লেগেছে বুঝি।

      Delete
    2. oh hathat mone porlo..akbar akjon amake ei chabita vulie valie dekhate suru korechilo documentary bole ..amio niret gadhar moto dekhechilam anekkhon...tarpor ja holo......http://www.imdb.com/title/tt1038988/
      parle dekhish!

      Delete
  5. ভুতের সিনেমা দেখতে আমার ভালো লাগেনা, তবে প্যারানর্ম্যাল অ্যাক্টিভিটি আমার পছন্দের সিনেমার তালিকায় রয়েছে, রিং অনেক বড় বয়সে দেখেছি তাই বিশেষ দাগ কাটেনি।

    ReplyDelete
    Replies
    1. রিং দাগ কাটেনি! তোমার তার মানে একটুও ভয় লাগেনা সংহিতা। ইস আমি যদি তোমার মতো হতে পারতাম।

      Delete
  6. Ekdom same pinch! Ami 6th sense dekhaar por roj raat-e khater tolae keu boshe aache kina dekhe tobe ghumote jetam. Arekbaar hostel e kono ekta chutir somoe, puro corridor e ami chara aar keu chilo na, aar shei raatei dekhte boshechilam Exorcism of emily rose, die ektu cinema, tarpor ekta Friends er episode, abaar ektu cinema, ei kore purota dekhechilam! Shutter dekhechilam diner belae, janla khule, diner aloe :) tarporeo joto baar shutter dekhi, koekta scene-e ekhono bhoe pai, tao dekha chai! Recent bhooter cinema-er modhe, Insidious dekhe bhalo legeche.
    Amar bor amar motoi bhooter cinema dekhe bhoe pae, but amar tomar moto shokh kore bhoe pete chaena :( tai aajkal bhooter cinema taemon dekha hoena. Tobe ekta cinema amio shuru kore shesh korte parini, sheta holo "the shining", sheta-r jonne Jack nicolson-o kichuta responsible oboshyo. Taake amar emnitei creepy laage, non horror movie-teo.

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহাহাহা পরমা, এক্সরসিস্ট-এর মাঝে মাঝে ফ্রেন্ডস-এর বাফার দিয়ে দিয়ে দেখাটা অনবদ্য। আমি কেন জানি তোমরা ওইসময়ের মুখটা কল্পনা করতে পারছি আর একা একাই হাসছি।

      এই শাইনিং নিয়ে আমার একটু বক্তব্য আছে। আমার সিনেমাটা দেখে ভয় লাগেনি এবং তারও কারণ ওই জ্যাক নিকলসন। ভদ্রলোক এমনিতেই এত অদ্ভুতুড়ে যে শাইনিংটা ওনার স্বাভাবিক অবস্থারই একটা এক্সটেনশন বলে মনে হয়েছিল, কাজেই ঘাবড়াইনি। এক ওই যমজ বোনদুটির সিনটি ছাড়া। তাই ওই ছবিটাই পোস্টে দিয়েছি।

      শখ করে ভয় পাওয়ার জায়গাটা মিলেছে দেখে খুব খুশি হলাম।

      Delete
  7. Ami nei er modhye! "Ma go baba go bhute mere fello go" ta OTYONTO appreciate korlam, ar kichui bhai appreciate korte parlam na, sorry. Onyo topic e abar comment korbo, ei ti amar line er baire (ar tatei ami khushi).

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা, নো প্রবলেম রিয়া।

      Delete
    2. ha ha,, riya r songe cinema dekhte boshle ota jei bhoot line e byanke tokhon o daak chhere chechay "TV bondho koro, channel change koro"bole.
      ami khub beshi bhoter cinema dekhini tobe college e porte challenge niye niye kichhu bibhotsho cinema dekhtam jemon final destination er sob kota part, silence of the lambs etc. dekhte bhalo lagto na motei, tobe challenge ta bhalo lagto. oi "tora meyera esob dekhte parbi na"ta aro oshojhyo lagto.

      Delete
    3. সত্যি সোহিনী, এই ছেলে মেয়ে চ্যালেঞ্জগুলো শুনলে আমারও পিত্তি জ্বলে যায়।

      Delete
  8. আমি শুধু র‍্যামসে ব্রাদার্সের সিনেমা দেখি।

    ReplyDelete
  9. kuntaladiiiiiiiiiiiii!!!!!! ami to dekhchi tomar xerox copy puro..konta nei amar..porikkhar agerdin golper boi pora, daine baye na dekhe dhopadhop preme pora, ar joto bitkel bitkel bhoot er chhobi dekha..horror movie amar obsession bolte paro..joto beshi voy pabo toto beshi satisfaction.. :P
    amar dekha kichu favorite cinema holo, ring, grudge, grudge2(ei cinema ta dekhte dekhte amar mone hoyechilo bhoot gulo ebar japan america chhere amar ekhaneo chole asbe), shutter, 1408, the echo, the shining.
    Recent akta bhoot er chhobi dekhe atmaram khacha chhara howar jogar hoyechilo seta holo the woman in black. dekhecho? na dekhle dekhe nio, erom danger bhoot er cinema khub komi dekhechi. ami emnite dupurbela ghor er sob janla dorja khule facebook on kore bhooter cinema dekhi, joto ta human contact rakha jaye ar ki. bt ei chhobi ta ami ratribela dekhechilam, kichuta nijer sathe challenge kore..kotobar je hau mau kore dak chhere kede uthechi ki bolbo tomake..sheshe akta bondhu ke phn korlam, ha raat 3ter somoy. akebare 3am friend jake bole. se kane phn dhore bose roilo oi paare, ar ami edike ma go baba go bole cinema ta puro dekhlam. haar him kora boi bishash koro. ota dekhar por besh koyek soptaho amar ratribela bathroom jawa mathaye uthechilo.
    bhoot er boi dekhar arekta side o ache, seta holo romantic side..boyfrnd(othoba crush) er sathe ondhokar ghore pashapashi bose laptop e bhoot er cinema dekho ar voy peye atke uthe take joriye dhoro..hehee :D

    ReplyDelete
    Replies
    1. এই তো বেশ কয়েকটা আরো ভূতের সিনেমার রেকমেন্ডেশন পাওয়া গেল। থ্যাঙ্ক ইউ কুহেলি। ওম্যান ইন হোয়াইট দেখেছি, ব্ল্যাকটা দেখব'খন।

      Delete

Post a Comment