ব্রাঞ্চ


আমার বুড়োবয়সের বিলাসিতার মধ্যে ব্রাঞ্চ একটা। বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে পর্যন্ত আমি ব্রাঞ্চ ব্যাপারটা কাকে বলে জানতামই না। শুধু জানতাম রবিবার সকালে খেতে দিতে মায়ের দেরি হয়। পেটের তো অভ্যেস হয়ে গিয়েছিল, সাড়ে সাতটা বাজতে না বাজতেই সে বলত, কই আমার দুধ মিল্কবিকিস কোথায় গেল আর মগজ তাকে ধমক দিয়ে বলত, হাঁদারাম কোথাকার! দেখছিস না রান্নাঘর থেকে কী খুশবু আসছে, এখন দুধ বিস্কুট খায় কেবল পাগল আর পায়জামারা।

সত্যি। একটু পরেই দুহাতে দুটো বড় বড় প্লেট ব্যালান্স করতে করতে মা ঘরে ঢুকতেন। মুখভরা হাসি, কপালভর্তি ঘাম। পালকো বাসনালয় থেকে কেনা স্টেনলেস স্টিলের আটপৌরে থালা নয়, মায়ের বিয়েতে পাওয়া সূক্ষ্ম কলকা আঁকা ভারি চীনেমাটির প্লেট, আলমারির নিচের তাক থেকে বার করা। খাটের ওপর আনন্দবাজার পেতে বাবা আর আমি বাবু হয়ে বসতাম। আনন্দবাজারের ওপর থালা, থালার ওপর কোনো রবিবার চাউমিন, কোনোদিন চিঁড়ের পোলাও, কোনোদিন সাবেকি লুচি তরকারি। মিল একটাই, সব খাবার থেকেই জিভে জল আনা সুগন্ধি ধোঁয়া পাকিয়ে পাকিয়ে সিলিঙের দিকে উঠছে।

তিনআঙুল দিয়ে লুচি ছিঁড়তে উদ্যত হয়েই বাবা থমকে যেতেন।

তোমারটা কোথায়?

আছে আছে, তোমরা খাও না।

বাবার দেখাদেখি আমিও বেঁকে বসতাম। কিছুতেই লুচি মুখে তুলবনা যতক্ষণ না মা-ও আমাদের সঙ্গে খেতে বসবেন। অগত্যা মাকে একটা প্লেট হাতে নিয়ে এসে খাটের ধারে বসতে হত।  যা ভেবেছি ঠিক তাই। আমাদের থালায় নিখুঁত গোল আর নিটোল আধখানা চাঁদের মতো বেগুনভাজাগুলো চালান করে মা নিজের জন্য সব শুঁটকোমার্কা অ্যাঁকাব্যাকা বেগুনভাজাগুলো রেখেছেন। আর যে গোঁয়ারগোবিন্দ লুচিগুলো খুন্তির হাজার খোঁচাখুঁচি সত্ত্বেও ফুলতে রাজি হয়নি সেইগুলো। মায়ের প্রবল প্রতিরোধ অগ্রাহ্য করে সব থালায় রোগা-মোটা বেগুনভাজা আর চ্যাপ্টা-ফুলকো লুচির ডিস্ট্রিবিউশন সমান করা হত। মাঝ-খাওয়া মা আবার চুপিচুপি থালার লুচি এদিকওদিক করার চেষ্টা করতেন। তখন আবার একপ্রস্থ হইহল্লা।

যত না খাওয়া তার থেকে বেশি চেঁচামেচি।

সবথেকে আশ্চর্যের কথা বেলা দশটা নাগাদ অতগুলো লুচি বেগুনভাজা (কোনো কোনোদিন তার ওপর আবার সেমাইয়ের পায়েস) সাঁটিয়ে আবার দেড়টা বাজতে না বাজতেই মাংসের ঝোল দিয়ে একথালা ভাত খেতে বসে যেতাম। চিরদিনই আমার মাংসের চাইতে ঝোলের অন্যান্য জিনিসের প্রতি টান বেশি। মা আমার জন্য মাংসের ঝোলে বেশি করে আলু দিতেন। টেংরি ফেলে আমি গলার পিসের জন্য ঝুলোঝুলি করতাম। আলু, মেটের টুকরো আর ঝোল দিয়েই আমার সব ভাত খাওয়া হয়ে যেত।

খানদানি ব্রাঞ্চের দেখা পেলাম যখন তখন খিদে কমে গেছে অনেক। তবু ব্রাঞ্চ খাওয়ার উৎসাহ আমার লাঞ্চ বা ডিনারের থেকে কোটিগুণ বেশি ছিল। তার একটা প্রধান কারণ ডিম। একরকম ডিমকে যে কতরকম করে রান্না করা যায় সে সাহেবদের থেকে ভালো কেউ জানেনা। সফট, সেমিসফট, হার্ড বয়েলড; ওভার ইজি, মিডিয়াম, সানি সাইড আপ; সত্যিকারের পোচ আর যেটাকে ভুল করে আজীবন পোচ বলে ডেকে এসেছি সেই ফ্রাই, স্ক্র্যাম্বলড, অমলেট, বেনেডিক্ট, এগস অ্যান্ড সোলজারস, এগস ইন আ হোল, ফ্রিটাটা---টাইপ করতে করতে আমার আঙুল ব্যথা হয়ে যাবে তবু রান্নার নাম ফুরোবে না।

ডিম যদি ভালো লাগে আপনার তাহলে ব্রাঞ্চও ভালোলাগবে। লাগার সম্ভাবনা অন্তত খুবই বেশি।

আর ভালোলাগবে যদি আড্ডা ভালোলাগে। শুক্রবার সন্ধ্যের বেশির ভাগ আড্ডাই গড়াতে গড়াতে শনিবার ভোররাতে গিয়ে ঠেকত। তখন সোফায়, মেঝেতে, এর গায়ের ওপর ওর হাঁটু তুলে, ওর হাঁটুর নিচে তার নাক চাপা দিয়ে মুখ হাঁ করে ঘুমোত সবাই। ঘুম ভাঙতে ভাঙতে সেই দশটা। উঠে, একে ওকে ঠ্যালা মেরে তুলে, চায়ে চুমুক মেরে হাই তোলা থামাতে থামাতে সাড়ে এগারোটা। ততক্ষণে পেটের ভেতর খাণ্ডবদাহ শুরু হয়ে গেছে। রান্না করার এনার্জি কারোর নেই।

ইচ্ছেও থাকত না অবশ্য। গুগল খুলে নিত্যনতুন ব্রাঞ্চ খাওয়ার জায়গা খুঁজে বার করে আমরা দুর্গা বলে বেরিয়ে পড়তাম। খিদের ডিগ্রি বুঝে ঘরের পাশের চেনা জায়গায় যেতাম, GPS দেখে দেখে ধ্যাধধেড়ে গোবিন্দপুরেও গেছি। কোথাও কোথাও দেড়ঘণ্টা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার পর অখাদ্য প্যানকেক চিবিয়ে দোকানের গুষ্টির তুষ্টি করেছি, কোনো কোনো সন্দেহজনকরকম ফাঁকা দোকানে জীবনের শ্রেষ্ঠ অমলেট খেয়েছি। খেতে খেতে চোখ বুজে এসেছে। গলা দিয়ে আপনা থেকে গুনগুনিয়ে গান বেরিয়ে এসেছে।

চেনা অচেনা, খাঁখাঁ বা গাদাগাদি ভিড়, কোনো দোকানেই অবশ্য পাতে দেওয়ার মতো এগ হোয়াইট/স্কিনি/অ্যাথলিট’স অমলেটের দেখা পাইনি। সব দোকানেই ওটা সমান অখাদ্য খেতে। আমার আর কোনো উপদেশ না শুনলেও এইটা শুনবেন প্লিজ, অমলেট খেতে হলে গোটা ডিমেরই খাবেন। না হলে খাবেন না।

তবে সত্যি বলতে কি ম্যাটার করবেনা। যতক্ষণ আড্ডা চলবে, কফির কাপ রিফিলের পর রিফিল হয়ে যাবে আপনার অজান্তেই, জন্মজন্মান্তরের প্রিয়বন্ধুদের জরাজীর্ণ রসিকতায় আবার নতুন করে হেসে গড়িয়ে পড়া যাবে ততক্ষণ কিচ্ছু ম্যাটার করবেনা। অমলেটের ভালোমন্দ তো নয়ই। গল্প করতে করতে, হাসতে হাসতে, টেবিল ঘিরে বসে থাকতে থাকতে বেলা গড়িয়ে বিকেল হয়ে যাবে কখন টেরই পাবেননা। হঠাৎ চমকে উঠে দেখবেন আকাশে সূর্য দিক বদলে ফেলেছে, চারপাশের বাতাস অনেক ঠাণ্ডা হয়ে এসেছে, বাড়ি ফেরার সময় হয়ে গেছে।

অলরেডি?

হুশ করে চক্ষের নিমেষে কেটে যাওয়া দিনগুলোই মনের সবথেকে গভীরে নোঙর ফেলে বসে থাকে। ছুটির দিন সকালে ইন্টারনেটের সামনে একা একা বসে চায়ে চুমুক দেওয়া মাত্র ঘাই মেরে মাথা তোলে। কবেকার কথা, মনে হয় এই হাত বাড়ালেই ছুঁয়ে ফেলব। এর হাসি, ওর গলার আওয়াজ, টেবিলের ওপর কাত হয়ে পড়া সূর্যের আলোটাকে।

কোনো DSLR-এর সাধ্য নেই ওই আলোটাকে বন্দী করে আমার কাছে এনে দেওয়ার।

Comments

  1. lekhata ki bhalo!monta kemon luchi luchi korche,sange mohonbhog

    ReplyDelete
    Replies
    1. এইটা একটা দারুণ গানের প্রথম লাইন হতে পারে। "লুচি লুচি করছে আমার পাগলা মন..."

      Delete
    2. :)))) shiggir porer linegulo likhe fel!tarpore shilajitke bolbo.ektu geye dite!

      Delete
    3. বলছিস? দাঁড়া তাহলে লিখি।

      Delete
  2. Replies
    1. স্মৃতিটা আরও সুন্দর বিম্ববতী। যদি দেখাতে পারতাম বুঝতে।

      Delete
  3. Tomader tinjoner robbarer jalkhabar khaoar barnona ta khub mishti. Amra majhe moddhe tinjone erakom luchi nie bosi! Shudhu parthokko hochhe luchi ta eka banano Tuktuker mayer khamotar baire Kajei babakeo haat lagate hoi ar jakhon balance kore dhokar byapar ta hoi takhon dujoner haate luchir jhuri tarkarir bati ityadi! Tuktuk pechhon pechhon Hama die! Tarpore baba Maa tin Angule luchi chhere ar Tuktuk ekta luchi nie khete ar apran cheshta korte thake Jodi gota jhuri shuddhu luchi ke jhankie jhankie matite phele deoa jai!!

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহাহাহা, টুকটুক অসাধারণ।

      লুচি একা বানানো উচিতও নয় রুচিরা। মায়েরা বানিয়েছেন, বানিয়েছেন। আমাদের প্রজন্মের লোকজনকে লুচি খেতে হলে, হাত লাগাতে হবে। ব্যস।

      Delete
    2. হাহাহাহা রুচিরা, এটা অপ্রত্যাশিত ছিল তাই বেশি মজা লেগেছে। কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করি তুমি দিনে দিনে আরও ভালো লুচি-অ্যাসিস্ট্যান্ট হয়ে ওঠ (এবং প্রধান রাঁধুনি হওয়ার কুচিন্তাও মাথায় এনোনা)।

      Delete
  4. বাবা, মা আর মেয়ের রবিবাসরীয় প্রাতরাশের বর্ণনা... অসাধারণ!

    ReplyDelete
    Replies
    1. প্রাতরাশগুলো অবশ্য বর্ণনার থেকেও একশোগুণ বেশি ভালো হত।

      Delete
  5. Replies
    1. থ্যাঙ্ক ইউ থ্যাঙ্ক ইউ রাখী।

      Delete
  6. মাংসের গলা খাওয়া ব্যাপারটা নিয়ে একটা খুব বাজে ঘটনা মনে পরে গেল। বাজে বলেই আর লিখলাম না। কুন্তালা দি ফাটাস অ্যান্ড ফাটিস লেখাটা :))

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাঙ্ক ইউ থ্যাঙ্ক ইউ প্রিয়াঙ্কা। ভালোই করেছ বলনি, গলা আমার খেতে বড় ভালোলাগে, ও নিয়ে আমি কোনো বাজে গল্প শুনতে চাই না।

      Delete
  7. uff jio K, jio...ashadharon post!!! aha, shei robibar sakaler luchi aar dupurer mangsher jhol...kono katha hobe na :))
    satyi amader maa-era anek kaajer chilen...aamader oi department ta ektu weak :(((

    ReplyDelete
    Replies
    1. Na na, amrao bhaloi pari. Desh e to atleast "kajer mashi" ra onekta kaj egiye daye, ekhane to ami jotheshto difficult traditional bangali ranna shikhe felechi ar koreo feli, eka eka.

      Delete
    2. শম্পা, থ্যাঙ্ক ইউ ভেরি মাচ। আরে মায়েরা কাজের ছিলেন না দায়ে পড়ে কাজের হতে হয়েছিল কে জানে। আমার স্পষ্ট মনে আছে গ্যাসের সামনে দাঁড়িয়ে ঘর্মাক্ত শরীরে মা মালপোয়া ভাজছেন আর আমাকে পই পই করে পড়াচ্ছেন, "খবরদার বাড়িতে কোনোদিন মালপোয়া বানানোর চেষ্টাও করবেনা সোনা। কিংবা বিরিয়ানি। কিংবা ডিমের চপ। খেতে ইচ্ছে হলে বাজারে অনেক দোকান আছে কিনে এনে খাবে।"

      মায়ের মা-ও শুনেছি মা-কে পই পই করে পড়িয়েছিলেন, "ওরে চাকরি করিস চাকরি করিস চাকরি করিস।" মা দিদিমার কথা শুনেছিলেন, আমিও এব্যাপারে মায়ের কথা শুনবো ভাবছি।

      Delete
    3. Eitar sathe ekmot kintu hote parlam na. Ma banak ki Baba banak, barite banate ekjon ke hobei. Nahole next generation ei rokom post likhbe ki kore. Dunkin Donuts er hashbrown ar everything bagel with chive cream cheese thalay shaajiye dile ki ar pet theke post berobe.
      Mashi tomake eishob baniye khaiyechilo bolei na tumi likhle...

      Delete
    4. আরে আমি কী করব বং মম, মাসি তো নিজেই মেয়ের খাটুনি কমানোর জন্য বারণ করেছে। আমি আপনার যুক্তিটা মানছি। আমার ছানাপোনা হলে আমিও তাদের ফুটনে বসিয়ে লুচি খাওয়াতে পারলে বর্তে যাব। কিন্তু মা তখনো ভাববে, আহা আমার সোনার না জানি কত কষ্ট হচ্ছে।

      Delete
    5. Chana Pona hok tarpor dekhbo Mashi ki bole. Amar Ma'r sarakhon chinta je ami bodhoy bachcha gulo ke na khaiye rakhchi ;-) "Aha re duto parota te school er lunch e kore dite parish", bole shuru hoy !! Meye gulo o temni hoyeche, bole shudhu Didun ele luchi khete pari !!!

      Delete
    6. হাহাহাহা কী বিচ্ছু দুই বোন বং মম।

      Delete
  8. Robibar er mangsher jhol ta ekhono majhe modhyei banai. Not a big deal. Kintu luchi byapar ta boddo somoy sapekkho ar puro byapar ta jehetu deep fry kora tai oto na kheleo chole. Ami oboshyo gol-luchi banate pari na, kintu amar mone hoy ota "look and feel" er byapar. As long as taste (mane functionality of luchi) thik ache totokhon ami ar kichu niye bhabina. Tobe ha, eka luchi bananor proshnoi othe na. Help needed!
    Brunch jinish ta oboshyo ami khubi pachhondo kori - se deshi-bideshi jerokomi hok na keno! Saradiner onekta time save hoy.

    ReplyDelete
    Replies
    1. হ্যাঁ মাংসের ঝোলটা বানানো বেশ সোজা রিয়া। ব্রাঞ্চে সময় সেভ হয় মানে বোধহয় বলতে চাইছ যে দুবারের রান্নাটা একবারেই করে নিলে চলে? আমি আসলে ব্যাপারটাকে অন্যভাবে দেখি। ব্রাঞ্চ মানে ব্রেকফাস্ট আর লাঞ্চ---দুটোর সময় মিলিয়ে একটাই খাওয়া। অর্থাৎ কিনা প্লেট নিয়ে সারাদিন বসে থাকা টেবিলে। ডবল সময় নষ্ট। ডবল মজা।

      Delete
    2. Hahah... ha ami ekta rannay ar ekta time e duto khaoa ei bhebe time save er katha bolchilam. Janoi to ami ginni-ma type er manush, tai songsar e somoy er guto khai ar ektu bachate parle borte jayi :D
      Ginnima boltei je cheharata mone pore setar sange nijeke equate kore dekhchi ar hashchi :D :D

      Delete
  9. luchi'r shape er byapar e amar ek dadu bolechilen (after eating luchi made by me) "e to dektazi shob desh mahadesh er gyan paat ei aze...na! pet puzao hoilo aar bhugol porao hoilo" ....takhon aami khub rege giyechilam karon saadh kore "natni'r haater luchi khamu, luchi khamu" korechilen bolei baniyechilam, na hole amay pagol kuttay kamray ni je barite sabai thakte aami luchi
    banabo :((
    kintu ekhon bhable khub haashi pay :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. ওহ শেপ নিয়ে কোনো কথা হবেনা। আহারে তোমার তখন কীরকম লেগেছিল আমি কল্পনা করতে পারছি। দাদুরা একটু কম সেনসিটিভ হন এসব ব্যাপারে আমি খেয়াল করে দেখেছি। দিদারা হন না। আমার মা শ্বশুরবাড়ি এসে শুরুর দিকে অস্ট্রেলিয়ার ম্যাপের মতো রুটি বেলতেন। বাবা কাকারা খেতে বসে হাসত, মা মরমে মরে যেতেন আর ঠাকুমা ছেলেদের ধমক দিয়ে বলতেন, "আমরা অস্ট্রেলিয়া রুটিই খাই, তুমি কিচ্ছু ভেব না।"

      এটার একটা কারণ হতে পারে অবশ্য যে ঠাকুমাদিদিমারা ভুক্তভোগী। তাঁরা বোঝেন কত ধানে কত চাল। আমার ঠাকুমা তাঁর আট সদস্যের সংসারে একটিমাত্র সহকারী পেয়ে বর্তে গিয়েছিলেন নিশ্চয়, সে সহকারী অস্ট্রেলিয়া রুটিই বানাক কি অ্যান্টার্কটিকা ঠাকুমার কিচ্ছু এসে যেত না।

      Delete
  10. Replies
    1. লুচি তো? সে আর বলতে কুহেলি।

      Delete
    2. dhet! tomar lekha ta :D bishesh kore oi robibar er breakfast khawar golpo ta..ma gulo sob akrokom hoy kano bolo diki..
      ar shesh para ta pore to amar gaye besh kata dicchilo..

      Delete
    3. হ্যাঁ মায়েদের ব্যাপারটা রহস্যজনক।

      Delete

Post a Comment