সিজন চেঞ্জ


গত ক’দিন ধরে শরীরটা জুত নেই। হাঁচি কাশি পেটগরম লেগেই রয়েছে। গা ম্যাজম্যাজ, ঘাড় টনটন, সর্বাঙ্গ বেঁকিয়েচুরিয়ে মাঝে মাঝে এমন আড়মোড়া ভাঙছি যে নাদিয়া কোমানেচি দেখলে লজ্জা পেতেন।  মাকে বলতে মা ফোনের ওপার থেকে নিশ্চিন্ত গলায় বললেন, “হবেই তো, সিজন চেঞ্জের সময় এসব হয়। মায়ের কথা শুনবে না তো আর কী করা যাবে।”

এইজন্য মায়ের সঙ্গে কথা বলতে আমার এত ভালো লাগে। মাথা খাটানোর কোনো ব্যাপারই নেই। কথাবার্তা কোনদিকে গড়াবে সে নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তা করতে হয় না। শরীর, মন, খাওয়াদাওয়া আর কথা না শোনা---এই ক’টা কি-ওয়ার্ডস আর তাদের পারমুটেশন কম্বিনেশন। ব্যস।

পৃথিবীর বেশিরভাগ লোকের সঙ্গে কথাই তো আসলে চাপানউতোর। পিং পং খেলা। ও কী বললে আমি কী বলব, ও কী না বললে আমিও কী কী বলব না তার নিরবচ্ছিন্ন গেসিং গেম। এমনকি কথোপকথন শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ওর কোন কথাটার উত্তরে আমার কী বলা উচিত ছিল, কেন বললাম না সেই নিয়ে অনুতাপের জাবরকাটা।

সে তুলনায় মায়ের সঙ্গে কথা বলাটা সিরিয়াসলি কেকওয়াক। সেই জন্য আমি দিনের মধ্যে অন্তত তিনবার মাকে ফোন করি। বান্টি চোখ ঘোরালেও পাত্তা দিই না।

মা’কে বললাম, “আচ্ছা আচ্ছা শুনবো, বল কী করতে হবে।” মা গড়গড়িয়ে বলে গেলেন, দিনে তিনবার নুন গরম জল দিয়ে গার্গল, সকালে উঠে উষ্ণ গরম জলে লেবুর রস আর মধু মিশিয়ে খাওয়া, রোজ গায়ে ভালো করে তেল মালিশ করে গরম জলে  স্নান করা, ঘরের মধ্যে মোজা আর হাফ সোয়েটার পরে থাকা, পারলে বউটুপিও (কেই বা দেখছে সোনা?)। আর তাতেও যদি না কমে অবিলম্বে ডাক্তারের কাছে নাম লেখানো।

আমি “দেখছি দেখছি” বলে তাড়াতাড়ি ফোন কেটে দিলাম। মায়ের দেহে অনন্ত এনার্জি আছে বলে আমারও যে থাকতে হবে তেমন তো কথা নেই। এই সামান্য ঠাণ্ডা লাগার জন্য যদি এত দক্ষযজ্ঞ করতে হয় তাহলেই হয়েছে আরকি। মা তো নিজেই বললেন, সিজন চেঞ্জ। তার থেকে বরং আমি গালে হাত দিয়ে বসে সিজন বদলানোর প্রতীক্ষায় থাকব।

সিজন চেঞ্জের যতগুলো সিজন আসে বছরে, তার মধ্যে এটা আমার সবচেয়ে প্রিয়। এই গরম ঠাণ্ডা মেলামেলির সময়টা। ঠোঁট অল্প অল্প ফাটতে শুরু করেছে; হাতের তেলোয় সামান্য খসখসানি, গালের চামড়ায় ঈষৎ টান। ঘুম ভাঙলেই উঁকি মেরে দেখি, আমার বাড়ির সামনের ঝকঝকে রাস্তাটা রোজ ঝরা পাতায় ঢেকে থাকতে শুরু করেছে। মুখ হাঁ করে জোরে জোরে নিঃশ্বাস ফেলে দেখি ধোঁয়া বেরোচ্ছে কিনা। ওটাই শীত আসার ফুলপ্রুফ প্রমাণ। দোকানে দোকানে ম্যানেকুইনদের গায়ে নতুন মডেলের সোয়েটার আর কোট। একটা ম্যাটফিনিশ সর্ষেফুল রঙের কোট বেশ ক’দিন ধরে চোখে চোখে রেখেছি, দামটা একটু নামলেই ঝপ করে কিনে ফেলব।

বর্ষা বর্ষা করে সর্বক্ষণ লাফাই বটে কিন্তু শীতও আমার মন্দ লাগে না। গরমের দেশের কোনো লোকেরই লাগে কি? কলকাতায় ক্যালেন্ডার দেখে সোয়েটার পরতে হত যখন তখনও আমার শীত ভালোলাগত। রিষড়ায় কলকাতার থেকে একটু বেশি ফাঁকা জায়গা আর একটু বেশি গাছ কিনা, তাই আমরা ধরে নিতাম ঠাণ্ডাটাও একটু বেশিই পড়ে নির্ঘাত। রোজ ফোনে কসবার ছোটমামির সঙ্গে মায়ের ঠাণ্ডা লড়াই হত, “কলকাতায় আজ ১৮ ডিগ্রি বলছে? আমাদের এখানে তো তাহলে হেসেখেলে ১৫।” তবে মা আর মামি দুজনকেই বড়মামির কাছে হার মানতে হত। কারণ দিল্লিতে তখন ৭ ডিগ্রি। টেনেটুনে।

ছোটবেলায় শীত আসার জন্য হাঁ করে বসে থাকতাম আমি। কবে ছাদে বসে কমলালেবু খাওয়া যাবে, কবে ছাদ থেকে মাদুর গুটিয়ে নামতে না নামতেই ঝপ করে ঘাড়ের ওপর সন্ধ্যে লাফিয়ে পড়বে, কবে মা গোল গোল কড়াইশুঁটি আর লাল টুকটুকে টমেটো দিয়ে আমার প্রিয় বাঁধাকপির ঘণ্ট রান্না করবেন আর কবে খাটের তলা থেকে বড়মার লোহার ট্রাঙ্ক বেরোবে। বড়মা অর্থাৎ কিনা আমার বাবার ঠাকুমা, আমার ঠাকুমার শাশুড়ি আর আমার মায়ের দিদিশাশুড়ি। মায়ের বিয়ে হয়ে আসার পরেও কিছুদিন বেঁচে ছিলেন তিনি। মাকে খুব ভালোবাসতেন শুনেছি। নাতবউ বলে কথা। এখনো বড়মার কথা মাঝে মাঝে উঠলে মায়ের মুখটা হাসি হাসি আর ঠাকুমার মুখটা গোমড়া হয়ে যায়।

বড়মার ট্রাঙ্ক খোলাটা একটা পর্ব ছিল আমাদের বাড়িতে। মা মেঝেতে থেবড়ে বসে দুহাতে লোহার ভারি ডালাটা তুলতেন। আমি পাশে হাফ নিচু হয়ে হাঁটুতে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতাম। খোলামাত্র ন্যাপথালিনের গন্ধ নাকে ঝাপটা দিত। ট্রাঙ্কের ভেতর থেকে সোয়েটার, মাফলার, শাল চাদরের সঙ্গে মায়ের বিয়েতে তত্ত্বের সঙ্গে পাওয়া সাটিনের ওয়াড় পরানো লেপও বেরত। আর আমার ফেভারিট বেগুনি রঙের সোয়েটার।

এখন আর সে ট্রাঙ্ক নেই, সে সাটিনের লেপও না। ছাদে বসে কমলালেবু খাওয়ার সুখও গেছে বহুদিন হল। কিন্তু তবু শীতের জন্য অপেক্ষাটা রয়ে গেছে কেন কে জানে। অভ্যেস বলে বোধহয়।

Comments

  1. Sheetkaal amar priyo ritu. Chhoto thekei 'priyo ritu' rochona ashlei ami sheetkaal likhtam.

    Oidike 'Rushdesher Upokotha' bole russian fairytales er translation amar chhotobelar priyo boi chhilo. Sekhane patay patay khali sheeter naamey kharap kotha ar goromer naamey bhalo kotha lekha thakto. Tokhon Russiar climate ityadi bojhar moto boyesh hoyni amar. Tai bhari raag hoto. Sheetkaal emon ki dosh korechhe, bolo?

    ReplyDelete
    Replies
    1. ওরে বাবা বিম্ববতী, ওদের শীতকাল মানে তো খাবার নেই, চারদিকে বরফ, নেকড়ে শিকারে বেরিয়েছে। ভয়াবহ। আমাদের শীত সে তুলনায় স্বর্গ।

      Delete
  2. fulkopi die koimach khete icche korche tor lekhata pore:)..bhalo hoyeche ..amaro akta priyo beguni sweater chilo ,didar bona..buker kache designta amaro akhono mone ache

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাতে বোনা সোয়েটারগুলো কী ভালো হত না? দোকানের সোয়েটারের ডিজাইন ভালো হতে পারে কিন্তু সেই ব্যাপারটা মিসিং।

      Delete
  3. aamio phulkopi diye koi khabo....aboshho anya mach holeo cholbe ;)

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমার আবার আলু পটল দিয়ে রুই মাছের ঝোল বেশি পছন্দ।

      Delete
  4. tumi mishti bhalobaso na bole pithe-puli ta nahoy maaf kora gelo, kintu koraishutir kochuri r kothatao bhule mere dile? :P
    khub sundor laglo lekhata pore...tomar okhane to tao pata jhorche, ekhane besh gorom..amio sheet er opekkhay bose achi :-)

    ReplyDelete
    Replies
    1. Amio mishti khai na, kintu notun gurer payesh khai :) Khub beshi korei khai, chance pelei :) Sheet kale to singara teo kopi-koraishutir pur daye. Uff ki byapok sob jinish.

      Delete
    2. hyan notun gurer payesh e aamio achhi.
      aar kopi-koraishuti pu aala singara teo achhi.
      aar ki!
      o hyan khasta khochurio holeo cholbe!
      ba fulko sada luchi with light kalo jeere alur torkari
      ba gorom gorom beguni (khub alpo besan ala ta...besan e jeno kalo jeera plus randhuni thake)
      ba kora kore bhaja fishfry (with maggi hotnspicy sauce)

      Delete
    3. উফ তোমরা সবাই মিলে আমার খিদে পাইয়ে দিলে এদিকে ভাঁড়ারে ম্যাগি ছাড়া কিচ্ছু নেই এখন কী হবে? আমার ফুলকো সাদা লুচি আর কালোজিরে দেওয়া আলুর তরকারি চাই। এক্ষুনি।

      Delete
    4. phulko sada luchi aar kalo jeere alu'r kono jawab nei.....amar saheb bondhura amader bari giye char bela emon luchi khachhilo je randhuni maashi to praye kaaj e chere dey...sheshe tar haate paaye dhore manage korte
      hoy :)

      Delete
  5. Kolkatar sheet amar boro bhalo reetu. Amader chhad uttor khola (keno tar pechhone lomba golpo ache) tai sheet er rod kom petam ar thanda haoya beshi petam. Ta holeo komlalebu khaoyar jonye boshbar ample space/sunshine chhilo :-)
    Tachhara sheet ei to boimela, nicco park, Eden Gardens er test match ar school e badminton khelar time :-)

    ReplyDelete
    Replies
    1. aha! shob bhalo bhalo jinish mone koriye diley :)

      Delete
    2. Arey Christmas tai to bhule gechi. Amader bari te jholmole sobuj, shoru shoru jhiri jhiri patar gachh rakha hoy ar 2-tolar dalan jure rong-berong er streamers, odike Nahoum er cake...egulo ekhono bhaloi enjoy korte pari karon Christmas er somoy amra niyom kore Kolkata jayi :D

      Delete
    3. ব্যাডমিন্টনটা আমিও সিরিয়াসলি মিস করি। ব্যাট, কর্ক, সঙ্গী, সবেরই অভাব।

      Delete
  6. বউটুপি কী? হনুমানটুপি?

    ReplyDelete
    Replies
    1. যাঃ বউটুপি মোটেই মাঙ্কিক্যাপ নয়। একটা ঘোমটার মতো ব্যাপার থেকে দুটো দড়ির মতো ব্যাপার বেরিয়ে আসে, সেদুটো চিবুকের নিচে বাঁধতে হয়।

      Delete
    2. Cinemar Ron Weasley'r tupir moton?

      Delete
    3. Oh..achha...mane scarf ar tupi'r majhamajhi? Ki sanghatik sob jinish. Achha, monkey-cap er kathay mone holo, Bangali chhara ar kono manush ke monkey-tupi porte keu dekheche?

      Delete
    4. Jara North-Pole ba South-Pole ba Everest e expedition e jaay, tara monkey cap pore seta ami dekhechhi. E chhara north Indianrao pore khub thanday, ar monkey tupir tolata gutiye nile ja hoy seta to USA te sobbai pore. Kintu 15 degree Celsius e monkey tupi Bangali chhara ar keu porena.

      Delete
    5. Hahaha!! Setai holo katha. Bangali'r sob cheye boro bhoy to "thanda lege jabe", tai... :D

      Delete
    6. এইটা তুখোড় বলেছেন সুগত। বাঙালি এদিক দিয়ে সত্যি ইউনিক।

      Delete
  7. কুন্তলাদি এত ভালো লেখ কেন তুমি? মনটা ঝপ করে খারাপ - না না উদাস, হয়ে গেল। মায়ের সেইসব ছোটোখাটো আনুশাসন তখন নিশ্বাস-প্রশ্বাসের মত গায়ে লেগে থাকত। সবকিছুতে ভালো করে কানও দিতাম না। মায়ের ওইসব 'জল খা' বা 'মাফলারটা জড়িয়েছিস' বা 'সারাদিন টি.ভি-র সামনে বসে থাকলেই হবে' ইত্যাদিগুলো শুনলে মনে হত - ধুস্‌! মা আমায় উদ্দেশ্য করলে দাদা মিচকি হাঁসি দিত আর দাদা উদ্দেশ্য হলে আমি। এখন ওগলো শুনতে পাইনা সারাক্ষণ বলে 'ধুস্‌' মনে হয়। আর শীত চিরকালই আমার ভীষন ভীষন প্রিয় ঋতু। বিশ্বাস করো, যতবার পেরেছি বাংলা রচনায় শীতের গুনগান গেয়েছি। শীতের আগে এই প্রি-শীতটার কথা ভাবলে মনটা আরো যেন কেমন করে ওঠে। ধোঁয়াশায় মুখ ঢেকে বিকেলগুলো দ্রুত ফুরিয়ে যাওয়া শুরু করত। মাঠ থেকে তাড়াতাড়ি ফিরে না আসতে ইচ্ছে করলেও ফিরে আসতে হত, কারন হঠাৎ একটু শীত-শীত করে উঠত যেন গা-হাত। পরীক্ষা-টরীক্ষা সব শেষ। একটা চাপহীন সময়। রাত্রে চাদর বা কাঁথায় সেঁধনোর আগে বার তিনেক পড়া সেবারের পুজাবার্ষিকীটা নিতে ভুল হতো না। সন্তু, জোজো বা অর্জুনের সাথে গল্প করতে করতে ঘুম নেমে আসত চোখে। ঘুমোবার আগে চোখ চলে যেত সামনের বাড়ির আকাশ-প্রদীপটার ওপর। যদিও 'জিরো ওয়াট' বাল্ব দিয়ে বানানো, নড়াচড়া করার কথা না, তবু সেসময় মনে হত, কুয়াশা মাখা আকাশ-প্রদীপ যেন অল্প অল্প দুলছে। ঘুমিয়ে পড়তাম। ভোরের দিকে ঘুম ভেঙ্গে যেত মোটা গলায় ভেসে আসা অল্প সুর মেশানো কোন চিৎকার শুনে। গ্রামের শেষপ্রান্তে থাকা আখড়ার গোস্বামীটি বেড়িয়ে পরেছেন, কার্ত্তিক মাসের রীতি অনুয়ারী কীর্তনে। চোখ খুলে প্রথমেই দেখতে পেতাম সেই আকাশ প্রদীপটি। এখন একটু ছোটো হয়ে গেছে, কুয়াশার প্রকোপে। কাঁথাটা মাথা অব্দি টেনে নিয়ে গুটিশুটি মেরে আবার ঘুমিয়ে পড়ার আগে দেখতাম মা কখন যেন ঠিক ১ বা ২-এ চলা ফ্যানটাকে বন্ধ করে দিয়ে কাঁথাটাকে ঠিক করে দিয়ে গেছে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. কারেকশন - ' ... শুনলে মনে হত - ধুস্' এর পর '।' টা পড়েনি।

      Delete
    2. তোমার লেখাটাও তো দুর্দান্ত হয়েছে আবির। স্পষ্ট চোখের সামনে দেখতে পেলাম। আকাশপ্রদীপ আমারও খুব প্রিয় জিনিস। তবে এখন বোধহয় লুপ্তপ্রায়।

      Delete
    3. Aha "akash prodeep" byapar ta hotat kore mone pore gelo!! Keno boloto akash prodeep concept ta erokom ashadharon bhalo? Amio ebar akash prodeep debo :)

      Delete
  8. Tomar lekhata porte porte "Ant and the grasshopper er golpota mone pore galo..."janina kano...ki odvut na manuser mon.

    ReplyDelete
    Replies
    1. সে আর বলতে কুহেলি।

      Delete
  9. Sheetkal amar favourite (jodio bangla rochona te amai borsha likhte hoto) tarupor Kuntala tomar lekhar jor........ sob mile khub e bhalo laglo... r comment e nolen gurer payesh, luchi torkai, singara, boutupi (amar sob kota e mayer hate bona chhilo.), kartik maser bhor belar kirton.... sob pore ekhon ekta adbhut lagchhe... mone hochhe abar bes tokhon kar moto mon diye porashuno kori... seriously... keno hochhe jani na...

    ReplyDelete
    Replies
    1. এই তো আরেকজন শীতপ্রেমীকে পাওয়া গেছে। আমার এটা সবসময় মনে হয় গোবেচারা। মন দিয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছে হয় সবসময়। করাটাই যা হয়ে ওঠে না।

      Delete
  10. 'এখনো বড়মার কথা মাঝে মাঝে উঠলে মায়ের মুখটা হাসি হাসি আর ঠাকুমার মুখটা গোমড়া হয়ে যায়।' Too good! :D
    amader barite akhono akta trunk ache, jetate kina lep kombol thake..sheetkal amaro khub favorite, ki sundor saradin to to kore ghure berano jaye edik odik, ektuo kosto hoy na. ja khusi khawao jaye. vari moja. tobe amar favorite season holo ei pujo asar ager somoy ta theke bhai fota'r somoy ta obdi. ei somoy hawar gondho tai kirom odvutvabe palte jaye. ar ratribela chhadey uhtle akta halka shirshirani. ei time ta ami ektu besi romantic mood e thaki ar seijonye case o khai sobtheke besi.

    ReplyDelete
    Replies
    1. এই রে, শীত তার মানে তোমার কেস খাওয়ার সিজন? খারাপ তো!

      Delete

Post a Comment