ফ্র্যাংকফুর্টের সেন্ট্রাল স্টেশনে
নাম শুনেই
বুঝেছিলাম গোলমাল। ফ্র্যাংকফুর্ট আমাকে ভুগিয়েছে এন্তার। এর একটা কারণ হতে পারে,
শহরটাকে কোনওদিনই গন্তব্য হওয়ার মতো গুরুত্ব দিইনি। কেবল এখান থেকে ওখান যাওয়ার
সময় বুড়ি ছুঁয়েছি। জার্মান শহর, কড়া ধাতের। প্রতিশোধও নিতে ছাড়েনি। সবসময়ি
ফ্র্যাংকফুর্টে পৌঁছনোর প্লেন লেট হত আর ধরার প্লেন অন টাইম। কাজেই পিঠে আট কেজির
ব্যাকপ্যাক নিয়ে জিভ বার করে দৌড়নো ছাড়া গতি থাকত না।
এবার একটু কম ভয়ে
ভয়েই এয়ারপোর্টে নেমেছিলাম। এবারও থামছি না, এবারও বুড়ি ছুঁচ্ছি। কিন্তু এবার
প্লেনের বদলে ট্রেন। গন্তব্য কোলোন সেন্ট্রাল স্টেশন। সেখানে টিমো আসবে আমাকে
নিতে।
ইমিগ্রেশন পেরিয়ে,
সুটকেস উদ্ধার করে ফ্র্যাংকফুর্ট এয়ারপোর্ট সেন্ট্রাল স্টেশনে পৌঁছলাম। তারপর
প্রতীক্ষা। স্টেশনে বসে ট্রেনের অপেক্ষা করাতে আমি একজন ওস্তাদ, কাজেই ঘাবড়ানোর
কিছু নেই। আমাদের তারকেশ্বর লোকালও নিয়ম করে আধঘণ্টা লেট করত। এখানে আধের বদলে
একঘণ্টা বসে থাকতে হবে এই যা। আমাদের ওখানে পাশের অপেক্ষারত সহযাত্রী হয় মুখ হাঁ
করে ঘুমোতেন কিংবা ঘাড় বেঁকিয়ে আমার হাতে ধরা আনন্দবাজার পড়তেন, এখানে একজন
টাকমাথা দশাসই সাহেব আইপ্যাডে ভিডিওগেম খেলছেন আর শত্রুনিধন করে মাঝেমাঝেই
চাপাগলায় খুকখুক করে হাসছেন।
টুকটাক দু-একটা
ট্রেন প্ল্যাটফর্মে আসছিল যাচ্ছিল। তখনই টের পেয়েছিলাম ব্যাপারটা একটু জটিলতার
দিকে যেতে পারে। কারণ ট্রেনের গায়ে যে সব নম্বর লেখা তার সঙ্গে আমার টিকিটের
নম্বরের কোনও মিল নেই। স্টেশনের ছাদ থেকে একটা ডিজিটাল নোটিসবোর্ড ঝুলছিল। বোঝাই
যাচ্ছে সেটি সদ্গতি লাভ করেছে কারণ তাতে লেখা “প্লিজ কনসাল্ট দ্য প্ল্যান”।
প্ল্যানটা কী বুঝতে এদিক ওদিক তাকাচ্ছি, দেখি খানিকদূরে একটা আলোজ্বালা বোর্ডের
সামনে সাহেবমেমেদের হালকা ভিড়।
বাক্সপ্যাঁটরা
ভিডিওগেম সাহেবের জিম্মায় রেখে আমি টিকিট হাতে বোর্ডের দিকে রওনা দিলাম। গিয়ে
চক্ষু চড়কগাছ। ছবি এঁকে, ম্যাপ এঁকে, ভয়ানক খেলিয়ে প্ল্যান আঁতিপাঁতি করে বোঝানো,
কিন্তু তাতে কোথাও আমার ট্রেনের নম্বরের টিকিমাত্র নেই।
সত্যি বলছি তখনও
আমি বেশি ঘাবড়াইনি। আমার ট্রেন আসার কথা সাড়ে আটটায়, তখন বাজে মোটে আটটা বাজতে দশ।
যতই সাহেবদের দেশ হোক না কেন, ট্রেন চল্লিশ মিনিট বিফোর টাইম আসাটা একটু বাড়াবাড়ি।
তাছাড়া আশৈশব শোনা বাবার কথাটাও মনে ছিল। “সোনা, রাস্তা হারানো খুব শক্ত ব্যাপার।
একটু ঘুরতে হবে হয়তো, কিন্তু রাস্তাকে আরেকটা রাস্তায় গিয়ে উঠতেই হবে। ওটাই ওদের
নিয়তি।”
তবে আটটা পনেরো
মিনিটে যে ট্রেনটা প্ল্যাটফর্ম কাঁপিয়ে ঢুকল, তাকে দেখে আর বসে থাকা গেল না। একজন
কালো কোট পড়া সাহেবকে দেখে আমি তাঁর দিকে টিকিট হাতে এগিয়ে গেলাম। ভদ্রলোক
খানিকক্ষণ সেটা উল্টেপাল্টে দেখে কী যেন বলে টিকিট আমার হাতে দিয়ে দিলেন। আমি খুব
খুশি হয়ে বেঞ্চে ফিরে এসে ভিডিওগেম ভদ্রলোকের দিকে তাকিয়ে স্মার্টলি হেসে সবে
বলেছি, “এটা নয়, পরেরটা বোধহয়...” এমন সময় কানফাটানো “হ্যালোওওও” চিৎকারে চমকে ঘাড়
ঘোরাতে হল।
কালো কোট।
প্রচণ্ড উত্তেজিত হয়ে ঘড়ির ওপর আঙুল ঠুকে ঠুকে বলছেন, “থারতি সেকেন্দ্স্...!”
“দিস ইইস ইয়োর
ত্রেইন...” ভিডিওগেম ভয়ের চোটে সিট ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়েছেন।
আমার আর কিছু মনে
নেই, শুধু মনে আছে আমি ছুটছি। ফ্র্যাংকফুর্ট আমাকে আবারও ছোটাচ্ছে। আমার বাঁকাঁধে
অফিসের ঝোলা, ডানকাঁধে ঢাউস ক্যাননের ব্যাগ। পিঠে আট কেজির ল্যাপটপ ব্যাগ, তার
ভেতর সত্যেন্দ্র সত্তু আর ন্যাচারোল্যাক্সের শিশি পুরে মা সেটাকে দশ কেজি
বানিয়েছেন। ডানহাতে কানায় কানায় ঠাসা তত্ত্বে পাওয়া ভি. আই. পি.। কোন
কম্পার্টমেন্টে উঠতে হবে জানি না, কালো কোটের হাত নাড়া দেখে বুঝেছি সেটা ট্রেনের
ল্যাজের দিকেই হবে। ছুটতে ছুটতে আমার বুক ফেটে যাচ্ছে। সুটকেসটা কি বাড়ি থেকে
বেরোনোর সময়ও এত ভারি ছিল? চোখের সামনে সব ধোঁয়া ধোঁয়া, কানে আবছা টুং টুং শুনতে
পাচ্ছি। দরজা বন্ধ হওয়ার আগের ঘণ্টি নির্ঘাৎ। ইয়েস। চোখের কোণা দিয়ে দেখতে পাচ্ছি
ট্রেনের দরজায় আলোড়ন। ঝাঁকুনি মেরে সে চলতে শুরু করেছে।
আর ঠিক সেই
মুহূর্তে আমি দেখলাম আমার উল্টোদিক থেকে কেউ একজন আমার দিকে ছুটে আসছে।
রাজ! শাহরুখ খান!
উঁহু। শাহরুখ না। শাহরুখের থেকে ঢের ভদ্র আর বুদ্ধিমান একজন গোলগাল পোর্টার।
ট্রেনের দরজায় ঝুলে বুরবকের মতো হাত বাড়ানোর বদলে ইনি সত্যি সত্যি আমাকে সাহায্য
করার জন্য ছুটে আসছেন। ভদ্রলোক ছুটতে ছুটতেই হাত বাড়িয়ে একটা দরজার গতিরোধ করার
চেষ্টা করলেন, কিন্তু বজ্জাত দরজা বিন্দুমাত্র তোয়াক্কা না করে ঘটাং করে তাঁর
হাতের ওপরেই বন্ধ হয়ে গেল।
ভদ্রলোক জার্মান ভাষায় “মাগো” চেঁচিয়ে উঠে হাত সরিয়ে নিলেন। আর পরক্ষণেই আমার দিকে তাকিয়ে আরও জোরে চেঁচিয়ে বললেন, “বিহাইন্দ!”
আমি ঘুরে গেলাম।
ভি. আই. পি. র চাকা ঘুরে গেল। দেখি যেখান থেকে ছোটা শুরু করেছিলাম, সেখানে কালো
কোট পরা কন্ডাকটর সাহেব কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন, গোটা ট্রেনের মধ্যে ওঁর
সামনের দরজাটাই একমাত্র খোলা। আবার ছুট ছুট ছুট। দরজার কাছে পৌঁছতেই ভীষণ রেগেমেগে
তিনি বললেন, “গেত আপ”। এই না বলে আমাকে এক ঠ্যালা দিয়ে ট্রেনের ভেতর পাঠিয়ে বাহাতে
আমার ভি. আই. পি. র হ্যান্ডেল ধরে সেটাকেও ট্রেনে তুলে দিলেন। ভাবখানা দেখালেন যেন
সুটকেস তো নয়, ওটা একটা পিং পং বল।
ট্রেন চলতে শুরু
করল। আমি ভেস্টিবিউল দিয়ে গোটা ট্রেন পেরিয়ে একেবারে ল্যাজার কামরায় এসে দেখি ওটা
হচ্ছে লুফৎহান্সার যাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত কামরা। সুটকেস, ল্যাপটপ ব্যাগ
যথাস্থানে রেখে সিটে বসে হাঁপাচ্ছি, এমন সময় টিকিট চেকার দিদিমণি এসে আমার টিকিট
দেখে একগাল হেসে গালে হাত দিয়ে বললেন, “ও মা, তুমি তো আগের ট্রেনে উঠে পড়েছ। তোমার
ট্রেন এর পেছনে আসছে। এনিওয়ে, ইট্স্ অল দ্য সেম।”
গল্পের আরও
খানিকটা বাকি আছে। টিকিটে পরিষ্কার লেখা ছিল আমার সিট নম্বর ছেচল্লিশ। দেখি
জানালার পাশের ছেচল্লিশ নম্বর সিট দখল করে একজন মাঝবয়সি জার্মান সাহেব বসে আছেন।
আমি উপস্থিত হওয়া মাত্র তিনি আমাকে তাঁর পাশের আটচল্লিশ নম্বর সিট দেখিয়ে বললেন, “এস
এস, বস বস, কোথা থেকে আসছ, কোথায় যাবে?” আমি হেঁহেঁ করে আটচল্লিশেই বসে পড়লাম।
জানালার পাশ দিয়ে
ক্যালেন্ডারের ছবির মতো সব জায়গা হুশ হুশ করে বেরিয়ে যাচ্ছিল। দূরে পাহাড়, পাহাড়ের
কোলে তেকোনা গাছের বনের সারি, বনের ধারে ঢেউখেলানো সবুজ মাঠ, মাঠের ওপর ইতিউতি চরে
বেড়ানো দুধসাদা ভেড়ার দল। মনে মনে বললাম, নেহাৎ তোমাদের দেশে নতুন পা রেখেছি তাই এ
যাত্রা পার পেয়ে গেলে। হাওড়া রাজধানী হলে দেখাতাম মজা।
সাহেব দেখলাম
গপ্পবাজ। অনেকবছর আগে একবার কাজের সূত্রে ভারত গিয়েছিলেন। তাজমহলের টঙে চড়ে দূষণ
মেপে এসেছেন। বললেন, “দারুণ জায়গা কিন্তু তোমাদের দেশ।” আমি বললাম, “তবে?” তারপর
কথায়কথায় বেরিয়ে পড়ল আমি যে সংস্থার কাজে এখানে এসেছি, উনিও সেই সংস্থার প্রোজেক্ট
সেরেই গত মাসে হ্যানয় থেকে ফিরেছেন। সাহেব মাথা চাপড়ে বললেন, “ওহ জীজ্, দ্যাট
মিন্স্ উই আর কোলিগস?”
আর ভদ্রতা কেন
বাপু? সোজা কথায় বলই না তুমি আমার বস্। কী ভাগ্যি জানালা নিয়ে ঝামেলা করিনি।
কোলোন স্টেশনে
নেমে টিমোর সঙ্গে দেখা হল। আলাপি, হাসিখুশি, চটপটে ছেলে। এককাপ কফি হাতে নিয়ে
দিনরাত এক করে এই এয়ারপোর্ট সেই এয়ারপোর্ট থেকে লোক তুলে বেড়াচ্ছে, অথচ রাগ নেই।
কোলোন থেকে ফের ট্রেনে চেপে আমরা বন্ বয়েল নামের আরেকটা স্টেশনে এসে নামলাম।
স্টেশনের বাইরে টিমোর নীল গাড়ি পার্ক করা ছিল। তাতে চেপে আমরা বন্ শহরের অলিগলি
ঘুরে এসে পৌঁছলাম মিস্ বার্চের গেস্টহাউসে।
মিস্ বার্চের
গেস্টহাউস শহরের একধারে। বাড়ির চারপাশে উঁচুউঁচু গাছের ভিড়, অসীম নৈঃশব্দ্য আর
ব্যালকনিতে দাঁড়ালে দূরে বন্ শহরের ভিউ। আপাতত আমার দু’মাসের আস্তানা। ভালোই
কাটবে মনে হচ্ছে।
তোমার সঙ্গে আমিও পৌঁছে গেলাম মিস্ বার্চের গেস্টহাউসে।কী শান্ত,কী সুন্দর ।ভাল থেকো ।
ReplyDeleteমিঠু
সত্যি সুন্দর মিঠু। তোমাদের আরও ছবি দেখাব, বোর হলেও ছাড়ব না।
DeleteTale besh kichu bideshi goppo pachhi amra hummmm?
ReplyDeleteসে তো বটেই। আমার তো যা যা ঘটছে, সব আপনাদের বলতে ইচ্ছে করছে। নেহাৎ নিজেকে সামলে রেখেছি।
DeleteO hori! Premer galpo shunte shuntei mini-biroho-o ese porlo! Miss Bircher guest house ar ashe pasher bon badar tomar dirghoswash, chholchholo prem ar du maser ei dur dur kasto-tar kaste bhari hoye utthbe to! Archismanda tomake khuuuub miss korbe :(
ReplyDeleteহাহা মনস্বিতা, না না অত দুঃখ হচ্ছে না। একটু একটু হচ্ছে।
DeleteJah baba. Tumi toh gechhoboudir-o thakuma. Ei Kolkatay, ei Shillong ey. Ar ei abar Germany te!
ReplyDeleteOnek moja koro ar onek onek chhobi tule amader dyakhao. :D
নিশ্চয় দেখাব বিম্ববতী। আর পারছি না থামো বললেও থামব না।
Deletetomar miss birch er guest house er baranday amader chena sada plastic er chair dekhe khushi hoye gelam. :)
ReplyDeleteআমিও ওটা দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলাম সোহিনী। কী ভালো না?
Deletebah barir samner rastata ki sundar !!:-) daru darun galpo paoa jabe mone hochhe!
ReplyDeleteহ্যাঁ খুবই সুন্দর, তবে আজ বাজার করে থলি হাতে উঠতে গিয়ে জিভ বেরিয়ে গিয়েছিল। বিনা পয়সায় এক্সারসাইজ হবে, বুঝলি।
Delete:-)
DeleteGermany teo satyendra sattu!! miss birch er guest house ta kintu besh lobhoniyo...aro anek chabir ashay thaklam...ar galpo... :)
ReplyDeleteআরে সায়ক, সত্যেন্দ্র সত্তু দারুণ কাজে দিয়েছে। মাঝরাতে ঘুম ভেঙে ডাকাতের মতো খিদে পেয়ে গিয়েছিল কাল। তখন ছাতু খেলাম বসে বসে। ভাগ্যিস মা জোর করে দিয়ে দিয়েছিল।
DeleteWow! Durdanto dekhte jaygata. Aar guest house ta ki sundor niribili mone hochhe.
ReplyDeleteEkta jinish jano, je kono jaygay pNouchote jodi beg pete hoy, janbe sekhane thakar obhiggota prochondo sukh er hobe. I am hoping tomar boss khub bhalo manush hobe, tomake guchher mishti khaoabe aar Hitler er golpo sonabe!
খুবই নিরিবিলি সুমনা। চুপ করে থাকলে কানে তালা লেগে যায়। শুধু ঝিঁঝিঁ আর পাখির ডাক।
Deleteবলছ? হলেই ভালো। তোমার মুখে ফুলচন্দন পড়ুক।
Arre !!! 'Gechhodada' namta emon sobar jonyei bojha galo. Darun byapar. Apatato dumasher thikana theke darun darun sob lekha abantorer jonye asbe bojhai jachhe. :-)
ReplyDeleteআমি তো গল্প বলতে পারলেই বর্তে যাব ইচ্ছাডানা।
Deleteকি সুন্দর ছবি গুলি! আমার কিন্তু ভোরবেলা ওই নৈঃশব্দের ভিতর বসে আস্তে গলায় একটু দেখরে, নয়ন মেলে বলতে ইচ্ছে করছে। আমি নাই বা পারলাম, তুমি তো পারো। সেটা আমি শুনব না ঠিকই, অনুভব তো করতে পারি। করে দেখো, তোমার আমাদের গল্প শোনাবার ঝুলি ভরবে বৈ কমবে না।
ReplyDeleteহ্যাঁ মালবিকা, খুব সুন্দর জায়গা। আপনার কথা শুনে দেখব। আমারও মন বলছে ভালো লাগবে।
Deletekuntala, phirbar samay haate samay thakle rhine valley'r boat trip ta niyo. frankfurt station theke train niye ruedesheim...okhane nodi theke boat trip hoy....the whole thing is only a few hours kintu rhine valley'r ekta idea paoya jay!
ReplyDeleteআরে নিশ্চয় নিশ্চয় শম্পা। ইন ফ্যাক্ট আমার আরও কিছু জায়গায় যাওয়ার থাকতে পারে, সেগুলো তোমাদের জানাব, তখন তুমি বোলো কিন্তু যদি কিছু স্পেশাল বেড়ানোর জায়গা মাথায় আসে, বা স্পেশাল কিছু করার। খুব ভালো লাগবে আমার। আমি কিস্যু জানি না। তাছাড়া গুগল করে বার করার থেকে বন্ধুর কাছে সাজেসশন নেওয়া এককোটিগুণ আরামের। থ্যাংক ইউ।
Deletehyan nischoi. aamar grad pathshaala ta okhane ki na, tai tana panch bochar "fatherland" e katiyechhi. tumi jakhon bonn e achho aami bolbo je train (ba eurobus) e paris e ghure esho...cologne to paris ekta eurobus trip achey. quick weekend trip hoye jabe :)
Deleteআরে যা তা ব্যাপার তো। আমি তো বোটিং ট্রিপের খোঁজ নিয়ে ফেলেছি। উইকএন্ড দেখে গেলেই হয়।
DeleteKuntala, apnar lekha amar niyomito poRa hoina, tobe shomay-sujog pele i poRe pheli .. eai lekha ta poRe amar Frankfurt Flughafen (airport er train station) er train e choRar abhigyata r kotha ta mone pore gelo .. ami kormosutre besh kichudin edeshe .. Frankfurt er Flughafen er station theke train er gondogol ta je sudhu amar hoini jene ektu ashswasto bodh korchhi :D
ReplyDeleteহাই ফাইভ! দেখেছ, জার্মানিতে থাকা লোকও ট্রেনে চাপতে গিয়ে ঘোল খেয়ে গেছে, আমি তো তুশ্চু। তবে আপনি যে নামটা বললেন, ফ্লুগাফেন না কি, স্টেশনের নাম ওইরকম হলে যে ট্রেনে চাপাটাও কেকওয়াক হবে না সেটা তো বোঝাই যাচ্ছে।
Deleteachaa kuntala..eto bhalo tumi ki kore lekho boloto?amar mone holo erokom to amar songeo hoyeche kintu ami to bolte parina ..puro chobita bhese uthlo porte porte..ami to tomar boi er opekhay achi..r ei 2 mas khuuub bhalo bhabe katao.r amader kache sundor sundor experience share koro.
ReplyDeleteসুমনা, কতগুলো শর্ত পূরণ করতে হবে। এক, কোনও কাজের কাজ থাকা চলবে না। দুই, অসম্ভব বাজে বকার ক্ষমতা থাকতে হবে। আমি নিশ্চিত তোমার কাজও আছে, আর অত বকার ব্যাডহ্যাবিটও নেই। না থাকাই উচিত। তোমরা যে আমার বাজে বকা এত ভালোবেসে পড় সেইটা একটা আশ্চর্যের ব্যাপার বরং।
Deleteআসলে ব্যাপারটা ছ'মাসের। বন শহরে থাকব মাস দুই, তারপর অন্যত্র। তবে যা ঘটবে সব তোমাদের খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে বলব, কোনও চিন্তা কোর না।
ohe tumi 6 maash thake....aar schengen visa o achey. guru ei phanke bhalo kore western europe dekhe nitey parbe...tumi niden pokke germany'r main jaygay gulo, paris-versailles, vienna aar amsterdam...easily ei gulo mere dite parbe :)
Deleteতোমার মুখে ফুল চন্দন পড়ুক শম্পা। যেন পারি, যেন পারি।
Deleteektu plan korlei easily parbe. egulo pratyekta weekend trip.
Deletebasically rhine valley boating, berlin day trip, cologne-dresden (deutsche bahn trip), frankfurt-vienna and back (eurobus), cologne-paris and back (1 day off niley daroon), aar cologne-amsterdam (eta eurostar e jete paro). mane 6 weekends. ektu pace out korle easily parbe. paris e jete holey india house e ekkhuni booking kore felo by email india-house@magic.fr
আরে থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ। আমি এই পাতাটাকে বুকমার্ক করে রাখলাম শম্পা।
Deleteamio kajer kaaj kichui korina amar ghorer loker kothay..tobe tomar eta gun tumi na swikar korleo amra jani.ar tomar ei lekha porobase amake depression theke bachay..ami nijer money haste pari..tomar lekha pore bhabte pari.tumi lekho ar amra anondo tuku se chumuk obdhi niye ni..suvechaa
ReplyDeleteআরে থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ সুমনা। তোমার আমার লেখা পড়ে মন ভালো হয় শুনে আমারও মন ভালো হয়ে গেল।
DeleteAribbas ! Karl Marx-er deshe !!
ReplyDeleteহিটলারেরও বলতে পার।
DeleteEi 'Timo' mane ki Shamik Al Farooq?
ReplyDeleteনা এই টিমো একেবারেই ক্যাথলিক টিমো।
DeleteHm. Jakge, Bonn-e James Joyce bole ekta Irish pub achhe. Parle ekbar jeo. Full of character! :) Arekta pub achhe "Nachrichtentreff" bole, central station-er kachhe. Eta ekta purono khoborer kagojer aapis chhilo! Jodi paanasokto naao hao, taholeo jeo :)
Deleteনিশ্চয় যাব। থ্যাংক ইউ শীর্ষ।
Deleteআপনি তাহলে আপাতত বনবাসী? দারুন হয়েছে লেখা, ছবি দুইই। আজ যতবার ট্রেনে উঠেছি আপনার এ লেখাটার কথা মনে পড়েছে। ম্যাকডি খুঁজতে গিয়ে আপনার অন্য লেখাটার কথা। আপনি বিষম খাননি তো?
ReplyDeleteও, তাই বলি। খাচ্ছিলাম তো বিষম ক্ষণে ক্ষণে। এতক্ষণে রহস্যের সমাধান হল।
Delete