কাগজওয়ালার উৎস সন্ধানে
আমার তখনই সন্দেহ হয়েছিল।
যখন সবকটা কার্টন খোলার পর দেখা গেল যে সেগুলোর মধ্যে যা যা পোরা হয়েছিল
সেগুলো লক্ষ্মী ছেলের মতো সব বেরিয়ে পড়েছে, কোনওটা দুমড়োয়নি, তুবড়োয়নি, পাখা মেলে
উড়ে পালায়নি---তখনই। এ তো ভালো কথা নয়। ডিশ অ্যান্টেনা সেট করার পর যখন মিনিট দশেক
টিভির অডিওভিডিও লিড তারটা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না তখন আমার মনে একটা “কলিকাতা আছে
কলিকাতাতেই” গোছের ফুর্তির ভাব জেগেছিল, কিন্তু সে সুখও
বেশিক্ষণ সইল না।
এয়ারটেলের পরমানন্দজী আমার আচরণে যারপরনাই বিস্মিত হচ্ছিলেন। অর্চিষ্মান
বাক্সপ্যাঁটরা হাঁটকে লিড খুঁজছিল, আর উনি উৎসাহ দিতে দিতে বলছিলেন,
-আরে ঢুন্ডিয়ে ঢুন্ডিয়ে, কাঁহা যায়েগা, মিলেগা তো জরুর...
আমি সেসবে পাত্তা না দিয়ে একটা ভর্তি সুটকেসের ওপর বসে নতুন লিডের দাম কত,
কোথায় পাওয়া যায় ইত্যাদি খোঁজখবর নিচ্ছিলাম।
-লিড কা প্রাইস হ্যায় চালিস। লেকিন অগর মুঝে ফিট করানে কে লিয়ে বুলায়েঙ্গে তো
ম্যায় ফির দেড়সো রুপেয়া লুঙ্গা না?
সে তো লেবেনই। হক্কের টাকা ছাড়বেন নাকি? আমার মনটা বেশ খুশিখুশি লাগছিল। বাড়ি
বদল করলাম অথচ কিছু গুনাগার দিলাম না, এই সত্যটা আমি হজম করতে পারছিলাম না। সবে
বলতে যাব, মোটে দুশো টাকার জন্য আর খোঁজাখুঁজির খাটুনি করে লাভ নেই, আপনি নতুন লিড
এনে লাগিয়েই দিন বরং---এমন সময় অর্চিষ্মান ফেলে দেওয়া কার্টনের ভেতর থেকে ডুবুরির
মত একখানা তার হাতে করে তুলে এনে বলল,
-দেখ তো এটা কিনা?
পরমানন্দজীর আনন্দ দেখে কে।
অবশেষে শুক্রবার রাতে মাথা ঠাণ্ডা করে ঘণ্টাখানেক বসে ভাবতেই একটা ভুল বেরিয়ে
পড়ল। মস্ত ভুল। আমি যে বাড়ি বদল করেছি সেটা আমার বাপেরবাড়ি, শ্বশুরবাড়ি, অবান্তরের
পাঠকেরা, সি. আর. পার্কের দুখানা বাজারের যাবতীয় ক্রেতাবিক্রেতারা জেনে গেছেন,
জানানো হয়নি শুধু আমাদের যিনি কাগজ দিতেন তাঁকে। আমি নাচতে নাচতে এখানে চলে এসেছি
এদিকে উনি রোজ সকালে এসে আমার প্রাক্তন বারান্দা টিপ করে রাবারব্যান্ড প্যাঁচানো
কাগজ ছুঁড়ে চলেছেন। ভাবতেই মনটা খারাপ হয়ে গেল। ঠিক করলাম এই উইকএন্ডেই ওঁকে বারণ
করে দেব।
একলাইনের কাজ, কিন্তু ছোট্ট একটা গেরো আছে। সেটা হচ্ছে যে আমি ওঁকে চিনি না।
চিনি না মানে, মুখ চিনি অফ কোর্স, কিন্তু তার বেশি আর কিছুই জানি না। নাম কী, ধাম
কী, কোথা থেকে আসেন, কোথায় যান---এ সবের কিছুই আমি জানি না।
-যাব্বাবা, জান না তো পেপার রাখতে শুরু করেছিলে কী করে?
-আরে বাড়িওয়ালার পেপারও উনিই দিতেন তো। তক্কে তক্কে ছিলাম, একদিন ঠাঁই করে
বাড়িওয়ালার জানালার কাঁচে কাগজ আছড়ানোর শব্দ শুনে দৌড়ে বারান্দায় গিয়ে ঝুঁকে পড়ে
বলেছিলাম, কাল থেকে আমাকেও কাগজ দেবেন ভাইসাব। তখন উনি আমাকে একটা ফ্রি বাজারের থলি
না কীসের লোভ দেখিয়ে টাইম্স্ অফ ইন্ডিয়া গছাতে চাইছিলেন, তাতে আমি বলেছিলাম ওঁর
যদি বিন্দুমাত্র প্রাণের মায়া থাকে তবে হিন্দু ছাড়া আর কোনও কাগজ যেন আমার বারান্দা
টাচ্ না করে।
ব্যস্, এই হচ্ছে আমার সঙ্গে কাগজওয়ালার পরিচয়ের দৌড়। মাসে একবার করে টাকা
নিতে আসতেন বটে, কিন্তু তখন তো আর নামধাম জিজ্ঞাসা করে খোশগল্প জোড়া যায় না। উনি
বিল দিতেন, আমি টাকা দিতাম। হয়ে গেল। খেল খতম পয়সা হজম।
-ওঃ, তাহলে তো হয়েই গেল। একটা বিল বার করে দেখে দোকানের ঠিকানাটা দেখে নিলেই
হবে।
আমি বিপদে পড়া মুখ করে বলি,
-বিল নেই।
-সে কী, কেন?
-ট্যাক্স বাঁচানোর জন্য অফিসে সাবমিট করে দিয়েছি। ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ
মেটেরিয়্যালের খাতে।
-উফ্, এত ঝামেলা পাকাও না।
ঝামেলা আবার কীসের? ঠাঁইনাড়া হলে এর থেকে কত বেশি বেশি ঝামেলা হতে পারে,
আমাদের তো কিছুই হয়নি। আমি কর্মপদ্ধতি ঠিক করে ফেললাম। ঠিক যখন উনি কাগজ দিতে আসেন
সেই সময় গিয়ে আগের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকব।
শনিবার সক্কালসক্কাল বেরিয়ে পড়া গেল। ছোটবড় রাস্তা পেরিয়ে আমি পুরোনো বাড়ির
দিকে হেঁটে চললাম।
একই জায়গা দিনের আলাদাআলাদা সময়ে দেখতে কী আলাদা লাগে দেখলে বিশ্বাস হয় না। অন্য
সময় আমার এই রাস্তাটায় পাঁচ মিনিট দাঁড়াতে কান্না পায়। চিৎকার, চেঁচামেচি, হর্ন,
কুকুর ছাগল মানুষ, রাস্তার পাশে পার্ক করা মাছের বাজারের টেম্পো যার একশো গজের ভেতর
গেলে অজ্ঞান হয়ে যেতে ইচ্ছে করে। সেই রাস্তাই সকাল সাড়ে ছ’টার সময় পথচারীদের
স্বর্গ। চওড়া পরিষ্কার পথের দুপাশে উঁচু উঁচু অমলতাস গাছে ফুল ভরে এসেছে। এই
গাছগুলো এখানে ছিল নাকি? অ্যাদ্দিন ধরে যাচ্ছি আসছি, খেয়ালই করিনি। অদ্ভুত।
তবে স্বর্গেও চোখকান খুলে চলাফেরা করা জরুরি। হাঁটতে হাঁটতে আপনি হয়তো দেখলেন,
দূর থেকে একটা গাড়ি আসছে। দেখেই অদ্ভুত লাগল আপনার। এই খাঁ খাঁ রাস্তায় এত আস্তে
চলছে কেন গাড়িটা? হয়তো আপনার হাসি পেল। হয়তো আপনি বুক ফুলিয়ে সে গাড়িকে পাত্তা না
দিয়ে রাস্তা দিয়ে যেমন হাঁটছিলেন তেমন হেঁটে চললেন।
হেঁটেছেন কি মরেছেন। না মরলেও, মারা যাওয়ার সম্ভাবনা তো রীতিমত বাড়িয়ে
তুলেছেনই। ওটা হচ্ছে লার্নার’স কার। দিব্যি রাস্তার মাঝখান দিয়ে দশ কিলোমিটার পার
আওয়ার বেগে আসছে, হঠাৎ মাইন্ড চেঞ্জ করে স্পিড একলাফে আশিতে তুলে সোজা এসে আপনার
ঘাড়ে উঠে গেল। এককালে এই ধরণের গাড়িগুলোর মাথায় বিকট টুপি চাপানো থাকত। তাতে রংচঙে
অক্ষরে স্পষ্ট করে গাড়ির মালিকের নাম লেখা---সতিজা ড্রাইভিং স্কুল, টেক্সলা
ড্রাইভিং স্কুল। যাতে দেখামাত্র সকলে বিপদ বুঝে সময় থাকতে প্রাণ নিয়ে পালাতে পারে।
কিন্তু আজকাল লোকেরা ড্রাইভিং শেখার সময়েও ফ্যাশনেব্ল্ গাড়ি চায়। কাজেই মাথার
টুপি খুলে কায়দা করে সামনের কাঁচের এক কোণায় একখানা ফ্যাকাশে লাল ‘L’ লিখে সতিজা দায়
সেরেছে। এইবার আপনার চোখের পাওয়ার মাইনাস বারোই হোক আর সে L না দেখতে পেয়ে আপনি
যমের দোরেই যান, সেটা আপনার ব্যাপার।
সতিজার গাড়ির হাত থেকে বাঁচতে হলে আপনাকে রাস্তার একেবারে ধার ঘেঁষে হাঁটতে
হবে আর হাঁটতে গেলেই আপনি স্বর্গের দ্বিতীয় ঝামেলাটার মুখে পড়বেন। কুকুরের
বর্জ্যপদার্থ। লালুভুলুকালুদের নয়। এগুলো হচ্ছে গিয়ে সব ম্যাক্স, লুসি, কোকো্,
রোকোদের। এরা বিদেশি, এদের মালিকেরা দেশে জন্মেও বিদেশি, কুকুরের গলায় বকলস পরিয়ে
প্রাতঃভ্রমণে বেরোনোর অভ্যেসটা বিদেশি, শুধু রাস্তাটা দেশের। কাজেই আমি সে রাস্তায়
বুক ফুলিয়ে আমার কুকুরের ভার লাঘব করাব আর করিয়ে সে নোংরা সেখানেই ফেলে রেখে আবার
নিজের পাঁচকোটির ফ্ল্যাটে গিয়ে ঢুকব, কার চোদ্দপুরুষের কী বলার আছে?
ফাটাকেষ্টর মতো আমাকে যদি সাতদিনের জন্য মন্ত্রী করে দেওয়া হয়, আমি তাহলে আর
কিছু করি না করি এই নিয়মটা চালু করবই। বর্জ্যপদার্থের দায়িত্ব না নিতে পারলে,
সকলের ফারবেবি ফেরৎ নিয়ে নেওয়া হবে।
সতিজা আর কুকুরের ময়লার ঝামেলা এড়িয়ে আমি হেঁটে চললাম। মনটা বেশ ফুরফুরে
লাগছিল। এই ক’দিনের ঝামেলায় হাঁটতে যাওয়া হয়নি। তাছাড়া স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য
হাঁটার মধ্যে একটা কেজো ব্যাপার থেকেই যায়। একই রাস্তায় জিন দেওয়া ঘোড়ার মতো
কোনওদিকে না তাকিয়ে পাকের পর পাক হেঁটে চলা। কানে গান গুঁজে সমস্ত ডিস্ট্র্যাকশন্স্
থেকে মন গুছিয়ে এনে শুধু গতি আর পস্চারের দিকে তাকে নিবদ্ধ করা।
পুরোনো বাড়ির সামনে পৌঁছলাম। পৌঁছে বুঝলাম বাড়ির সামনে কাগজওয়ালার অপেক্ষায়
দাঁড়িয়ে থাকার প্ল্যানটা শুনতে যত সোজা কাজে তত নয়। কথা নেই বার্তা নেই, সাতসকালে লোকের
বাড়ির দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে থাকা বেশ শক্ত ব্যাপার। অন্তত আমার মতো আনস্মার্ট
লোকের পক্ষে। এদিকে আবার প্রকৃতির শোভা উপভোগ করব বলে পাকামো করে আইপড বাড়িতে রেখে
বেরিয়েছি, সেটা নিয়ে খুটখুট করে যে নিজেকে ব্যস্ত প্রমাণ করব তারও উপায় নেই।
পাঁচ মিনিট যেতে না যেতেই সামনের বাড়ি থেকে দারোয়ানজী বেরিয়ে এলেন। সেরেছে,
বকবে বোধহয়। উনি মুখ খোলার আগেই আমি হড়বড়িয়ে আমার বৃত্তান্ত শুনিয়ে দিলাম। বাড়ি
ছেড়ে দিয়েছি, কিন্তু কাগজ থামানো হয়নি, তাই কাগজওয়ালাকে খুঁজতে এসেছি---সাতকাণ্ড
রামায়ণ।
-আপ চলে গয়ে?
কব গয়ে কাঁহা গয়ে---দারোয়ানজীর সব কৌতূহল মেটানোর পর অবশেষে তিনি বললেন,
-লেকিন পেপারওয়ালা তো চলা গয়া।
-চলা গয়া? এরই মধ্যে?
হতাশায় আমার জটায়ুর মতো বাংলা হিন্দি মিশে গেল।
-হাঁ। ইস লাইন মে চারো আতা হ্যায়, চারো চলা গয়া।
বাঃ। আমি যতদিন থাকতাম সাড়ে সাতটার একসেকেন্ড আগে কাগজের মুখ দেখতে পেতাম না,
আর আমি বাড়ি ছাড়ার দু’দিন পরে ছ’টা পঞ্চান্নতে সবাই ডিউটি সেরে পালিয়েছে। কপাল আর
কাকে বলে।
দারোয়ানজী করুণা করে আমাকে পেপারওয়ালাদের ঠেকের সন্ধান দিলেন। শুনলাম আভি আভি গেলে
এক দো মিল যানে কা সম্ভাবনা আছে। তাদেরকে পুছলে আমার পেপারওয়ালার সন্ধান বেরোবেই।
তাড়াতাড়ি সেদিকে হাঁটা দিলাম। হাফ ছোটা হাফ হাঁটা। অমলতাস-টমলতাস সব মাথা থেকে
বেরিয়ে গেল। ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়। যথারীতি আমি যেতে যেতেই ঠেক ফাঁকা হয়ে
গিয়েছিল। বাজারচত্বরে দাঁড়িয়ে ‘ইয়াম্মি! কলকাতা’-র ছেলেটা ব্যাজার মুখে দাঁত
মাজছিল, আমাকে দেখে একবার পরিচয়সূচক ঘাড় নাড়ল।
আমিও ঘাড় নেড়ে বাড়ির পথ ধরলাম। বুঝতে পারছিলাম সেদিনের মতো কাগজওয়ালা হাত থেকে
বেরিয়ে গেছেন। ভাবলাম মন ভালো করার জন্য পার্কে ঢুকে পাঁচমিনিট দোলনা খেয়ে যাই।
সেখানে গিয়ে দেখি আরেক উৎপাত। পার্কের একটা বেঞ্চে সাদা চাদর পেতে বসে একজন উপদেশ
দিচ্ছেন, জনা বিশেক বুড়োবুড়ি প্রৌঢ়প্রৌঢ়া মাঝবয়সি তাঁর পায়ের কাছে বসে একমনে সেগুলো শুনছেন।
যো খুদ কো খুশ রাখতা হ্যায়, ও ভগওয়ান কো খুশ রাখতা হ্যায়। যো খুদ কো খুশ রাখতা হ্যায়? ও ভগওয়ান কো খুশ রাখতা হ্যায়। অর যো দুসরো কো খুশ
রাখতা হ্যায়, ভগওয়ান উসকো খুশ রাখতা হ্যায়।
মাঝে মাঝে গুরুজী বক্তৃতা থামাচ্ছেন, তখন সবাই আঙুল দিয়ে নাক টিপে ধরে জোরে
জোরে ভুঁড়ি ফোলাচ্ছেন কমাচ্ছেন। সব মিলিয়ে একটা অত্যন্ত গম্ভীর পরিস্থিতি। আমার
সাংঘাতিক ইচ্ছে করছিল ওর মধ্যে গিয়ে হঠাৎ দোলনা দুলতে শুরু করলে কী হয় একবার দেখি।
শেষে প্রাণের মায়া করে আর গেলাম না।
রবিবার সকালেও কাগজওয়ালার খোঁজে গিয়েছিলাম। সেদিনও হতাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে। আমার
ফেলে আসা বারান্দায় এখনও রোজ একটা করে বেওয়ারিশ পেপার জমছে। বাড়িবদল কি কম
ঝামেলার কাজ?
daroyanjikei bole ele hoy na?
ReplyDeleteসেটাই একমাত্র রাস্তা মনে হচ্ছে মনস্বিতা। আসলে কী বল তো, উনি আমার বাড়িওয়ালার দারওয়ানজী নন। পাশের বাড়ির। তাই কেমন কেমন লাগছে। দেখি আর উপায় না দেখলে সেটাই করতে হবে।
Deleteপুরনো বাড়িওয়ালাকে বললে হয় না? উনি বলে দেবেন যে ওপরের পেপার বন্ধ, আর আপনাদের নতুন ঠিকানাটা দিয়ে দেবেন? অনুরোধ করে দেখা তো যেতেই পারে। আর নইলে দারোয়ানজি তো আছেনই।
ReplyDeleteনা সে যেতেই পারে। বাড়িওয়ালা ভালো, কিন্তু ফেভার নিতে কেমন লাগে। বলবে দেখো, চলে গিয়েও জ্বালাচ্ছে।
Deleteবাড়ি ছেড়ে চলে এসেছ বলে বাড়িওয়ালার কাছে নাম-ধাম পুছতে অসুবিধা নাকি দি? তা না হলে তো বাড়িওয়ালার কাছেই পেয়ে যাবে। বাড়িওয়ালা যখন তখন তো অনেক দিনের বাসিন্দা নিশ্চয়। ওনার কাছে তো কিছু যোগাযোগের উপায় থাকবেই। আর না হলে, উনি তো 'ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ' করছেন না, চাই কি দু-একটা বিলও মিলে যেতে পারে। ট্রাই করে দেখতে পারো।
ReplyDeleteবাকি লেখাটা অন্য সব লেখার মতই খুব খুব সুন্দর। ঐ 'ইয়াম্মি কলকাতা'-টা কি?
বাড়িওয়ালাকে বলব আবির। দেখি একটু সাহস সঞ্চয় করে নি, আজ কালের মধ্যেই বলে দেব।
Deleteইয়াম্মি কলকাতা হচ্ছে একটা মিষ্টির দোকান। কীরকম ঘোর কলি বুঝতে পারছ, বিক্রি হয় বোঁদে আর ছানার জিলিপি এদিকে নাম রেখেছে 'ইয়াম্মি কলকাতা'. সেটাও আবার ইঞ্জিরিতে লেখা, অর্থাৎ কিনা Yummy Kolkata. আমার বেচারা মা, প্যাকেটে সে নাম পড়ে ভেবেছেন কথাটা 'ইউম্মি'... আমাকে টিফিন গুছিয়ে দিয়ে বলছেন, ইউম্মির চারটে গুজিয়া দিয়ে দিলাম মনে করে খেয়ে আমাকে ধন্য কোর।
সেই থেকে আমরা ওটাকে ইউম্মি বলেই ডাকি।
কাকীমার দোষ নেই। আমাদের এখানে একটা অতি অখাদ্য ভারতীয় রেস্তোরা আছে - পাঞ্জাব প্যালেস। সেখানে খেলে পাঞ্জাবি তথা ভারতীয় খাবার সম্বন্ধে তোমার এই ধারনাই হবে যে, পাঞ্জাব তনয়ারা বুঝি একটাই মশলা দিয়ে সব রান্না সাড়ে। এই রেস্তোরাটির একমেবাদ্বিতীয়ম্ মশলাটি একটু মিষ্টি মিষ্টি তন্দুরি গোছের। আমরিকানরা হামলে পড়ে খায় আর 'awesome food dude' বলে বেড়ায়। সে যা খুশি তাই করুক, কিন্তু তারা আমাদের দেশের পাঞ্জাব প্রদেশটির উচ্চারণগত পরিবর্তন ঘটিয়ে সেটিকে 'পুঞ্জাব' করে ছেড়েছে। কাজেই কাকীমার দোষ নেই!!
Deleteহাহা, এই প্যালেস নামওয়ালা দোকানগুলো ইনভেরিয়েব্লি অখাদ্য হয় আবির। আমি সমীক্ষা করে দেখেছি।
Deleteতীব্র নয়, কিঞ্চিত মিহি করে প্রতিবাদ জানালাম। নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস-এ কাশ্মীর প্যালেস নামে একটা খাবার জায়গা ছিল, তার মালিক গুজরাতী এবং বেশিরভাগ কর্মচারী বাংলাদেশী। সেখানে শনি-রবিরার চমৎকার ভারতীয় বাফে হোতো (বা হয়)। এখন শুধু সুখস্মৃতি, কিন্তু অখাদ্য কোনমতেই ছিলনা।
Deleteকৌশিক, ওটা নির্ঘাত এক্সেপশন প্রুভ্স্ দ্য রুল-এর আওতায় পড়বে। না গো, ইয়ার্কি করলাম। ক'টা প্যালেস নামের দোকানেই বা খেয়েছি বল, এমনি বলার জন্য বলেছিলাম আর কি।
Deleteha ha, bujhte parchhi darun bipod. tobe dolnata chore neoai uchit chhilo.
ReplyDeleteআরে আমি প্রায় চড়েই ফেলেছিলাম ইচ্ছাডানা, কিন্তু সাহসে টান পড়ে গেল কী আর করা।
DeleteBha! Paper dewar lok k nia o ekta post! seto khub bhaggoban paperwala...
ReplyDeleteআরে পেপারওয়ালার ভাগ্য ভালো হলেই হবে শুধু? গ্রাহকের ভাগ্য যে এদিকে নাক ডাকিয়ে ঘুমোচ্ছে তার কী হবে।
Deleteamaro ek jinish hoyechilo Bangalore e thakakalin. ami bariwala ke bolechilam, tini e bill pay kore kagoj wala ke bole diyechilen. r amake ekta NEFT korte hoyechilo bari wala'r naame. amakeo paperwala ToI gochhate cheyechilo, amio Hindu niyechilam. kintu amake sujog pelei ToI diye jeto.
ReplyDeleteবাড়িওয়ালাকে বলার দিকেই ভোট বেশি দেখছি যখন তখন সেটাই করা যাক। টি ও আই পেপারওয়ালাদের এত প্রিয় কাগজ কে জানে বাবা।
Deleteবাড়িওয়ালাকে বলাটা তো অবভিয়স। উনি তো খবরের কাগজ বিক্রেতাকে চেনেন!
ReplyDeleteনা অতটাও অবভিয়াস নয় আসলে। আমার বাড়িওয়ালা একজন সাতাত্তর বছরের মহিলা। তিনি থাকেন একতলায়। পেপার নেয় দোতলায় থাকা তাঁর ছেলে, যে অতি অভদ্র এবং রামগরুড়ের ছানা। পেপারওয়ালাকে ধরতে গেলে আমার ছেলের সঙ্গে কথা বলতে হবে, যেটা আমি যেনতেনপ্রকারেণ এড়াতে চাই।
Deletehey hey..eta besh bolechen..Nah..ami ja bhebechilam ta noy..beparta besh gurutoro..paper pora chere din..best solution.. :P
ReplyDeleteসেই সলিউশনটার কথা আমিও যে ভাবিনি তা নয় সৌমেশ।
DeleteAchha darowan ke bole dao na. se to tomakeo chene, paperwala ke o chene? na ki se jane na 4 joner kon jon tomake paper dito? e to achha mushkil!
ReplyDeleteসে চারজনের মধ্যে কোনজন চেনে না। মুশকিল বলে মুশকিল সুমনা?
DeleteSomosto paperwala ra TOI gochhate chay. Sujog pelei amar paperwala TOI gochhiye chole jay. Bole Hindu naki kom porechhe, ar amar bari naki tar rounder last round. Sedin-i rege giye jigyesh korlam yeh shaadi ka luchi hai kya, jo kam parta hai? Kintu lokta luchi maney jay na. Tai hashi hashi mukhe shrug kore chole galo. Jottosob!
ReplyDeletep.s. Lekhata berey hoyechhe. Ar thankew for Bhotchaj babur nombor.
হাহাহা, শাদির লুচিই বটে।
Deleteশোনো না বিম্ববতী, একটা অনুরোধ আছে। তোমার ই-মেল আইডিটা একটু দেবে গো। আমাকে abantorprolaap@gmail.com এ মেল করলেই হবে। একটু দরকার ছিল। থ্যাংক ইউ।
বুদ্ধিমানের কাজ করেছেন- প্রাণের মায়া থাকলে প্রাণায়ামকারীদের ঘাঁটাতে যাওয়া উচিত নয়, তাতে প্রাণ কায়াচ্যূত হতে পারে... :)
ReplyDeleteসেটাই তো সুনন্দ।
Deleteteente possibility: 1) ektolar malkin ke phone kore tar kache theke paperwallah'r office er phone number ta neya. 2)nijer office theke submit kora bill er copy jogar kora. 3) notun barite je paperwallah supply dey take jiggesh kora je purono address e ke dey. karon ghure phire oi 4-5 jon paperwallah e thake jara puro area ke supply kore.
ReplyDeleteবাঃ অনেকগুলো চয়েস দিয়েছ দেখছি শম্পা। তবে বাড়ি থেকেই একটা বিল বেরিয়ে পড়েছে, কাজেই প্রবলেম সল্ভ্ড্।
Deleteki baje samashya !! oi 77 bacharer didimakei bole aye.
ReplyDeleteহাহা, বিল পেয়ে গেছি! ইয়েস!
Deleteপার্কে ঢুকে যাকে উপদেশ দিতে দেখেছিলেন তার প্রসঙ্গে প্রথমটায় 'একজন' লেখা দেখে আমি ভাবছিল্মম কাছে গিয়ে হয়তো দেখবেন যে পেপারওয়ালাকে আপনি এত খুঁজে-খুঁজে নবীশে'র চালানো গাড়ী চাপা পড়ে মরতে-মরতে বেঁচে যাচ্ছেন, সেই পেপারওয়ালা-ই তাঁর দ্বিতীয় পেশায় নেমে পড়েছেন।
ReplyDeleteহাহা শিরি, সেটা হলে একেবারে ক্লাইম্যাক্সের চূড়ান্ত হত কিন্তু, বল?
Deleteহত বই কী। তবে বন্যেরা বনে সুন্দর, অমন টুইস্ট আব্বাস-মাস্তানে'র ফিলিমে'ই সুন্দর।
ReplyDelete