ম্যাকডি
ম্যাকডোনাল্ডস্-এর
সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় জে. এন. ইউ. তে গিয়ে। বারিস্তার সঙ্গেও, সিসিডি-র সঙ্গেও।
ঘরের বিছানার আরাম ছেড়ে যে লোকে সাধ করে কফিশপে গিয়ে গল্পের বই পড়ে, সেই কনসেপ্টটার
সঙ্গেও। আমি তল্লাট ছাড়ার আগে এসব দোকান কলকাতায় ছিল নিশ্চয়, আমিই “ওরে বাবা” ভাব
দেখিয়ে ঢুকিনি কোনওদিন। আমার কোনও সন্দেহই ছিল না যে ওইসব দোকানে ঢুকলেই ইংরিজিতে
কথা বলতে হবে। মুখ থেকে বাংলা বেরিয়ে গেলেই ফাইন। কলকাতার কিছু কিছু ইংলিশ মিডিয়াম
স্কুলে যেমন নেয় শুনেছি। কাজেই আমি ওদিকে ঘেঁষতাম না।
দিল্লিতে গিয়ে ভয়টা কেটে
গিয়েছিল। আমার ওই ক’বছরের
বেস্ট ফ্রেন্ডের প্রিয়তম খাওয়ার জায়গা ছিল ম্যাকডি। আমরা খুব যেতাম। অত ঘন ঘন
যাওয়ার অন্য একটা কারণও ছিল অবশ্য। আমাদের আর কোথাও যাওয়ার জায়গা ছিল না। শুক্রশনিরবি
বিকেল মানেই পিভিআর প্রিয়া কমপ্লেক্স যাওয়া আর যাওয়া মানেই খাওয়া। রোজ তো আর
চাইনিজ খাওয়া যায় না, পকেটে টান পড়ে। তাই ম্যাকডি ছিল আমাদের সমাধান।
তারপর একদিন
সুটকেসে আই-টোয়েন্টি আর প্রেশারকুকার পুরে অ্যামেরিকা। অ্যামেরিকা যাওয়াটাকে লোকে
বাইরে যাওয়া বলে বটে, কিন্তু আমার তা মনে হয় না। বিশেষ করে আপনি যেখানে যাচ্ছেন
সেখানে যদি বাঙালিদের একটা অলরেডি তৈরি নেটওয়ার্ক থাকে, তাহলে তো কিছুতেই না। আমি
যেখানে যাচ্ছিলাম সেখানে নেটওয়ার্ক ছিল, কাজেই আমি একটা বড় কলকাতা থেকে একটা ছোট
কলকাতায় গিয়ে পড়লাম। বাইরেটা বদলে গেল। নোংরা, ঘাম, হর্নের বদলে ঝকঝকে, নিস্তব্ধ
রাস্তার দুপাশে কেয়ারি করা ফুলের বাগান। ভেতরটা অবিকল এক রইল। উইকএন্ডে নিবু নিবু
আলোয় বসে কোক জিরোর গেলাস হাতে রবীন্দ্রনাথ, সত্যজিৎ, তসলিমা আর পিএনপিসি।
যাই হোক,
অ্যামেরিকায় গিয়ে দুটো জিনিস দেখে চমকে গিয়েছিলাম। একটা হচ্ছে হোস্টেলের টিভিতে
এইচ বি ও চ্যানেলে সিনেমা দেখায় না, আর দুই হচ্ছে আমার চেনা কেউ ম্যাকডোনাল্ডস্-এ
খায় না। ওয়েন্ডিস্-এ খায়, পান্ডা এক্সপ্রেসে খায়, কিন্তু ম্যাকডি? খেপেছিস? আমরা
ম্যাকডি-তে খাওয়াকে অসম্ভব নিচু চোখে দেখতাম। দেশের মলে ম্যাকডি আর কেএফসি-র সামনে
ভিড়ের কথা মনে করে ঠোঁট বেঁকিয়ে হাসতাম। হাসতাম আর মনে মনে ভাগ্যকে থ্যাংক ইউ
দিতাম, ভাগ্যিস এরা কেউ আমাকে দেশে থাকতে চিনত না। গত সপ্তাহেও যে ওই ভিড়ে আমি
গুঁতোগুঁতি করছিলাম, সেটা জানতে পারলে নির্ঘাত দলছাড়া করবে।
তাছাড়া ম্যাকডির
বিরুদ্ধে ততদিনে ওদেশে ক্লিন-ইটার্স্দের দল জোট বাঁধতে শুরু করেছেন। এক
ভদ্রমহিলা গত পনেরো বছর ধরে ম্যাকডোনাল্ডসের একটা প্যাটি ব্যাগে নিয়ে টক শো থেকে
টক শো-তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সে প্যাটি গত পনেরো বছর ধরে যেমন থাকার তেমনি আছে। একটু
শুঁটকো মত হয়েছে, কিন্তু ওই পর্যন্তই। পচেনি, গন্ধ বেরোয়নি, গুঁড়ো হয়ে ঝুরঝুরিয়ে
পড়েনি। তবেই বোঝ কী জিনিস দিয়ে তৈরি। ও জিনিস কি পয়সা দিয়ে কেউ কিনে খায়? না খেতে
আছে?
কিন্তু ওসব
বাছাবাছির দিন আমার গেছে। এখন আমি মাঝেমাঝেই ম্যাকডিতে খাই আর বুক ঠুকেই খাই। কারণ
আমি বুঝেছি কিছু কিছু পরিস্থিতিতে ম্যাকডি অপরিহার্য। সিনেমা শুরু হতে আর মোটে
আধঘণ্টা বাকি অথচ খিদে পেয়েছে। তখন? আর কোন রেস্টোর্যান্ট আপনাকে ওই চিলতে সময়ের
মধ্যে আলুভাজা থেকে শুরু করে আইসক্রিম হাতে ধরিয়ে দেবে? খিদে পেয়েছে অথচ পার্সে
বেশি টাকা নেই। সিসিডিতে খাওয়ার মতও না। তখন কে আপনাকে বাঁচাবে, ম্যাকডি ছাড়া?
গতকাল দিনটা একটু
ঝক্কির গিয়েছিল। শরীর তো আর ঘড়ি নয় যে কান মুলে কাঁটা ঘুরিয়ে দিলাম আর সে অম্লানবদনে
টিকটিক করে চলতে শুরু করল। জেটল্যাগে সে এখনও সাড়ে আটটায় ঘুমোতে যাচ্ছে আর রাত
তিনটেয় ঘুম থেকে উঠে পড়ছে। সাড়ে তিনটেয় ব্রেকফাস্ট। বেলা এগারোটা বাজতে না বাজতে
খিদের চোটে নাড়িভুঁড়ি হজম হওয়ার উপক্রম। কালই প্রথম অফিসে গিয়েছিলাম, লজ্জায় “তোমাদের
ক্যাফেটেরিয়াটা কোথায়” জিজ্ঞাসা করতে পারলাম না। যদি হ্যাংলা ভাবে? কাজই শুরু
হয়নি, এদিকে খাওয়ার চিন্তা।
সেন্ট্রাল
স্টেশনে ফিরে এসে খাওয়ার দোকানের খোঁজে নামলাম। চতুর্দিকে রেস্টোর্যান্ট, বেকারির
ভিড়। কাঁচের ওপারে পিৎজা, পেস্ট্রি, স্যান্ডউইচ থরেথরে সাজানো। দেখলেই খিদে
চতুর্গুণ হয়ে যায়। দোকানের বাইরে ব্ল্যাকবোর্ডে সে সব খাবারের নাম জার্মান ভাষায়
লেখা। সামনেই বড় বড় ছাতা মেলা খাওয়ার জায়গা, ছাতার ডাঁটি বেয়ে টকটকে লালফুলের
গুল্ম আকাশের দিকে উঠে গেছে। ছাতার তলায় চেয়ারে বসে সবাই আরাম করে খাচ্ছে। সোনালি
চুলের বাচ্চারা দৌড়চ্ছে। তাদের ছোট্টছোট্ট পায়ে লালনীলহলুদগোলাপি জুতো।
আমি সরে এলাম।
নতুন কোনও জায়গায় এলেই আমার এটা হয়। আপনারও হয় কি? যদি কেউ বকে এই ভয়ে কাঁটা হয়ে
থাকি। অথচ থাকার কোনও কারণ নেই। তারকেশ্বর লোকালে, দুশো উনিশ নম্বর বাসে, জি কে টু
মার্কেটে বকা তো আমি কম খাইনি। এখনও দু’বেলা নিয়মিত খেয়ে থাকি। বকুনির উত্তরও যে
দিতে পারি তেমন নয়। কিন্তু ওই বকা গায়ে লাগে না। নিজের মাথার মধ্যে এই বলে
সান্ত্বনা দিই “বলুক গে। আনইন্টেলেকচুয়্যাল কোথাকার। নির্ঘাৎ সতীনাথ ভাদুড়ীর নাম
শোনেনি।” কিন্তু দেশের বাইরে কেউ যদি বকে, বা বকার দরকার নেই, যদি শুধু না হেসে
গোমড়ামুখেও কথা বলে, আমার ভীষণ গায়ে লাগে। মনে হয় আমাকে, আমার বাড়ির লোককে, আমার
বড় হওয়াকে, আমার আজন্মের চারপাশটাকে বকে দিল। সেধে সে বকুনি খেতে যাওয়ার কোনও মানে
আছে বলুন?
ভিড় থেকে বেরিয়ে
এসে একটা গাছের তলায় দাঁড়িয়ে আমি এদিকওদিক তাকাতে লাগলাম। আর তাকাতে তাকাতেই হঠাৎ
গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে কী দেখলাম জানেন? এই দেখুন।
মনে মনে যা একখানা
লাফ মেরেছিলাম না। ইউরেকা! অবশেষে এমন একখানা জায়গা যেখানে কেউ আমাকে বকবে না,
আমার দিকে তাকাবে না। গটগটিয়ে দোকানে ঢুকে গেলাম। ইংরিজিতে মেনু লেখা, কিন্তু আমার
সে মেনু দেখার দরকার নেই। আমি জানি এখানে কী পাওয়া যায় আর আমি কী খাব।
একখানা ফিলে-ও-ফিশ আর স্মল কফি নিয়ে জানালার পাশে একটা টেবিলে এসে বসলাম। বাইরে সেন্ট্রাল স্টেশন চত্বরে কতরকম লোক আসাযাওয়া করছিল। ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের বাইরে একজন সারা গায়ে রূপোলি রং মেখে দাঁড়িয়ে অঙ্গভঙ্গি করে খদ্দের ডাকছে। অনেকক্ষণ পরে মেঘ কেটে রোদ উঁকি মেরেছে। ঝকঝক করছে চারপাশ।
কিন্তু আমি চোখ ফিরিয়ে ভেতরদিকে তাকালাম। সেখানেও দেখার জিনিস কম নেই। একজন ভীষণ দামি কর্পো ভদ্রলোক নিচু হয়ে মেঝেতে রাখা ব্যাকপ্যাকে বার্গার পুরছেন। টিফিনে খাবেন বোধহয়। তার পাশে একজন খুব শান্ত ভদ্রলোক দাঁড়িয়ে মন দিয়ে মেনু পড়ছেন। ভদ্রলোকের ডান হাতে ধরা একটা স্প্রিংওয়ালা বকলস। বকলসের আরেকপ্রান্তে একটা ভীষণ ছোট কুকুর। ঝুপোঝুপো লোমে তার চোখনাকমুখ সব ঢেকে গেছে। তার মধ্যে থেকেই নীল কাঁচের গুলির মতো চোখ বার করে সে পাশের টেবিলে বসা একটা ছোট মেয়ের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে আছে। মেয়েটির হাবভাব দেখে মনে হচ্ছে তার খুব ইচ্ছে নিজের থেকে একটু আলুভাজা কুকুরটাকে দেয়, কিন্তু উল্টোদিকের চেয়ারে বসা ঠাকুমা চোখ বড়বড় করে মেয়েটিকে নীরবে বকে দিচ্ছেন। খবরদার দেবে না। ও আবার কী আদিখ্যেতা, কুকুরছানা দেখলেই গলে পড়া?
আমার উল্টোদিকে কোটপ্যান্ট পরা এক মহিলা এসে বসেছেন। বেশ গম্ভীর। আমাকে দেখে একবার দ্রুত ঠোঁট ছেতরে হাসির ভঙ্গি করেছেন, কিন্তু ওই পর্যন্তই। এ বাজে গল্প করার লোকই নয়, দেখেই বোঝা যাচ্ছে। সে করবে না তো করবে না, বয়েই গেছে আমার। আমিও এমন কিছু আলাপ করার জন্য হেদিয়ে মরছি না।
অল্প অল্প পা
দোলাতে দোলাতে আমি ফিলে-ও-ফিশে কামড় বসাই। আঙুলে লেগে যাওয়া একফোঁটা টমেটো কেচাপ
যত্ন করে জিভ দিয়ে শুষে নিই। কী আরাম লাগছে। জানালা দিয়ে তপ্ত রোদের সেঁক ডানহাতে,
গালে এসে পড়ে। একটুক্ষণ আগের টেনশনটা ঘাড় বেয়ে নেমে যাচ্ছে স্পষ্ট টের পাই। মাথা সামান্য
দুলিয়ে আমি গুনগুন করে উঠি, “যাঁহা দূর নজর দৌড়ায়ে, আজাদ গগন লহরায়ে/ যাঁহা
রংগবিরংগে পন্ছি, লালালালাআআআআ...”
McD amaro bhishon priyo... jodio Hyderabader upmarket bondhura amar McD pritir katha shunle tthot bekiye tachchhilyer hasi hese, "o to bideshi bhikhirider khabar" bole amake katoshatobar dishearten korechhe... McChicken, aloobhaja ar coker bodole saat taka besi diye palte naoa cold coffee! Ah!!! :)
ReplyDeleteTumi Germany-te chho mas thakbe? Majhe akbaro bari jabe na? Dada eka eka ki kore thakbe?
লোকে ও রকম অনেক কিছু বলে মনস্বিতা। সব কথা শুনতে গেলে পাগল হয়ে যাবে।
Deleteঅর্চিষ্মানও নিজের কাজে বাইরে বাইরেই থাকবে, কাজেই আশা করা যায় অসুবিধে হবে না।
Ja bolechhen, kichhu poristhiti te McDonalds er jobab nei. New York theke firte bhishon raat hoye gechhe, edike khawa hoyni, athocho kothao bose khete gele Newark e last subway ta miss hoye jabe. Kabar dokan khola pawao mushkil... kintu Newark station ei 24x7 khola McDee achhe, kajei no dushchinta. Ar Fillet-o-Fish ta amaro sobtheke common order. High five!
ReplyDeleteহাই ফাইভ ফিলে-ও-ফিশ। হাই ফাইভ কুম্ভমেলা।
Deleteতোমার লেখাটা একেবারে পঞ্চেন্দ্রিয়র পাঁচফোড়ন । ওই বকুনির ভয় আমারও আছে ।ভীষণ ভাবেই আছে। লন্ডনে নিজেকে আপাদমস্তক ক্যাবলা মনে হতো । পরেরদিকে দেখলাম আমাকে আবার লোকজন ঠিকানা জিজ্ঞেস করছে । কি হাস্যকর !
ReplyDeleteমিঠু
আরে না না হাস্যকর কীসের মিঠু। আমি নিশ্চিত তুমি খুবই সপ্রতিভ মহিলা।
DeleteOh ekebare mile gelo..amar abar aro kichu onnyo reason e McDonalds bhalo lage..tarmodhyee ekta holo ami coke er glass ta refill korate pari jeta drive korte korte sesh kora jay r amar puchker diaper change..Koalabear(diaper changing table) berate giye sob jaygay pawa jeto na..kintu McD r restroom e 99% kheterei thakto..
ReplyDeleteদেখেছ, ম্যাকডি কী কাজের জিনিস সুমনা। লোকে খালি মিছিমিছি বদনাম করে।
DeleteDilli thakar shomoye amadero tai chhilo...PVR Priya , aar taar shonge Macdonalds. Americay lokera nichu chokhe dekhe thik-i, amader hostel-e thakte kintu loke chakri peye boroshoro treat-er khawa hishebe Macdonalds-ei jetam. Ekmatro amar Dilli baasher ekebaare shesh porjaaye mone achhe Priyar shaamne notun KFC khullo.
ReplyDeleteEkhaneo amaar barir shamnei ekta boroshoro Macdonalds. Ranna korte alishyi holei shekhane giye uposthit hoi.
মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত আর আমাদের দৌড় ছিল প্রিয়া পর্যন্ত, বল শ্রমণ?
Deletebhalo lekha :-) natun kono jaygay baka khawar bhoyta amaro sanghatik...
ReplyDeleteমিল মিল।
Deleteফিলে-ও-ফিশে khete ichha korchhe ekhuni. :-), agerdiner chhobio darun chhilo, notun jaigar chhobi dekhte besh lagchhe.
ReplyDeleteতাই? আরও ফোটো দেখাব তাহলে।
DeleteSapno Mein Pali, Hasti Ho Kali,
ReplyDeleteJahan Shaam Suhaani Dhale...
Ek Aise Gagan Ke Tale...
koyekta gaan ache na, jokhon tokhon gaoa jay...gaitei gelei segulo gungun kore beriye ashe...eta holo serokom ekta haan.
Prothom dike amar Mc'D te khub bhoy korto. O baba, eka eka ketchup ante hobe, eka eka glass refill korte hobe. Oi ek rash loker samne jodi amar hath theke tray ta dhop kore poRe jay. jodio tokhon ami choto chilam, 6-7 e poRi, tobu ei omulok bhoy gulo ekhono roye gyache. Mc'D r line e daRiye achi, joto line egochhe, amar dhukpukani toto baRche. Ki jala...kintu hyan, Fillet-o-Fish amar o favourite!
হাই ফাইভ, হাই ফাইভ সুমনা। তবে ভয়ের কথা যদি বল, তবে সবথেকে বেশি ভয় আমি পেতাম সাবওয়েতে অর্ডার দেওয়ার সময়। ও রকম ভয় আর জীবনে কোনও দোকানে পাইনি, পাবও না মনে হয়।
Deletekhati kotha bolecho.. subway akta bibhishika.. ak min e otogulo decision, eta niye akta notun micro r model banano jaay!
Deleteএক্কেবারে স্বাগতা।
Deleteami akta buddhi bolchhi, - ami ddhukei gor gor kore, "sub of the day, multigrain honey oats, all veggies except jalapeno and all sauces" bole ceilinger dike takiye "papri pore pore" gaite thaki... bas! jani na byata gorbor kore kina, kintu gol gol chokhe amake akbar aaga gora jorip kore niye trosto haate jeta banay seta khub akta kharap hay na... ami baba akmninte systematic bhabe oto decision nite pari na, amar sub-e chirokaleen decision aktai...
Deleteহাহাহা মনস্বিতা, এইটা ভালো বুদ্ধি। আমারও সাবওয়ের ব্যাপারে ভদ্রলোকের এক কথা, কাজেই এই স্ট্র্যাটেজিটা নেওয়া যেতেই পারে।
Delete"আমার কোনও সন্দেহই ছিল না যে ওইসব দোকানে ঢুকলেই ইংরিজিতে কথা বলতে হবে।" - ei bhoy amar Park Street e gele hoto. McD amar late night er uddhar korta, na thakle amay na kheye thakte hoto bohu raat.
ReplyDeleteসেই তো টিনা, ম্যাকডি কত লোকের যে বৈতরণী উতরেছে, ভাবা যায় না।
Deleteei lekha ta akdom amar moto, sob mil! filet-o-fish jindabaad, ar notun jaygar bhoy o! tobe bharote thakte amar kfc better lagto, ekhane dutor kono tatei boro akta khawa hoyna.. tobe McD sobcheye beshi savior holo airport e, sokale int'l flight thakle sei bhor rate pouchhe jete hoy, tarpor wait koro re, tokhon akta McD r breakfast platter niye bosle, ahh.. :D
ReplyDeleteহাই ফাইভ হাই ফাইভ।
Deleteভাল জিনিষ মনে করিয়ে দিলে হে কুন্তলে। প্রিয়া চত্বরে ম্যাকডি খোলার বহু আগে খুলেছিল টি জি আই ফ্রাইডে। আমার হবু গৃহিণী আর আমি তখন চুটিয়ে প্রেম করছি দিল্লীতে, বিকেলে কাজে থেকে ফেরার পথে ওকে জে এন ইউ থেকে তুলে নিয়ে আমরা মাঝে মধ্যে প্রিয়ায় সিনেমা দেখতে যেতাম। এই টি জি আই-এর মানেটা যে কি সেটা কি আর ছাতা তখন জানতাম? শুধু নির্বাক বিস্ময়ে আমরা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতাম যে সুন্দর সাজপোষাক করে যৌবনোচ্ছল দক্ষিণ দিল্লী হিপ আর হ্যাপেনিং ক্রাউড সেই না-জানি-কি-স্বর্গ অ্যামেরিকান খাওয়ারের দোকানে ঢুকছে। শুধু তাই নয়, সেখানে দরজার কাচের মধ্যে উঁকিঝুঁকি মারলেই দেখা যায় যে ভিতরে রীতিমত রঙচঙে আলোর ঝলকানি এবং শরীর হিল্লোলিত করে যুবক যুবতীরা নেচে চলেছে।
ReplyDeleteভয়ের চোটে সেখানে আমরা ঢুকে উঠতে পারিনি কোনদিন। একে তো আমাদের দু'জনেরই গা ঘেঁষাঘেষি ভীড়ভাট্টা দু'চক্ষের বিষ, তারওপর ছাপোষা (মানে তখন ছা না পুষলেও সেরকম মানসিকতার) মধ্যবিত্ত বাঙালী - রোজগারপাতি করলেও দৌড় বড়জোর ওই চত্বরের বইয়ের দোকান বা সিডি-র দোকানপাট। মার্কিন গন্ধওয়ালা খাবারের দোকানে ঢুকে শেষে অখাদ্য কুখাদ্য কি খেতে পাব, এতসব চিন্তায় জর্জরিত আমরা সেই রাস্তা মাড়াই নি।
তারপর নিউ দিল্লী থেকে দু'জনে মিলে সটান যখন নিউ ইয়র্কে এসে উপস্থিত হলাম, তখন ভাবলাম যে যাক, অ্যাদ্দিনে তাহলে আর অ্যামেরিকার গন্ধের প্রয়োজন নেই, খোদ অ্যামেরিকাতেই আসল খাবারের দোকানগুলো তে ঢুঁ মারা যাবে। হা হতোস্মি! একটু খোঁজখবর যেই করতে শুরু করেছি, উৎসাহে ঠাণ্ডা জল ঢেলে দিয়ে অ্যামেরিকান কলীগরা বলল, কি? শেষমেশ টি জি আই ফ্রাইডে-তে খাবে? ধুস্ ওসব শৃঙ্খলিত জায়গায় আবার ভদ্রলোকে যায় নাকি? তার চাইতে এই শহর ঘুরে দেখ, বিভিন্ন দেশবিদেশের খাবারদাবারে দোকানে ছয়লাপ, সেসব অভিজ্ঞতা সঞ্চয় না করতে পারলে জীবনটাই বৃথা। আর একান্তই যদি এলেবেলে ঢপের খাবার খেতে শখ যায়, তাহলে আইহপ-এ যাও।
ঈশ্বর কে ধন্যবাদ দিয়ে না দিয়ে বহু শুক্রবার জীবনে প্রবেশ করল এবং নির্গত হল, কিন্তু আজও আমাদের টি জি আই ফ্রাইডে-তে খাওয়া হোলনা।
তবে হ্যাঁ, প্রিয়ার পাশের নিরুলাটায় আর হজ খাস-এর ম্যাকডিতে বহুবার পদধূলি দান করেছি। তার সাথে গ্রীন পার্কের অন্নপূর্ণায়। এবং গোল্ডেন ড্রাগন-এ। [দীর্ঘশ্বাস]
আহা, এত চেনা চেনা জায়গার নাম মনে করিয়ে দিলে কৌশিক। আমারও এযাবৎ প্রিয়ার টি জি আই এফ-এ ঢোকা হয়নি, কারণ ওই ভয়। অবিকল তোমাদেরই মত। দোকানটায় যারা ঢুকত/ এখনও ঢোকে, তাদের সঙ্গে আমরা এক পৃথিবীতে বসবাস করি বটে, কিন্তু মিলের ওইখানেই সমাপ্তি। নিরুলায় জীবনের প্রথম কোলা ফ্লোট খেয়েছিলাম আমি, খেয়েই প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম। এখনও কোনও দোকানে গিয়ে মেনুতে কোলা ফ্লোট দেখলে হাজার উচ্চমার্গের ডেসার্ট ছেড়ে আমি কোলা ফ্লোট অর্ডার করি। হজ খাসের ম্যাকডি তে যাইনি। অন্নপূর্ণায় গেছি। আর গোল্ডেন ড্র্যাগনের পাশ দিয়ে রোজ দুবেলা অটো চেপে যাই আর ভাবি একদিন গেলে হয়। এবার ফিরে গিয়ে যাবই।
Deleteগোল্ডেন ড্রাগন আর অন্নপূর্ণার উল্টোদিকে ড্রামস্ অফ হেভেন বলে একটা রেস্তোরাঁ আছে। দু'টোতেই যেও। দ্বিতীয়টায় খাসা চিকেন ড্রামস্টিক বানায়। নিরুলায় গোল্ডেন গ্লো বলে একটা জিনিস পাওয়া যেত, ওই কোলা ফ্লোট-এর মতনই, শুধু ম্যাঙ্গো আইসক্রীম আর ক্রীম সোডা দিয়ে বানানো। খেয়ে দেখ, ভাল লাগতে পারে।
Deleteঅলরাইট।
Delete