আবার কোলোন



সক্কালসক্কাল একগাদা গোলমাল দিয়ে দিন শুরু হল। চা ফুরিয়ে গেছে।

শনিবার ইউটিউব দেখতে গিয়ে বাজারে যাওয়ার সময় হয়নি। রবিবার এখানের সব দোকানপাট বন্ধ। তার মানে আমাকে রবিবার সকাল, রবিবার বিকেল, সোমবার সকাল চা-হীন কাটাতে হবে।

এতেও যদি মেজাজ গরম না হয় তবে কীসে হবে?

দ্বিতীয় ঝামেলাটা হল টিকিট কাটতে গিয়ে। সারি সারি খাঁ খাঁ টিকিট কাউন্টারের একটার সামনে গিয়ে যেই না বলেছি, আমাকে অনুগ্রহ করে কোলোন শহরের একটা টিকিট দেওয়া হোক, মহিলা পাথরের মত মুখ করে বললেন, টিকিট কাটার লাইন দেওয়ার জন্য যে টিকিটটা কেটেছ সেটা কোথায়?

হোয়াআআআআট?

আমাদের দেশে লোককে হাতে পায়ে ধরে লাইন দিতে রাজি করানো যায় না, আর এ দেশে লোকে সেধে লাইন দিতে চাইলে বলে, আগে টিকিট দেখাও না হলে লাইন দিতে দেব না। আমি ভদ্রমহিলার উঁচোনো তর্জনী লক্ষ্য করে ঘরের ঠিক মাঝখানে রাখা একটা মেশিনের কাছে গিয়ে একটা লাল রঙের বোতাম টিপলাম। খচাৎ করে একটা কাগজ বেরোল। তাতে দেখি লেখা ৩১৯২, কাউন্টার ৪। বোর্ডের দিকে তাকিয়ে দেখি সেটা ওই মহিলারই কাউন্টার। তারপর মহিলা আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন, আমি ওঁর দিকে। ত্রিসীমানায় কাকপক্ষীটিও নেই। ঝাড়া তিন মিনিট পর পিঁপ পিঁপ আওয়াজ করে বোর্ডের ওপর আমার নম্বর ফুটে উঠল। মহিলা তর্জনী বেঁকিয়ে আমাকে ডাকলেন। আমি গিয়ে টাকা দিলাম, উনি আমাকে টিকিট দিলেন।

পাগল না পায়জামা?

যাই হোক, ঝামেলার ওইখানেই সমাপ্তি। ঠিক টাইমে প্ল্যাটফর্মে শোঁশোঁ করে ট্রেন ঢুকে গেল। রবিবারের বাজারে জানালার ধারে সিট পেতে কোনও অসুবিধেই হল না।

এখানে শহরের ঠিক মাথার ওপরেই এত বড় আকাশ কী করে দেখা যায় সেটা একটা রহস্য। যেদিকে তাকাও হয় নীল আকাশ, নয় সবুজ জঙ্গল। জার্মান প্র্যাকটিস করব বলে একটা ন্যাশনাল জিওগ্র্যাফিক নিয়ে বেরিয়েছিলাম, প্ল্যাটফর্মে বসে পনেরো মিনিটে অতিকষ্টে আড়াই লাইন পড়েওছিলাম। আমুন্ডসেন আর স্কটের দক্ষিণমেরু অভিযানের কমপ্যারেটিভ অ্যানালিসিস করে একখানা লেখা। কিন্তু জানালার বাইরে এ রকম দৃশ্য ফেলে রেখে বানান করে করে জার্মান পড়াটা জাস্ট ক্রাইম। তাই বই ব্যাগে ঢুকিয়ে রেখে গালে হাত দিয়ে বসে বাইরের দিকে তাকিয়ে রইলাম।

আমার ট্রেনটা ছিল লোকাল ট্রেন। বন থেকে কোলোন যেতে লাগে আধঘন্টা কিন্তু তার মাঝে গোটা পাঁচেক স্টেশনে দাঁড়ায়। সে সব স্টেশনে নানারকম লোকজন ট্রেনে উঠছিল নামছিল। আমার সোজাসুজি ট্রেনের ওধারের জানালায় তিন ঠাকুমার একটা গ্রুপ বসেছিল। এত ফিটফাট ঠাকুমা আমি জীবনে দেখিনি। সাদা ধবধবে ববছাঁট চুল নিখুঁত করে সেট করা। দেখেই বোঝা যাচ্ছে মাথার ওপর দিয়ে কালবৈশাখী চলে গেলেও একটি চুলও এদিক থেকে ওদিক হবে না। ঠাকুমাদের পরনে ইস্তিরি করা স্কার্ট টপ, ফিটিং বলে দিচ্ছে মহার্ঘ জিনিস। পায়ে বো-আঁটা পাম্পশু, গলায় মুক্তোর মালা।

ট্রেন কোলোন পৌঁছল। স্টেশনের ঠিক গায়ের বাস টার্মিনাস থেকেই আমার ফোন কালেক্ট করার কথা ছিল, সেসব নির্বিঘ্নে হয়ে গেলে আমি গুটি গুটি রাইখার্ডের দিকে চললাম।

রাইখার্ডের কথা মনে নেই? কোলোন ক্যাথিড্র্যালের কোলের কাছে সেই অনবদ্য ক্যাফেটি? ওয়েবসাইট বলছে ক্যাফের পত্তন হয়েছিল আঠেরোশো পঞ্চান্ন সালে। তারপর নানা মালিকের হাতবদল হতে হতে উনিশশো ছেষট্টি সালে প্রফেসর ফ্রেডরিখ উইলহেল্‌ম্‌ ক্রেমার নামের এক স্থপতির হাতে রাইখার্ড তার বর্তমান রূপ পেয়েছে।

রাইখার্ডে বসার জায়গার অভাব নেই। ক্যাফের ভেতরে চারশো লোক বসতে পারে, বাইরে টেরাসে আরও চারশো। বিরাট ‘ডম’ (ক্যাথিড্র্যাল) সেই টেরাসের ওপর শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে তার রাজকীয় ছায়া ফেলে দাঁড়িয়ে আছে। নেহাত বেরসিক না হলে এই সুন্দর সামার-প্রভাতে কেউ যেচে চার দেওয়ালের ভেতরে বসে না। তাই আমি বাইরের একটা রৌদ্রস্নাত টেবিল পছন্দ করে বসলাম।



বসে প্রথমেই আমার হারিয়ে পাওয়া মোবাইলের কয়েকটা ছবি তুললাম। মা’কে ফোন করলাম। অর্চিষ্মানকে ফোন করলাম। দুজনেই হাঁফ ছেড়ে বাঁচল।

কী খাব সেটা মোটামুটি ঠিক করাই ছিল। গোলাপি শার্ট আর কালো স্কার্টের ওপর ধবধবে সাদা লেসের ফিতে বাঁধা পরিবেশিকা এসে ছোট্ট নোটপ্যাডে আমার অর্ডার টুকে নিয়ে চলে গেলেন। 

পরে কোনওদিন আরও ভাল খাব কি না জানি না, কিন্তু ক্যাফে রাইখার্ডে আজ সকালের ব্রেকফাস্ট/ব্রাঞ্চ আমার জীবনের সেরা খাওয়া। প্রতি কামড়ে নরম অথচ মুচমুচে Croissant-এর সঙ্গে অল্প নোনতা হ্যাম আর রসালো টমেটো ত্র্যহস্পর্শ। মোটে তিনটে উপকরণ দিয়ে মুখের ভেতর এমন স্বর্গসুখের সৃষ্টি হতে পারে, কে জানত? এ জিনিস হুড়োহুড়ি করে খাওয়া চলে না, যেমন তেমন করে একে মুখের ভেতর ঠুসে প্লেট ঠেলে উঠে যাওয়া যায় না। এ খাওয়া ফাস্টফুডের অ্যান্টিথেসিস। কাঁটা প্রতিবার মুখ থেকে নামিয়ে আনার সঙ্গে সঙ্গে আমি বুঝতে পারছিলাম আমার মাথার ভেতরটা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। টেনশন আউট, নিশ্চিন্তি ইন্‌। নিজের প্রতি মনোযোগ কমিয়ে পারিপার্শ্বিকের ওপর মনোযোগ বাড়ালাম। রোদ্দুরের ওম যেন আরও ভালোবেসে আমার কাঁধ জড়িয়ে ধরছিল। ততক্ষণে অল্প অল্প করে চারপাশের টেবিলগুলো ভর্তি হতে শুরু করেছে। খাওয়ার মাঝে মাঝে ব্রেক নিয়ে আমি ঘাড় ঘুরিয়ে আশেপাশের লোক দেখতে লাগলাম। কেউ উত্তেজিত হয়ে হাত নেড়ে কথা বলছে, কেউ ভাবলেশহীন মুখে শুনছে। বেশির ভাগ লোকই ব্রেকফাস্ট খাচ্ছে। ঝুড়ি ভর্তি গোল লম্বা তেকোণা চৌকোণা পাঁউরুটির ঢিবি। ছুরি দিয়ে মোটা করে হলদে মাখনের ঘন পরত মাখাও আর মুখে পোর। চিবোও আর ভাব। এখনও কি সারা পৃথিবীর ওপর রাগে গা জ্বলছে তোমার? জ্বলছে না তো? জানতাম। আম-পচে-বেল। এক বুড়ো দাদু হট চকলেটের একটা আকাশছোঁয়া গ্লাস নিয়ে বসেছেন, কাঁপাকাঁপা হাতে চামচে করে একটু একটু করে চকলেটের ওপরের শরৎকালের মেঘের মত ক্রিম তুলে মুখে পুরছেন। দাদুর টেবিলের বাকি চেয়ারগুলো আমার টেবিলের মতই ফাঁকা। হয়ত দাদুর সঙ্গে আসার মত কেউ নেই। যারা ছিল হয়ত এতদিনে সব মরেঝরে গেছে।

ঠিক প'নে এগারোটার সময় ডমের ঘণ্টা বেজে উঠল। একসঙ্গে অনেক ঘণ্টা। সরু মোটা গং গং ঢং ঢং টুং টাং-এর ঐকতান। চলল টানা পনেরো মিনিট ধরে। গম্ভীর, অপূর্ব। শুনলে ভালোর থেকেও ভয় লাগে বেশি। কিংবা হয়তো আমার ভয় লাগছিল, ঘণ্টা শুনতে শুনতে ডরোথি সেয়ার্সের ‘দ্য নাইন টেলার্স’ গল্পটার কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল বলে। ফেনচার্চ সেন্ট পল নামের এক নামগোত্রহীন গ্রামের চার্চের ঘণ্টাঘরে পয়লা জানুয়ারি নাগাদ হঠাৎ একটি মৃতদেহ আবিষ্কার হল। অনেক ঘোরপ্যাঁচ, অলিগলি পেরিয়ে গোয়েন্দা লর্ড পিটার উইমসি অবশেষে রহস্য উন্মোচন করতে পারলেন। নববর্ষ উদযাপন করতে টানা ন’ঘণ্টা ধরে ম্যারাথন ঘণ্টা বাজানোর ঐতিহ্য চলে এসেছে প্রায় সেই মধ্যযুগ থেকে। সেই রাতেই একটা লোক সকলের অলক্ষ্যে ঘণ্টাঘরে হাত পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে ছিল। টানা ন’ঘণ্টা ধরে ওই অমানুষিক শব্দ সহ্য না করতে পেরে অবশেষে লোকটার হার্টফেল হয়।

যাই হোক এসব ভয়ের কথা থাক, আইসক্রিমের কথা হোক। খাওয়া শেষ হলে আমি তিনমাইল লম্বা আইসক্রিমের মেনু বেছে একটা ক্রিম ভ্যানিলা আর একটা কফি উইথ হ্যাজেলনাট আইসক্রিমের অর্ডার দিলাম। অবিলম্বে পরিবেশিকার হাতে চেপে তার আবির্ভাব হল। 

আইসক্রিমটা দেখতে বেশি ভালো না খেতে, সেটা আমি এখনও স্থির করে উঠতে পারিনি। আরও কয়েকবার খেয়ে দেখতে হবে মনে হচ্ছে।

ব্যস্‌, গল্প প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। একটুখানি বাকি আছে সেটা চট করে বলে নিই। আমার পরিবেশিকা মন্দ ছিলেন না, তবে সামান্য ঢিলে। আমার দশটা আটত্রিশের ট্রেন ধরার ইচ্ছে ছিল, বিল মিটিয়ে লাঠিছাতাক্যামেরা সামলে ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটে এসক্যালেটরের তিনটে করে সিঁড়ি টপকে প্ল্যাটফর্মে উঠে দেখি ঘড়িতে দশটা ঊনচল্লিশ বাজে, প্ল্যাটফর্ম ঝাঁট দিয়ে লোক তুলে নিয়ে আমার ট্রেন চলে গেছে।

পরের ট্রেন ঠিক একঘণ্টা বাদে, এগারোটা আটত্রিশে।

প্ল্যাটফর্মের ওপর ঠাণ্ডা হাওয়া দিচ্ছিল আর আমি যথারীতি পাকামো করে সোয়েটার নিয়ে বেরোইনি। অগত্যা আবার নিচে নেমে এলাম। কোলোন সেন্ট্রাল স্টেশনে বেশ রংচঙে আলোজ্বালা দোকানপাট আছে, ভাবলাম একঘণ্টা ধরে ঘুরে ঘুরে সেগুলোই দেখি। ঘুরতে ঘুরতে একটা জায়গায় এসে ডানদিকে ঘাড় ঘুরিয়েই দেখি আমার পাড়ার সুপারমার্কেটের নাম ঝকঝকে লাল আলো দিয়ে লেখা। স্টেশনের ব্রাঞ্চ কি না, রবিবারেও দিব্যি খোলা।

ভাগ্যিস ট্রেনটা মিস্‌ করলাম। ভাগ্যিস মহিলা ঢিলেমো করলেন। লাফ মেরে দোকানে ঢুকে গিয়ে একবাক্স দার্জিলিং টি-ব্যাগস্‌, একবাক্স পেনে পাস্তা, সবুজ ডাঁটিওয়ালা লাল টুকটুকে টমেটো, মোটা মোটা সসেজ কিনে ফেললাম। ডিনারের কথা ভেবে এখনই মন ভালো হয়ে যাচ্ছে।

Comments

  1. Replies
    1. রবিবারের মতো রবিবার, তিন্নি।

      Delete
  2. খো-ওয়াঁ-সঁ? তায় আবার তিনটে ছবিতে খেপে খেপে তার গলাধঃকরণের বর্ণনা? এতে কুলালো না, আবার ওইরকম দুর্ধর্ষ আইসক্রীম-এর ছবি? নেহাত (১) ব্রাহ্মণসন্তান নই, (২) তায় ঘোর কলি, এদিকে (৩) অবান্তরকে বড্ড ভালবাসি - নইলে এমন লোভ দিতাম যে... থাকগে সে কথা। ফোন পেয়ে গেছ, এটা সেলিব্রেট করবার মতো ব্যাপারই বটে।

    ওই টিকিট কাটার লাইনে ঢোকার টিকিট-এর কথা শুনে বিলক্ষণ এদেশেরও অনেক লাইনের কথা মনে পড়ে গেল, বিশেষত ভারতীয় এম্ব্যাসি বা কন্সুলেট হলে তো কথাই নেই। ওই ম্যাজিক বাক্স থেকে নম্বর না বেরোলে তেনারা কিছুতেই অঙ্গুলিহেলন করেন না - সে যতই কাউন্টার-এর সামনে ধূ ধূ মাঠ হোকনা কেন। আমার মনে হয় ওই নম্বরের খতিয়ান হিসেবে এনার কমিশন পান নিশ্চয়।

    ReplyDelete
    Replies
    1. আহা কৌশিক ওগুলো হচ্ছে কনসুলেট, আর এটা হচ্ছে রেলস্টেশন। রেলস্টেশন। আমাদের গরিবগুর্বো দেশে রিষড়া থেকে হাওড়া, এই সতেরো কিলোমিটারের মধ্যে ছ'-ছ'খানা আছে। তাছাড়া এসব কায়দা করতে গিয়ে লোকের ট্রেন যদি চলে যায়? দেশে অফিস টাইমে যদি সাড়ে ন'টা নাগাদ কাউকে ফাঁকা কাউন্টারের সামনে পনেরো মিনিট লোককে দাঁড়িয়ে থাকতে হলে কী হত ভাবতে পারছ? সোজা দাঙ্গা।

      Delete
  3. korechen ki!! eta ice-cream na world cup!

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহাহা, ফাটাফাটি বলেছেন এটা সৌমেশ।

      Delete
  4. "আইসক্রিমটা দেখতে বেশি ভালো না খেতে, সেটা আমি এখনও স্থির করে উঠতে পারিনি।" eita jabbor bolechho. Presentation ta marattok rakomer bhalo. Darun ekta Robibar . Phone pherot paoao khub bhagyer kotha. :-).

    ReplyDelete
    Replies
    1. একমত একমত ইচ্ছাডানা।

      Delete
  5. ইস কী ভালো কী ভালো ।এই রকম একটা দিন বড্ড পেতে ইচ্ছে করে
    মিঠু

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমি মনে মনে বলছি যেন তুমি খুব শিগগিরি এমন একটা দিন পাও মিঠু।

      Delete
    2. ডিনারে পেনে পাস্তা বানিয়েছিলে? সসেজ দিয়ে? উফ আমি কোথায় যাই?
      মিঠু

      Delete
    3. আরে ধুর ও জিনিস বানাতে আবার কায়দা লাগে নাকি মিঠু। একটার পর একটা জিনিস কড়াইয়ে দিয়ে দাও, দু'বার নাড়োচাড়ো, ব্যস। কায়দা লাগে তেতোচচ্চড়ি রাঁধতে, আর সেটা আমাকে রান্না করতে বললেই আমার দৌড় বেরিয়ে পড়বে।

      Delete
    4. আরে ছো ! কায়দার কথা বলিনি তবে ওই চটজলদি খাবারগুলো আমার নেহাতই প্রিয় তাই। মানে ওইগুলোতে আম্মো তোমার মত কমফরটেবিল
      মিঠু

      Delete
  6. achha plate e croissant er micro-tukro gulo keno pore achey :(
    gyani-guni ra bole gechen je khabar noshto korte nei!

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা শম্পা, ওগুলো অনেক ভেবে প্লেটেই রেখে এলাম। কাঁটা চামচ দিয়ে তো আর ওগুলো ম্যানেজ হয় না, আঙুল দিয়ে তুলে তুলে খেলে যদি কেউ হ্যাংলা ভাবে।

      Delete
    2. satyi kanta chamoch niye ei ek somosya. ei weekend e ekta nemontonno chilo....achha macher matha giye bhaja mugh ki kanta chamoch diye khawa jay....bangalir je markin deshe ei durdasha hobe ke janto :(

      Delete
    3. মাছের মাথা দিয়ে মুগের ডাল কাঁটা চামচ দিয়ে খেতে বলেছে? এম টিভি রোডিস্‌-- এর অডিশন হচ্ছিল নাকি গো?

      Delete
  7. চা নেই বলে এত গোলমাল মনে হচ্ছে? এত সুন্দর পরিবেশ, নিস্তব্ধতার মধ্যে জেগে ওঠা, ভোরের ওম্‌ -এসব কিছুকে নিজের মধ্যে নিতে চেষ্টা কর। দেখবে বাকি সব তুচ্ছ। চা-পান-চঞ্চল হয়ে মানুষ কত সময় এমনি কাটিয়ে দেয়। তবে তোমার ছবিগুলি দেখে মনে হল ইস্‌ আমি তোমার সঙ্গে নেই। খালি লালায়িত হওয়া ছাড়া আর কি করার আছে? অবশ্য আইস্‌ক্রিম উপভোগ করতে হলে তোমার সঙ্গ বড্ডই জরুরী। আইস্‌ক্রিমটা সুন্দর কিন্তু গ্লাসটা মনে হল আরো সুন্দর।

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা এক্কেরে ঠিক ধরেছেন মালবিকা। আইসক্রিমটা কোয়ালিটি কাপে পুরে সামনে ধরে দিলে চোখে দেখে অন্তত কিছু তফাৎ বোঝা যাবে না, গ্লাসটাই মার দিয়া কেল্লা।

      চায়ের ব্যাপারটাতেও সম্পূর্ণ একমত। ভালো থাকতে এত কিছু লাগে কেন কে জানে। তবে আপনার কথাটা মনে রাখলাম। কাজে লাগানোর চেষ্টা করব।

      Delete
  8. ice cream ta'y lobh dile mone hoy onyay hobe na, at least glass tar jonye toh hingse kortei pari?

    tomar lekha porbar somoye protyek ta choritro ke ami chokher samne dekhte pai, ekdom chokh, naak, wrinkles, stray paka chul soho.

    ReplyDelete
    Replies
    1. হ্যাঁ হ্যাঁ যত খুশি হিংসে কর টিনা। ও গ্লাস আমার নয়, পড়ে ভাঙলে রাইখার্ডের ভাঙবে আমার কী।

      আর তুমি যে এত ভালো ভালো কথা বললে অবান্তর নিয়ে সে জন্য তোমাকে অগুন্তি থ্যাংক ইউ দিলাম।

      Delete
  9. ক্রোসাঁর ছবি দেখে মনটা ভারী ইয়ে হয়ে গেল। দেশে ভাল ক্রোসাঁর বড্ড দাম। আইসক্রিম জিনিসটায় অবশ্য আর আসক্তি নেই প্রায় (বয়স হছে বোধহয়)।

    এত সাবলীল লেখা খুব কম পাওয়া যায়। একটা উপন্যাস লিখে ফেলো না, হটকেকের মত বিকোবে। :P

    ReplyDelete
    Replies
    1. ধুর কী যে বল প্রিয়াংকা, প্রেম করা আর আইসক্রিম খাওয়ার সঙ্গে বয়সের কোনও সম্পর্ক বৈজ্ঞানিকেরা দিনরাত পরিশ্রম করেও বার করতে পারেননি।

      আরে দাঁড়াও, পাঁচশো শব্দের পোস্ট লিখতেই গলদঘর্ম, উপন্যাস তো দূর অস্ত। তবে তুমি উৎসাহ দিলে বলে খুব খুশি হলাম।

      Delete
    2. ছোটগল্প আর রম্যরচনা তোমার হাতে দুর্দান্ত হবে দেখে নিয়ো । মুজতবা আলি,লীলু পিসি,নবনীতা দিদিদের উত্তরসূরী । এরকম লেখা কমে আসছে ।
      মিঠু

      Delete
    3. ওরে বাবা মিঠু, কীসের সঙ্গে কীসের তুলনা! আমার প্রতি তোমার এত উচ্চ ধারণা দেখে যারপরনাই খুশি হলাম।

      Delete
    4. বিনয়েন অলম
      \
      মিঠু

      Delete
  10. কুন্তলা, তুমি একবার বলেছিলে বাঙালভাষাটা ভাল বলতে পার না। কিন্তু এক্কেরে - ই তো তোমায় পূর্ণমহিমায় স্বদেশে প্রতিষ্ঠিত করে দিল। লেখার মধ্যে এই শব্দটার ব্যবহার আমায় খুব মজা এবং আনন্দ দিয়েছে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা থ্যাংক ইউ মালবিকা।

      Delete
  11. Ice cream ta ami ebar kheyei charbo dekho..ja lobh lagaley chobita lagiye! btw, amio ekhon Bonn ey...ekdin tomar thikana ta khuje ber kore (mrs.birch er guest house tai na?) pouche giye dekho thik tomay chomke debo! ekhane kothau kharkone pawa jaay naki boloto? tahole dui bangal konya miley kharkone bata khabo..jhaal jhal! ish! bhoy peye jeo na kintu :P

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে না না ভয় পাওয়ার কী আছে পৌষালি। কোলোনে যদি যাও তবে রাইখার্ডে খেতে পার, ভালো লাগবে আশা করি।

      Delete

Post a Comment