বই পড়ার জায়গা
আমাদের মাঝের ঘরের
পশ্চিমদিকের দেওয়ালে ছিল জায়গাটা। ডানদিকে কাঠের সেকেলে আলনা, বাঁদিকে মায়ের
বিয়েতে পাওয়া সিলিং-ছোঁয়া গডরেজ আলমারির ঠিক মধ্যিখানে। রোজ রাতের খাওয়া শেষ হলে
আমি হাতে একখানা গল্পের বই নিয়ে ওই ফাঁকটায় সেঁধোতাম। মাবাবা খেতেন, মা রান্নাঘর
গুছোতেন, পরের দিনের অফিসের ব্যাগ গুছোতেন, এঘর ওঘর ঘুরে বিছানা করতেন, মশারি
টাঙাতেন, আর আমি বুকের ওপর কমলা-সবুজ সুতোর হাঁস আঁকা সাদা টেপফ্রক পরে বসে ভীষণ
মনোযোগ দিয়ে গল্পের বই পড়তাম। ফেলুদা, কিরীটী, চাঁদের পাহাড়, রাজকাহিনী।
কয়েক বছর পরে যখন আর ঘরে
জিনিস আঁটছে না, তখন আমাকে উচ্ছেদ করে আমার গল্পের বই পড়ার জায়গায় একটা বইয়ের
আলমারি উড়ে এসে জুড়ে বসল। আমার বই পড়ার জায়গা স্থানান্তরিত হয়ে গেল সিঁড়ির মাথায়।
ঘরের মত আরাম ছিল না সেখানে। গরম, ঘাম, মশা। তার মধ্যেই কাজ চালিয়ে নিতে হত। তবে
ছাদের দরজা খুলে দিলে আর কচ্ছপমার্কা মশার ধূপ জ্বালিয়ে নিলে ওই জায়গাটাই স্বর্গের
কাছাকাছি চলে যেত। ষাট পাওয়ারের ফিলিপ্স্ বাল্বের হলুদ আলোর তলায় বসে একনিঃশ্বাসে
পরিণীতা শেষ করেছিলাম মনে আছে। ব্রাউন মলাট দেওয়া শরৎ রচনাবলী কোল থেকে নামিয়ে
ছাদে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। এ রকম একটা ঘুটঘুটে ছাদে দাঁড়িয়েই শেখর ললিতাকে প্রথম
চুমু খেয়েছিল ভেবে ফোঁস করে দীর্ঘশ্বাস পড়েছিল আমার। এমন রোম্যান্টিক গল্প কি আর
পৃথিবীতে কোথাও লেখা হয়েছে আর? না লেখা হবে?
আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি
সব কাজের মত গল্পের বই পড়ারও একটা নির্দিষ্ট জায়গা থাকা দরকার। আমরা বেডরুমে ঘুমোই,
বাথরুমে স্নান করি, ডেস্কে বসে হোমওয়ার্ক করি, ডাইনিং রুমে কিংবা টিভির সামনে খাই।
সব কাজের নির্দিষ্ট জায়গা আছে, আর গল্পের বই পড়ার থাকবে না? সেটা কেমন বিচার? হ্যাঁ,
বাকি সব জায়গার সঙ্গে গল্পের বই পড়ার জায়গার একটা মস্ত ফারাক আছে। সকলেই খাটের ওপর
ঘুমোয়, কিন্তু সকলে সিঁড়িতে বসে গল্পের বই পড়ে না। প্রতিটি মানুষের একান্ত নিজস্ব
গল্পের বই পড়ার জায়গা থাকে। কেউ ঘরে বসে পড়ে, কেউ ছাদে বসে পড়ে, কেউ ট্রেনে বাসে
পড়ে, কেউ অফিসে বসে লুকিয়ে লুকিয়ে পড়ে।
আমার নিজের গল্পের বই পড়ার
জায়গা বাছার প্রধান শর্ত হচ্ছে নির্জনতা। আমাদের কলেজে একটি মেয়ে ছিল যে সারাদিন
ক্যান্টিনে বসে ঘস্ঘস্ করে কী সব যেন লিখত। আর কেউ “কী লিখছিস্ রে?” প্রশ্ন
করলে হাত দিয়ে খাতা আড়াল করে বলত, “প্রাইভেট ব্যাপার। এত ইন্কুইজিটিভ্ কেন তোরা?
ডিস্গাস্টিং।” পরে জেনেছিলাম মেয়েটি কবি, আর হল্লা ছাড়া ওর কবিতা পায় না। কাজেই
ক্যান্টিন ভরসা। আমার আবার উল্টো। নির্জন কোণাঘুঁজিতে আমার গল্পে মন ভালো বসে।
বেশি আলোবাতাস আমার মন চঞ্চল করে দেয়।
বাবামা কান ধরে বাড়ি থেকে
বার করে দেওয়ার পর অবশ্য গল্পের বই পড়ার জায়গা নিয়ে বেশি প্যাকনা করার সুযোগ চলে গেছে
আমার। হোস্টেলের খাট কিংবা লাইব্রেরি, এতেই কাজ চালিয়ে নিতে হয়। তবে বিদেশে গিয়ে
আর এক ধরণের জায়গা খুঁজে পেয়েছিলাম। বইয়ের দোকান। দেশের বইয়ের দোকানগুলো, অন্তত
আমি যেগুলোতে যাতায়াত করি, বসে বই পড়ার পক্ষে ভয়ানক ছোট। যেগুলো বড়, সেখানে তিনের
বেশি চার মিনিট একটা বই নিয়ে বসে থাকলে সেল্স্ম্যানেরা কটমটিয়ে তাকায়। ফার্স্ট
ওয়ার্ল্ডের বইয়ের দোকানগুলো অত কুচুটে নয়। কে দোকানে বসে বিনাপয়সায় কতখানি বই পড়ে
নিল, সে নিয়ে মাথা ঘামিয়ে হাত গন্ধ করার টাইম নেই ওদের।
এখানে এসে খানিকটা থিতু
হওয়ার পর আমার টু-ডু লিস্টের প্রধান কাজ ছিল ওইটাই---বই পড়ার একটা জায়গা খুঁজে বার
করা। আমার এখানের ঘরটা ভালোই, কিন্তু আলো ভয়ানক বেশি। এই সামারে সূর্য ওঠে ভোর
পাঁচটারও আগে, আর অন্ধকার নামতে নামতে সেই দশটা, প’নে দশটা। ততক্ষণ আমার ঘরে আলোর
বন্যা।
শহরভ্রমণে বেরিয়ে আমি
চোখকান খোলা রেখেছিলাম। টিমোকে জিজ্ঞাসা করলাম, “তোমাদের এখানে ইংরিজি বইয়ের দোকান
নেই?” একঢিলে দুই পাখি মারা যায় কি না সেটাই ছিল আমার মতলব। টিমো বলল, “আছে তো। এই
যে মার্কেট দেখছ, এটা ধরে নাকবরাবর চলে গেলেই তিনতলা বইয়ের দোকান পাবে, থালিয়া।”
গত কয়েকদিন ধরে অফিসফেরতা
থালিয়া-য় ঢুঁ মারছি। তিনতলায় ইংরিজি বইয়ের বিভাগটা ছোট, কিন্তু তার মধ্যে একটা বড়
অংশ ক্রাইম উন্ড মিস্ট্রিস্। ভালো দোকান সন্দেহ নেই। বসে বই পড়ার জন্য ইতিউতি
চেয়ারটেবিল রাখা আছে। প্রথম দিন সবক’টা চেয়ারটেবিল ট্রাই করে দেখলাম, প্রত্যেকটাই
কাঁচের দেওয়ালের দিকে মুখ করে রাখা, বই থেকে মুখ তুললেই কাঁচের ওপারে প্রকান্ড
সিটি হল্ আর তার সামনের চত্বরে সারাক্ষণই রিষড়া প্ল্যাটফর্মের মত ভিড়।
উঁহু, চলবে না।
দ্বিতীয় দিন বই হাতে নিয়ে
দোকান ঘুরতে বেরোলাম। ভদ্রস্থ একটা পড়ার জায়গা না বার করলে পুরো ব্যাপারটাই মাটি
হয়ে যাচ্ছে। খুঁজতে খুঁজতে, ভয়লা! দোতলার এক কোণায় আধখানা চাঁদের মত দু’সারি চেয়ার
সাজানো, হঠাৎ দেখলে মনে হয় সামনের ফাঁকা জায়গাটায় এক্ষুনি রবীন্দ্রজয়ন্তী শুরু হবে
বুঝি, কিন্তু সে রকম কিছু নয়। স্রেফ বই পড়ার জন্যই চেয়ারগুলো সাজিয়ে রাখা আছে। মাথার
ওপর টিমটিমে অথচ পর্যাপ্ত আলো, সামনে তাকালে শুধু ফাঁকা এলিভেটর ওঠানামা করছে,
মাঝে মাঝে তাতে চেপে দু’চারজন লোক।
আর আমাকে পায় কে। সামনের
সারির ডানদিকের চেয়ারটা আমি অলিখিতভাবে দখল করেছি। রোজ সাড়ে চারটে নাগাদ পৌঁছে
যাই, সাড়ে ছ’টা পর্যন্ত নট নড়নচড়ন। গত ক’দিনে আরও ক’জন নিয়মিত পড়ুয়াকে আবিষ্কার
করেছি। তাঁদের মধ্যে সবথেকে ইন্টারেস্টিং হচ্ছেন এক পাকাচুল দাদু। দাদু একখানা গাবদা
হলুদ জার্মান ডিকশনারি নিয়ে আসেন আর আমার ঠিক পাশের, পাশের চেয়ারে বসে ঘণ্টাখানেক
ধরে সেটার পাতা উল্টোন। রোজ। ওই একই চেয়ারে বসে।
কিছু কিছু ব্যাপারের আসলে বয়সলিঙ্গদেশকালজাতধর্ম হয় না। তাই না?
আপনার গল্পের বই পড়ার
ফেভারিট জায়গা কোনটা?
এটা ছোটবেলায় ছিলো যে কোনো জায়গা।
ReplyDeleteতারপর হোলো পেছনের জানলা - উত্তর দিকে, গরাদ দেওয়া ডবল জানলা।
তারপর ঘরের মেঝে।
এখন সব গিয়ে - শনি-রোববারের লোকাল ট্রেন।
"প্রতিটি মানুষের একান্ত নিজস্ব গল্পের বই পড়ার জায়গা থাকে।" - এটা মানুষকে (পড়তে হবে মা আর বৌকে) বোঝানো যে কি দুষ্কর!!
গরাদ দেওয়া ডবল জানালা। শুনেই মন কেমন করছে।
Deleteআমি আবার টিভি না চললে বই পড়তে পারি না। তাই আমি সবার প্রথমে টিভি চালাই, তার পর সোফার হাতলের ওপর একটা কুশন চাপাই, তার পর সেই কুশনে মাথা রেখে সোফায় চিত হয়ে শুয়ে বই পড়ি। খানিক পরেই খুব খিদে পায়। তখন রান্না ঘরে গিয়ে খুঁজেপেতে কিছুমিছু নিয়ে আসতে হয়। তখন চানাচুর/ভুজিয়া/সন্দেশ/বিস্কুট খেতে খেতে বই পড়ি।
ReplyDeleteইস, চানাচুর খেতে খেতে বই পড়া যে কী আরামের। যে করেনি সে জানে না, বলুন দেবাশিস?
Deleteবাই দ্য ওয়ে, কিছুমিছু-টা আমি ভেবেছিলাম শুধু আমিই বলি।
Deleteকুন্তলা,তুমি খালি লিখে যাও আর আমি খালি হেসেই চলি।এবার জানতে চাই, তোমার ঘরে কি কোথাও একটু কোনা-ঘুপচি নেই, যেখানে তুমি একটা বই হাতে নিজেকে সেঁধিয়ে দিতে পার? সপ্তাহের নোংরা কাপড়গুলো সেখানে ডাঁই করো আর খুচ্মুচ্ কিছু সঙ্গে নিয়ে বইএর সঙ্গে সহবাস শুরু হোক। ওদেশে তো মশার উৎপাত নেই, তাই পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়লেও কোন উপদ্রব নেই বা কেউ কিছু বলার নেই। আমার ছেলেবেলাটা এরকমই ছিল।
ReplyDeleteআর আমার খুব চেনা একজন বলে খুচমুচ। এই কিছুমিছু/খুচমুচের সঙ্গে বই---ম্যাচ মেড ইন হেভেন। বই পড়তে পড়তে ঘুমোলে দারুণ দারুণ স্বপ্ন আসার সম্ভাবনা থাকে কিন্তু মালবিকা।
DeleteBha eta besh bhalo proshno korechen...বই পড়ার ফেভারিট জায়গা...amar abar gan gaile hai othe r boi porle ghum pay...ami tai rate boi porar pokhhopati noi khub ekta...age chilo online pdf..monitor ba laptop er samne...ekhun amar pochonder jayga holo office er volvo bus er 3 number 2seater er window seat..sokkal sokkal uthe besh prokiti manush dekhte dekhte boi pora jay..
ReplyDeleteকী সাংঘাতিক! গান গাইলে হাই ওঠে! আমার এক বন্ধুর উঠত তো। সে গান থামিয়ে হাই তুলে আবার ঠিক যেখানে থেমেছিল সেখান থেকে গান ধরত। জানালার পাশের সিট পেলে পড়া দ্বিগুণ আনন্দের হয়, সত্যিই।
Deleteamar ekhon ekdom chup kore boi pora hoyna..barite ekjon achen onaro sei boitai chai tokhon..tobe ami boi porte suru korle ekdom sesh na kore uthte parina.age boimelay gele eknishwase jototuku pari pore nitam,ekhono ami boi kini college st amar ek chena dokan theke.uni amar list moto boi ante ante samne theke ekta boi tule porte arombho kori.Ami jokhon management house e jetam porte tokhon okhankar library te kichu bangla golper boi khuje peye ki anondo.management er boi khoja mathay uthechilo tokhon.
ReplyDeleteযাক রুমমেটও বই পড়তে ভালোবাসেন তাহলে সুমনা। ভালো রুমমেট।
DeleteAmi jotodin bari te thaktam, amar baba-maa er bedroom er khaat er dewal er dike shuye shuye portam. ami abar shuye shuye chhara boi porte pari na. r ekhon j kono khaat er dewal er dike shuye shuye. ekta Kindle kinechilam goto bochhor, even setateo ami shuye shuyei pori mainly.
ReplyDeleteতোমারও কোণাঘুপচির বাই আছে মনে হচ্ছে টিনা। দেওয়াল না হলে চলছে না যখন। কিন্ডল্ কেমন লাগছে?
DeleteClassroomer last bench. Dhere boyeshe sei jaygata pawa jay na bole bhari apshosh hoy amar. Tai doodher swaad ghole metate majhe majhei apishe lukiye lukiye e-book pori.
ReplyDeleteলুকিয়ে বই পড়া কী মজা না বিম্ববতী? লুকিয়ে ফুচকা খাওয়া বা সিগারেটে টান দেওয়ার থেকেও ভালো।
DeletePorte pelei borte jai tar abar jaiga. Ekta bhalo boi pelei holo ar Jodi amake Keu takhon dakadaki na kore tahole to kathai Nei.
ReplyDeleteহাহা রুচিরা, এটা বেশ বলেছ। টুকটুককে সামলাবে না বই পড়বে।
DeleteTuktuk-er jonno ekhon anek boi porte hoi actually! amar bareete kono din galper boi porar prishthoposhokata chhilo na, atoeb porar boi-er talay lukie galper boi porar ebong jekhane sekhane sujog pelei pore phelar abhyas ta toiri hoyechhilo. ami bus-e bose ba darie iPhone-e ekta gota boi sesh korechhilam! ekkhana bhalo boi porar somoi amar pash die bareer bhetore goru dhuke gechhe ami ter paini! pasher ghar-e rannaghar-e pressurecooker burst korechhe, ami ter paini! jaihok, abhyas tar kharap bhalo duto dik-i achhe. tuktuk boi shunte chaile amra kakkhono na korina, atoeb or-o car seat hok ba potty seat sab jaigay boi porar abhyas toiri hochhe!!
DeleteThis comment has been removed by the author.
Deleteনা না, যে যাই বলুক রুচিরা, আমি বিশ্বাস করি গল্পের বই পড়ার শুধু ভালো দিকই আছে। খারাপ যদি বা থেকেও থাকে, সেটা এতই তুচ্ছ যে পাত্তা দেওয়ার দরকার নেই। টুকটুক বই শুনতে চায় শুনে ভালো লাগল। ছোটবেলা থেকেই বইপ্রীতি তৈরি হওয়া দরকার।
Deleteamar abar dhaka baranda khub priyo. deshe barir dhaka baranday mejer opor madur pete boi porte bhalo lage. markin deshe amar barir boshbar ghorer pashe ekta choto kanch diye dhaka baranda gocher achey....madur aar kothay pabo, tai sekhane ekta choto mattress rekechhi....okhane rod poyate poyate weekend e boi porte khub bhalo lage. aar brishti holey tow kothai nei :)
ReplyDeleteবাঃ বারান্দার আইডিয়াটাও তো বেশ। বাইরে ঝমঝম বৃষ্টি আর ভেতরে ইয়াশিম খুনির সন্ধানে ইস্তানবুলের অলিতেগলিতে ঘুরছে। আর কী চাই লাইফে?
DeleteIssh, ei lekhata pore ebar mone hochhe sottii keno amar kono boi porar spcl jaiga nei :-(. jakhon jemon hoi takhon temon bhabei pore pheli, mejher upor, chair e ..
ReplyDeleteভালো তো ইচ্ছাডানা। তার মানে আপনি আমাদের থেকে (যাদের ঠিক একই সারির একই চেয়ার না হলে চলে না) বেশি বই পড়তে পারেন। তবে সময়সুযোগ পাওয়া শক্ত।
Deletebichhana. bna dik-e kaat hoye shuye, matha-ta ba haater opor bhor diye unchu korey. ei ekta pose na holey boi poRa amar pokkhe shombhob na.
ReplyDeleteএই তো আরেকজন, যার এক্স্যাক্ট জায়গায় এক্স্যাক্ট ভঙ্গি না হলে চলে না।
Deleteবড়বেলা এসে গেছে, তাই যত ঝামেলা এখন নিত্যসঙ্গী। সেই জন্য রুচিরার কথাটাই এখন একমাত্র সত্য -- পড়তে পেলেই বর্তে যাই তার আবার জায়গা .............. ।
ReplyDeleteরুচিরার কথাটা আমারও বেশ মনে ধরেছে। আর ক'দিন পরে হয়তো আমারও ওটাই বলতে হবে।
DeleteTintolar thakurghorer shiri. Sheetkale. Goromkale boro ghorer mejhe, mathay takiya, thyang dewale. Ar ei borobelae, papasan chair e gol hoye shuye
ReplyDeleteপ্রত্যেকটা জায়গাই সুন্দর শকুন্তলা। আমাদের নামের মত সিঁড়ির ব্যাপারটাও মিলে গেছে।
Deleteতোমার বাবা কি উত্তর প্রদেশ/উত্তরাঞ্চল যেতে পেরেছেন? যা দুর্্যোগ ওখানে, সব ঠিক আছে তো?
ReplyDeleteনা যেতে পারেননি। রাস্তাঘাট সব বন্ধ করে দিয়েছে, বাবা হরিদ্বারে বসে বসে গঙ্গার হাওয়া খাচ্ছেন। কপাল ভালো, দু'দিন আগে পৌঁছলেই বিপদে পড়ে যেতেন খুব।
Deleteamader gharer ekta konay duto baro trunk chilo jar opor toshok bichiye bichana rakha hoto. class 7 obdi ota chilo amar boi para-r jayga. tarpar amar ekta choto ghar jotar par bichana-te chadar muri diye galp-er boi para-r mato sargio sukh r chilo na...r ekhono otai amar pose galper boi para-r shudhu ghar-ta bodle geche
ReplyDeleteবাঃ, শুতে পেলে আমিও শুয়ে শুয়ে বই পড়ার পক্ষপাতী দেবশ্রী। মিল মিল।
DeleteEmail notification ki bondho hoyechhe kono karone? Sesh duto post-er khobor paini kintu. Nehat obhyes toiri hoyechhe ekta, tai ghurghur korte korte ese pore jachchi :)
ReplyDeleteএই রে, আমি তো কিছু করিনি শীর্ষ। দেখুন আবার যদি নিজে থেকেই ফেরত চলে আসে। আর অভ্যেসটা তো ভালো, বদলানোর দরকার কী?
DeleteThis comment has been removed by the author.
DeleteKe obhyes bodlachche!! Tobe duto kotha. 'Study'-te loke boi porte pare na keno bolo to? :) Aar dokane bose boi porar sera jaiga kintu London-er Foyles. Mane Charing Cross-er purono dokan-ta. Thik jeno paaraar kono purono library! Protyekta bosar sofa, chair,onyogulor theke alada!!
DeleteCharing Cross! এই নামটা আমি অ্যাগাথা ক্রিস্টির গল্পে পড়েছি তো! কোনওদিন যদি যাওয়ার সুযোগ হয় তাহলে নিশ্চয় বইয়ের দোকানটায় ঢুঁ মারব শীর্ষ। খবর দিয়ে রাখার জন্য থ্যাংক ইউ।
Deleteজানো প্যাডিংটন স্টেশন দেখার পর আমারও ওরকম রোমাঞ্চ হয়েছিল ।4:50 from paddington!
ReplyDeleteমিঠু
ইস, তুমি প্যাডিংটন দেখেছ মিঠু? হিংসে করছি।
Deleteআমার অবশ্য ছোটবেলায় কোনও নির্দিষ্ট জায়গা ছিলনা বই পড়ার জন্য। যখন যেখানে পারতাম পড়তাম। একটা জায়গা যেটা বেশ পছন্দের ছিল সেটা হলো আমাদের হুগলির পুরনো বাড়ির ঠাকুরঘর, যেটা উঠোন পেরিয়ে দালান পেরিয়ে যেতে হত, আর লোকজনের উত্পাত বিশেষ থাকতনা। পরে এলাহাবাদের দ্বিতীয় বাড়িটায় শীতের দিনে রোদ উঠলে অবশ্যই ছাদে চলে যেতাম, সে পড়ার বই নিয়েই হোক, বা গল্পের বই নিয়েই হোক। গরমকালে সে গুড়ে বালি, যে ঘরে কুলার সে ঘরে বসা ছাড়া গতি নেই। হুগলির এখনকার বাড়িতে দোতলায় দক্ষিনের বারান্দা, কিম্বা তিনতলায় দক্ষিনের ছাদ, এই দুটোই খুব প্রিয়, কারণ গরমের দিনেও পাখা লাগেনা, আর বই থেকে চোখ তুললেই পুকুর দেখা যায়। আর এখানে আমার বাড়িতে জায়গাই বা কতটুকু, যে বাছাবাছি করব? যেখানে পারি সেখানে পড়ি। তাও বেশিরভাগটা পড়া হয় ট্রেনে কিম্বা জিমে।
ReplyDeleteঅ্যাঁ, আপনিও জিমে বই পড়তে পারেন? প্রতিভা তো।
Deleteamar abar boi porar serokom special jayga kichu lagena, class 8-10 obdhi ami bhoyonkor bhir s-21 e even janlar dhar na peyeo omlan bodone boi portam, akta S-21 e bose bose pray puro Debjaan pore felechilam :) boi er bela amar concentration hingse korar motoi.. ei deshe amar o boi er dokan e boi porte besh lage, tobe aro bhalo lage cafe te bose porte..ekhane akta chhotto local cafe ache, baire khorer chhata mele tar niche mini table chair pete boi porte ja aram na! amar abar bairer duniya ta samne thakle bhaloi lage, boi theke hothat chardik takiye obaak hoye jai seta besh lage :)
ReplyDeleteদারুণ বলেছ স্বাগতা। হঠাৎ বই থেকে চোখ তুলে বাইরের দুনিয়াটা দেখে অবাক হয়ে যাওয়ার কথাটা।
Delete