কিতনি শান্তি দুনিয়া মে



ঘটনার জল গড়াতে গড়াতে শেষে এমন একটা জায়গায় এসে দাঁড়াল যে ঝাড়া ছিয়ানব্বই ঘণ্টা আমাকে ফোন ছাড়া বাঁচতে হচ্ছে।

জল গড়াতে শুরু করেছিল মে মাসের উনিশ তারিখ দুপুরবিকেল নাগাদ, যখন আমরা বিয়ে সেরে দিল্লি ফেরার জন্য কলকাতা বিমানবন্দরে বসে ছিলাম। রিষড়া থেকে মাবাবা এয়ারপোর্টে দেখা করতে এসেছিলেন, সিকিউরিটি হয়ে যাওয়ার পর নির্দিষ্ট গেটের কাছে এসে ভালো দেখে সিট দেখে বসে আমি মা’র ফোন নম্বরটা টিপে বললাম,

-মা সব হয়ে গেছে। তোমরা চলে যাও।

-আমরা কিন্তু প্লেন ছাড়া অবধি থাকতে পারি, থাকব?

-পাগল নাকি? এক্ষুনি রওনা দাও। আর সেদিন দুপুরের কথাটা মনে আছে তো?

ওদিক থেকে মায়ের হাসিহাসি গলা ভেসে আসে।

-আছে সোনামা। তোমরা সাবধানে যেয়ো, ভগবান তোমাদের ভালো রাখুন। দুগ্‌গা দুগ্‌গা।

বিয়ের আগের দিন দুপুরে খেয়ে উঠে মামেয়ে দুজনে মেঝেতে গড়াচ্ছিলাম। মা’র মনটা একটু একটু ভারি হয়ে আসছিল সেটাও দিব্যি টের পাচ্ছিলাম। আমি বললাম,

-আচ্ছা কতদিন ধরে তো বাইরে আমি, এখন নতুন করে দুঃখ পাওয়ার কোনও মানে আছে মা? এর থেকে বোকাবোকা ব্যাপার কি কিছু হয় না হতে পারে?

মা চোখের একফোঁটা জল মুছে হেসে বললেন,

-সিরিয়াসলি বোকা বোকা, বল্‌? আর তাছাড়া এটা তো আমার আনন্দ করার সময়। বাব্বা, অবশেষে ছুটি। কী ভোগান ভোগালি সোনা।

-একেবারে ছুটি নিতে চাও মা?

-এক্কেবারে ছুটি। এইবার তুই যা খুশি করবি, যত কম পারিস খাবি, যেখানে খুশি যাবি, যত খুশি দেরি করে বাড়ি ফিরবি। এবার ভাববে অন্য লোক। আমি আর তোকে নিয়ে ভাবব না, টেনশন করব না।

-মনে থাকবে?

-অন গড ফাদার মাদার।

মা’রা যখন আমাদের ভাষায় কথা বলেন তখন সেটা শুনতে আরও বেশি মজার লাগে না?

ফোনটা পাশে নামিয়ে রেখে মনটা হঠাৎ ভীষণ ভালো হয়ে গেল। ঝামেলা শেষ, নিজের বাড়ি ফিরছি, সবথেকে বড় কথা অবান্তরের কাছে ফিরছি। কত কথা জমে আছে আপনাদের বলার জন্য। উৎসাহের চোটে আমি ল্যাপটপ বার করে টাইপ করতে শুরু করে দিলাম। আধপাতা মতো লিখেই ধৈর্য পগারপার, তখন কফি খেতে খেতে লোক দেখা আর হাহাহিহি।

একটু পরেই গেটের কাছে সাদানীল পোশাক পরা ছেলেমেয়েদের ছুটোছুটি শুরু হল। বোর্ডিং শুরু হবে বুঝতে পেরে আমি তাড়াতাড়ি ল্যাপটপ ব্যাগে পুরে নিলাম। দুটো ব্যাকপ্যাক দুজনের কাঁধে উঠে গেল, দু-কাঁধে দুটো হ্যান্ডব্যাগ।

-সব নিয়েছ?

-হ্যাঁ রে বাবা। চল শিগগিরি।

প্লেনে উঠে সিটবেল্ট বেঁধে সুইচ অফ করার জন্য ব্যাগ থেকে ফোন বার করতে গিয়ে চক্ষুস্থির। বিদ্যুৎচমকের মতো মনে পড়ে গেল, সেই যে ফোন নামিয়ে ল্যাপটপ বার করলাম, তারপর তো আর ফোনটাকে দেখিনি। হাতে করে ব্যাগেও পুরিনি। সিট থেকে লাফ মেরে বেরিয়ে আইলে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজনের পা পাড়িয়ে আমি দরজার দিকে দৌড়লাম।

-ম্যাডাম, আমার ফোন ফেলে এসেছি লাউঞ্জে। দয়া করে কাউকে পাঠান, কিংবা আমাকে যেতে দিন। এখনও তো টাইম আছে। প্লিজ...

ম্যাডামের মুখের একটি পেশিও এদিকওদিক হল না, হয় ট্রেনিং, নয় অতিরিক্ত মেক-আপে মুখ জমে গেছে। আমাকে এক সেকেন্ড অপেক্ষা করতে বলে তিনি ফোন তুলে ফিসফিসিয়ে কাকে কীসব বললেন। তারপর আমার দিকে ফিরে আবার সেই ভাবলেশহীন মুখে বলে গেলেন, ওঁদের কিনা টাইমিং-এর জন্য অ্যাওয়ার্ড পাওয়া এয়ারলাইন্স, তাই ওঁরা টাইম থাকলেও লেট হয়ে যাওয়ার রিস্ক নিতে পারেন না। কাজেই আমি যেন মেলা ঝামেলা না করে মানে মানে সিটে গিয়ে বসে যাই।

চোপসানো বেলুনের মতো সিটে ফিরে এসে জানালার দিকে তাকিয়ে বসে রইলাম। একটু আগের ফুর্তিটা এক্কেবারে উবে গিয়েছিল। নিজের নির্বুদ্ধিতা নিজেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। অর্চিষ্মান সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছিল। বলছিল যে আহা ফোনই তো হারিয়েছে, প্রাণ তো নয়। দিল্লি গিয়ে আরেকটা নম্বর নিয়ে নেবে’খন। তোমার সেই পুরোনো সেটটা আছে না?

ঠিক তক্ষুনি অর্চিষ্মানের ফোন বেজে উঠল। মা। এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি থেকে ফোন খুঁজে পেয়ে, রিসেন্টলি কল্‌ড্‌ লিস্টে ‘মা’, ‘বাবা’ এইসব দেখে বুদ্ধি করে ওঁদের ফোন করেছে। ওঁরা গাড়ি ঘুরিয়ে আবার এয়ারপোর্টে আসছেন।

আমি লাফিয়ে পড়ে ফোন ছিনিয়ে নিলাম।

-ফোন পেয়েছে!

-হ্যাঁ, আমরা আনতে যাচ্ছি।

ওদিক থেকে বাবার গজগজানি শুনতে পাচ্ছিলাম। এত চঞ্চল, এত অমনোযোগী। ফোনের জায়গায় পাসপোর্টও তো হতে পারত, তখন?

-আমি সরি মা, তোমাদের এখন না জানি কত ঝামেলা করতে হবে। সত্যি সরি মা। এত টেনশনের মধ্যে ফেললাম।

-তুমি আরেকটু শান্ত হও সোনা। আরেকটু ধীরস্থির হও। যা হওয়ার তো হয়েই গেছে। বাকি রাস্তাটা সাবধানে যেয়ো। আর আমাদের টেনশনের কথা ভেব না। ছেলেমেয়ের জন্য মাবাবা টেনশন করবে না তো কে করবে, পাড়ার লোক?

টেনশনের চূড়ান্তই করতে হল ওঁদের। সিকিউরিটি থেকে একবার বলল দেবে না...একবার বলল দেবে...একবার বলল অথরাইজেশন লেটার আনতে হবে...আইডেনটিটি প্রুফ...তারপর নতুন অফিসার এলেন...তাঁর আমার বাবামাকে দেখে দয়া হল...

আমরা যখন দিল্লি নেমে নিজেদের বাড়িতে ঢুকে হাতপা ধুয়ে জামাকাপড় ছেড়ে খাবার অর্ডার দিয়ে ফেলেছি, তখন আমার বাবামা ফোন নিয়ে বাড়ি ফিরছেন।

আমার সত্যি লজ্জা হয়েছিল সেদিন। এই আমিই আবার বুক ফুলিয়ে মা’কে আমার জন্য টেনশন করতে বারণ করি? ছি ছি।

নতুন নম্বরটা নেব নেব করে আর নেওয়া হল না। বাড়ি বদলের ঝামেলা ছিল, তাছাড়া অর্চিষ্মানের ফোনটাও ছিল, কাজেই বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগের তেমন অসুবিধে হচ্ছিল না। সকালবিকেলের কেমন আছ, ভালো আছি---নির্বিঘ্নে ঘটছিল। বিপদ হল এই শনিবার যখন অর্চিষ্মান ফোন পকেটে পুরে, চললাম আমি অফিসের কাজে দিল্লির বাইরে, বলে টা টা করে নাচতে নাচতে চলে গেল।

খুব ভয় পেয়েছিলাম প্রথমটা জানেন। কেন কুঁড়েমো করে দিল্লি ফিরেই একটা ফোন নিয়ে নিলাম না।  খাবারওয়ালা, জলওয়ালা সবার সঙ্গে কন্ট্যাক্ট করার একটামাত্র উপায় ওই ফোন। তাছাড়া অর্চিষ্মানও বাইরে। কী করে খবরাখবর আদানপ্রদান হবে, কী করে কী হবে ভেবে আমার হাত পা পেটের মধ্যে সেঁধিয়ে যাচ্ছিল।

সেদিন বিকেলেই বেরোলাম নতুন নম্বর নেব বলে। এয়ারটেলের চেনা দোকান বাজারে, সেদিকে হাঁটছি। হাঁটতেহাঁটতে হঠাৎ রাস্তার পাশের একটা ষ্টেশনারি দোকানের ব্যানারের দিকে চোখ পড়ল। সেই পুরোনো চেনা কয়েকটা অক্ষর ওপর নিচ লম্বালম্বি লেখা।

STD, ISD, LOCAL CALLS.

কী মনে করে আমি দোকানটায় ঢুকলাম। মা’কে ফোন করলাম।

-কেমন আছ মা? বাড়ির সবাই কেমন আছে? বাবা? ঠাকুমা?

-আমরা খুব ভালো আছি সোনা, এখানে কী বৃষ্টি হচ্ছে, বাব্বাঃ। তুমি কেমন আছ?

-আমি ভালো আছি। আচ্ছা রাখি, হ্যাঁ? বিল উঠছে।

ফোন কেটে আরেকটা নম্বর টিপলাম।

-কেমন চলছে? সব আন্ডার কন্ট্রোল?

-ফাস্‌ক্লাস্‌। তোমার কী চলছে? বাড়িওয়ালা ঝামেলা করেনি তো? আমাকে ফেলে কোর্মাপোলাও খাচ্ছ নাকি?

খাচ্ছি না এই আশ্বাস দিয়ে ফোন নামিয়ে রাখলাম। সবাই ভালো আছে। আমিও ভালো আছি। সবকিছু যেমন চলার ঠিক চলছে। আমি শুধু মিনিটে মিনিটে চাইলেই সেই খবরগুলো পাচ্ছি না। বা নিজের খবরটা মিনিটে মিনিটে লোকজনকে জানাতে পারছি না। তাতে কত ক্ষতি হওয়া সম্ভব?

এয়ারটেলের দোকান অবধি আর গেলাম না। রাস্তার ধার থেকে নুনমাখানো সেঁকা ভুট্টা কিনে খেতেখেতে বাড়ি ফেরৎ এলাম।    

আমার নিশিদিন আপাতত ফোনহীন। বুধবার মা আমার কাছে আসছেন বেড়াতে, তিনি ফোন সঙ্গে করে নিয়ে আসবেন। এখন রোজ অফিস আসার আগে বুথে ঢুকে বাড়িতে একটা আর অর্চিষ্মানকে একটা ফোন করি। আবার বাড়ি ফেরার সময় করি। বুথ থেকে কথা বলতে দারুণ মজা লাগছে, কবেকার অভ্যেস। মনেই ছিল না। বেশি লোকের নম্বর মুখস্থ নেই, না হলে আমি তাদেরও ফোন করতাম।

হয়তো সাময়িক বলেই ব্যাপারটা ভালো লাগছে। আর দু’দিন পরেই মোবাইলের মালিক হব, আবার সব যেমনকার তেমন হবে, হয়তো এই আশ্বাসটা মনের কোণে আছে বলেই ভয় লাগছে না। অবভিয়াস অসুবিধেগুলোকে উপেক্ষা করতে পারছি। কিন্তু ভালো যে লাগছে, সেটাও সত্যি। লোডশেডিং হলে যেমন চারপাশটা হঠাৎ নিঃশব্দ হয়ে যায়---হয়তো আগেও চেঁচামেচি হচ্ছিল না, কিন্তু যেই আলো নিভল, মাথার ওপর ফ্যানটার ঘোরা থামল, ফ্রিজের অশ্রুত কিন্তু অবিরাম ঘরঘরানিটা বন্ধ হল, মনে হল কীসের একটা কোলাহল থেমে গেল---আমারও ঠিক তেমনি মনে হচ্ছে। কথা বলি না বলি, ব্যবহার করি না করি, মোবাইলটা থাকা মানেই টোয়েন্টিফোর সেভেন কথার সম্ভাবনা থেকে যাওয়া। দরকারি কথা, তার থেকে কোটিগুণ বেশি অদরকারি কথার।

ফাঁকতালে সেই সব কথার হাত থেকে মুক্তি পেয়ে, সত্যি বলছি মন্দ লাগছে না।


Comments

  1. Lekhata ekta telefilm er script er moto hoyeche..besh alada,bhalo laglo pore..

    ReplyDelete
    Replies
    1. এই রে, সেটা বোধহয় একগাদা ডায়লগ আছে বলে। বেশি ডায়লগ ভালো না খারাপ কে জানে। তবে আপনার ভালো লেগেছে যখন আমিও খুশি সৌমেশ।

      Delete
  2. একটা কথা ঠিক মাথায় এল না... হতে পারে বাবা মাও ইমিডিয়েটলি ভেবে উঠতে পারেননি। সিকিউরিটির লোকদের বললে হত না, যে আমার মেয়ে অমুক ফ্লাইটে দিল্লি যাচ্ছে, ফ্লাইট না ছেড়ে থাকলে তাকেই ফোনটা দিয়ে দিন? তাহলেই তো এই ঝক্কিটা পোয়াতে হত না। অবিশ্যি তাহলে আমরা এত ভালো লেখাটাও পেতাম না। ইশ্বর যা করেন মঙ্গলের জন্য।

    ReplyDelete
    Replies
    1. মা যতক্ষণে এয়ারপোর্টে পৌঁছেছেন, ততক্ষণে তো আমরা আকাশে দেবাশিস। প্লেন যখন রানওয়েতে রেডি তখন আমার মা সিকিউরিটির ফোনটা পেয়েছেন। তাঁরা তো ততক্ষণে বেশ খানিকটা চলেও গিয়েছিলেন। আবার এয়ারপোর্ট অবধি ফিরতেও তো খানিকটা সময় লাগল।

      লেখাটা ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। থ্যাংক ইউ।

      Delete
  3. Ahare, meyetar kagoj Nei, phone Nei, bor-o baire!! Arthat haate anek somoi. Abantor er Notun lekhar katha bhebe sotti anondo hochhe!

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা, ওই যে দেবাশিস ওপরের কমেন্টেই বলেছেন, ভগবান যা করেন ভালোর জন্য।

      Delete
  4. আরে ফোন হারানোর (আবার প্রায় ফিরে পাওয়া) এত বড় গল্পটা এতদিন চেপে ছিলে? তা বুথের লোকজন আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছে না, এই মোবাইলের দুনিয়ায় রোজ তোমায় বুথে আস্তে দেখে? তোমার এই পোস্টটা দেখে ভাবতে বসলাম ফোন হারালে কাকে ফোন করতে পারি বুথ থেকে। অনেক ভেবে দেখলাম বাড়ির নম্বর ছাড়া আর কিছুই মনে নেই। এমনকি আমার রুমমেটদের নম্বরও না। কি চাপ!

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে গল্প বলতে শুরু করলে আর থামবে আবির? লক্ষ লক্ষ গল্প, কোনটা ফেলে কোনটা লিখি। বুথের লোকজন আশ্চর্য হচ্ছে কি না জানি না, তবে জামাইআদর করছে। আমি বোধহয় গত পাঁচ বছরে ওদের বিগেস্ট কাস্টমারে পরিণত হয়েছি। গেলেই, আসুন ম্যাডাম, বসুন ম্যাডাম, এই কে আছিস ফ্যানটা চালিয়ে দে এইসব করছে।

      রুমমেটদের নম্বর দুলে দুলে মুখস্থ করে ফেলো শিগগিরি। যদি কোনওদিন লক্‌ড্‌ আউট-মাউট হয়ে যাও, কী হবে?

      Delete
  5. শেষের ওই লোডশেডিংয়ের কথাটা, যাকে বলে একঘর।

    ReplyDelete
    Replies
    1. সত্যি ওই রকম হয় না? পর্যবেক্ষণ মিলেছে দেখে হাই ফাইভ।

      Delete
  6. sotti ! koto ph er no mone thakto mobile asar age,akhon akti duti chara kichui mone thake na,ami dekhechi amar sudhu barir landline no ta mone ache,ar amar ak universityr bandhobir mob no advutbhabe mone ache,ori pratham mobile hoyechilo bandhu mahale,...baki sab bhon bhan...

    ReplyDelete
    Replies
    1. সত্যি। তোর নম্বরটা কেন মুখস্থ করে রাখিনি ভেবে আফসোস হচ্ছিল। এবার ফোনটা হাতে পেলেই করে রাখব।

      Delete
  7. bypok..ami bhebe dekhlam amar 4-5 ta mobile number mukhosto ache.kintu sob theke somossya nijer number mone rakhte parina..eto bodol hoy amar no..keu jeggesh korle hoy oporpokher no cheye missed call kori ba mobile Jodi nite bhule jai ekta chirkut ber kore lok jonke boli.

    ReplyDelete
    Replies
    1. এইটা একটা রিয়েল সমস্যা সুমনা। আসলে নিজেকে নিজে কোনওদিন ফোন করা হয় না বলেই হয়তো।

      Delete
  8. কদিন আগেই এক বন্ধুকে বলছিলাম যে ইনভার্টার এসে গিয়ে ছোটবেলার সেই লোডশেডিং হলেই হ্যারিকেন আর মাদুর নিয়ে হইহই করে ছাদে পাড়ি জমানোর মজাটা উধাও হয়ে গেছে। আমার এক-এক সময় মনে হয় ফোন আর ল্যাপটপে আগুন লাগিয়ে এক বস্তা গল্পের বই নিয়ে পাহাড় বা জঙ্গলে চলে যাই।

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমারও তো এটাই মনে হয় পিয়াস। হাই ফাইভ।

      Delete
  9. বুথ থেকে কথা বলতে দারুণ মজা লাগছে, কবেকার অভ্যেস। :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. অনির্বাণ, আমি বুথ থেকে ফোন করে গোটা গোটা প্রেম মেন্টেন করেছি পর্যন্ত। স্রেফ চিঠি আর এস টি ডি সম্বল করে। দিব্যি চলছিল। যেই মোবাইল নিলাম, প্রেম কেটে গেল। এ আফসোস আমার জীবনে যাবে না।

      Delete
  10. Phone booth bolleyi amar keno janina kishor boyosher bari theke lukiye premer kotha mone pore jay. amader parar ekdidike dekhtam lukiye lukiye saradin pray phone korto morer mathar phone booth theke. amar jokhn eishob lukiye prothom prem tem korar boyosh moto holo..totodiney mobile biplob ghotey geche..tachara baritey keu na thakley landline to chiloyi :) kintu phone booth er kotahta shuneyi amar aj prothom oi didita, tar ekta premik je abar pujor somoy amade rarateo eshechilo...eder kotah mone pore gelo...porer bochor oboshyo tar sathe cut off hoye gechilo sunechilam!

    ReplyDelete
    Replies
    1. বুথ থেকে প্রেম, সে এক সাংঘাতিক শিহরণতোলা ব্যাপার বুঝলে পৌষালী। তোমরা যে কী মিস্‌ করেছ, জান না।

      Delete
  11. Tomar bhagyo sottii bhalo, ami hole oi phoneta hajar kichhuteo pherot petamna. Amar mobile phone er bhagyo ta bhari bhalo. Jara jai tara ekebare jai. Tobe tomar lekhata pore mone hochhe mobile hin jibonta sottii boro bhalo chhilo.

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহাহা, মোবাইল টেঁকে না আপনার ইচ্ছাডানা। আমার রুমাল এরকম, কিছুতেই পোষ মানে না।

      Delete

Post a Comment