লাঞ্চটাইম স্টোরি
গত ক’দিন ধরে অফিসে একটু বিপদের মধ্যে আছি। নিতান্ত দরকার না পড়লে খুব একটা
নিজের ঘর থেকে বেরোই না। বেরোলেও মাথা নিচু করে কাজ সেরে আবার চট করে ঘরে ঢুকে
দরজা দিয়ে দিই। ভয়ে ভয়ে থাকি এই বুঝি কেউ কিছু বলে বসল। বস্ ডেকে পাঠালে তো কথাই
নেই, বুকের ভেতর ঢেঁকির পাড় পড়তে থাকে।
কেন, সেটা বলতে গেলে একটু গোড়া থেকে বলতে হবে। সেই যে লাঞ্চ ব্রেক নিয়ে কথা
হয়েছিল মনে আছে? চারদিকে কত দোকান, কত ঠ্যালাগাড়ি, ঠ্যালাগাড়ি জুড়ে কত আলু-পুরি,
সে সব কল্পনা হয়েই থেকে গেছে। মানে খেলে খাওয়াই যায়, কিন্তু সমস্যা আছে।
ঠ্যালাগাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে টিফিন করতে গেলে আমাকে একজন কি দুজন সঙ্গী জোগাড় করতে
হবে, না হলে ব্যাপারটা একটু দৃশ্যে পরিণত হওয়ার চান্স আছে। আর যে কোনও রকম দৃশ্যে
আমার ঘোর অনীহা। আর তার থেকেও বেশি অনীহা লাঞ্চ ব্রেকের ওই মুক্তির সময়টুকু
মনুষ্যসঙ্গে জর্জরিত করায়। কাজেই, ঠ্যালাগাড়ি বাদ।
আমি ঘাবড়াইনি। এত সহজে ঘাবড়ালে আর করে খেতে হচ্ছে না। অফিসপাড়াটা একটু সার্ভে
করে দেখলাম আরও বিভিন্ন বিকল্প আছে, যেগুলো পুরি-সবজির মতোই ফার্স্টক্লাস। প্রথম
দিন নিরামিষ প্যাটিস আর টমেটো সুপ খেলাম, দ্বিতীয় দিন কুড়কুড়ে মসালা মাঞ্চ-এর
সুপার সেভার প্যাক আর ব্রিটানিয়া ফিফটি-ফিফটি। প্যাটিসটা রহস্যজনক ছিল অর্থাৎ কিনা
ভেতরে পুরটা কীসের সেটা শিবের বাবারও বোঝার সাধ্য ছিল না; টমেটো সুপটা খেয়ে জিভ,
গলা, পাকস্থলী-টলি সব পুড়ে ঝাঁ ঝাঁ হয়ে গেল; আর কুড়কুড়ে খেয়ে সেই যে বুকজ্বালা আর
চোঁয়া ঢেঁকুর শুরু হল মাঝরাত পর্যন্ত আর থামল না।
বুঝলাম, যৌবনের সূর্য অস্ত গেছে। লোহা তো দূর অস্ত, কুড়কুড়ে হজম করার মতো
মেটাবলিজমও আর নেই। খুব দুঃখ হয়েছিল, জানেন। কিন্তু মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় রইল না।
অগত্যা একটু গোয়েন্দাগিরিতে নামতে হল। অফিসের বাকিরা কী খায়? আমাদের অফিসে এক
দঙ্গল গোলগাল মহিলা কর্মীদল আছেন, হাঁসফাঁস করতে করতে আসেন, হাঁসফাঁস করতে করতে
যান। দেখেই মায়ের কথা মনে পড়ে যায়। বুঝি, সকালে স্বামী-পুত্র-কন্যাকে নাইয়ে খাইয়ে
চুল বেঁধে স্কুল কলেজ অফিসে পাঠিয়ে তবে নিজে কাজে এসেছেন, বাজি রেখে বলা যায় নিজের
জন্য টিফিন আনেননি।
লজ্জার মাথা খেয়ে শশী ম্যাডামকে জিজ্ঞাসা করেই ফেললাম।
“আরে, ম্যাড্রাস হোটেল সে অর্ডার কর লিজিয়ে, ইডলি দোসা চাউমিন সব মিলতা হ্যায়,
হামলোগ তো সব ওহিসে খানা লাতে হ্যায়।”
বলেই মোবাইল টিপে ম্যাড্রাস হোটেলের নম্বর ফস্ করে বার করে দিয়ে দিলেন, তারপর
হাঁকডাক করে ওনার টেবিলে যে এক্সট্রা একটা মেনু পড়ে ছিল সেটার ফোটোকপি করিয়ে আমার
টেবিলে পাঠিয়েও দিলেন। আমি একেবারে নুয়ে পড়ে থ্যাংক ইউ বলায় হাত নেড়ে উড়িয়ে দিয়ে
আবার কাজে বসে পড়লেন।
মেনু দেখে খুশি হয়ে আমি নম্বর ডায়াল করলাম। একবার রিং হতেই ওপার থেকে একটা অসম্ভব
ব্যক্তিত্বপূর্ণ গলা ভেসে এল,
-হ্যালো, ম্যাড্রাস হোটেল।
-হ্যালো, ম্যায় ____ সে বোল রহি হু। মুঝে লাঞ্চ অর্ডার করনা হ্যায়।
-বতাইয়ে।
-এক প্লেট উপ্মা ভেজ দিজিয়েগা প্লিজ।
-নাম বতাইয়ে।
-কুন্তলা।
-কেয়া? সকুন্তলা?
-নেহি নেহি, কুন্তলা। শকুন্তলাকা শ ছোড়কে সির্ফ কুন্তলা।
আমি যথাসম্ভব প্রাঞ্জল করে বোঝানোর চেষ্টা করলাম। ওপারের ভদ্রলোক এক
সেকেন্ড চুপ করে থাকলেন, বোধহয় খামোকা শকুন্তলার মুণ্ডু কেটে নেওয়াটায় খুশি হলেন
না। “ওক্কে ম্যাডাম, পহোছ যায়েগা, টাইম লাগেগা” বলে খটাস করে ফোন কেটে দিলেন।
আমি খুব খুশি হয়ে অপেক্ষা করতে থাকলাম। লাঞ্চ ব্যাপারটা কী রকম অনায়াসে
ম্যানেজ করে ফেললাম ভেবে চেয়ারে দু’বার দোল খেলাম। মা’কে ফোন করে বললে কেমন হয়,
এইসব ভাবলাম। ভাবতে ভাবতে আধঘণ্টা গেল, পঁয়তাল্লিশ মিনিট গেল, এক ঘণ্টা গেল...ক্রমশ
আমার পেটে একটুআধটু চোঁ চাঁ শব্দ হতে শুরু করল। টাইম লাগেগা মানে কতক্ষণ সে নিয়ে
সত্যি সত্যি দুশ্চিন্তা হতে থাকল।
খিদে ভুলতে কাজ থামিয়ে সলিটেয়ার খুললাম। খেলি আর হারি। খিদে আর হারের সঙ্গে
পাল্লা দিয়ে রাগ বাড়তে থাকল। এদিকে দরজার বাইরে কী যেন একটা গোল বেধেছে। সবাই
হাঁইমাই করে কী সব বলছে, আর সবার গলা ছাপিয়ে চিকুর চিৎকার শোনা যাচ্ছে। মরুকগে।
হঠাৎ ধড়াম্ করে আমার ঘরের দরজাটা খুলে গেল। আমি কোনওমতে সলিটেয়ার মিনিমাইজ
করে তাকাতেই দেখি দরজার সামনে চিকু ভয়ানক উত্তেজিত মুখ করে দাঁড়িয়ে রয়েছে, হাতে
একটা পলিথিনের প্যাকেট উঁচু করে ধরা, যেন মাকালীর হাতে কাটা মুণ্ডু। পেছন থেকে
কিছু লোক উঁকিঝুকি মারছে।
-ম্যাডাম, ইয়োর উপ্মা?
আমি হতভম্বের মতো দুবার মাথা ওপর নিচে ঝাঁকিয়ে সম্মতি জানাতেই চিকু ঝাঁপিয়ে
পড়ল।
-আপনে হোটেলওয়ালাকো আপনা নাম সকুন্তলা কিউ বতায়া?
কী বলব বলুন দেখি? শুনি ‘শকুন্তলা’ নাম লেখা খাবার এসেছে পনেরো মিনিট আগে,
খাবারওয়ালা দাবি করছে যে এ অফিস থেকেই অর্ডার করা হয়েছে, এদিকে অফিসে শকুন্তলা বলে
কেউ নেই, গত পনেরো বছরে ছিল না। চিকু শেষে সবার টেবিলে টেবিলে গিয়ে উপ্মার
প্যাকেট দেখিয়েছে, তখনও কেউ মালিকানা স্বীকার করতে চায়নি, শেষে শশী ম্যাডামের
টেবিলে পৌঁছতে উনি অনেক মাথাটাথা খাটিয়ে বলেছেন যে এটা কুন্তলার হলেও হতে পারে।
আমি তাড়াতাড়ি চিকুর হাত থেকে উপ্মার প্যাকেট কেড়ে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলাম।
ছি ছি, কী কাণ্ড। অফিসসুদ্ধু লোক জানল যে আমি এখন বসে বসে উপ্মা খাচ্ছি। জঘন্য।
ম্যাড্রাস হোটেলের লোকটার কান কষে মুলে দিতে ইচ্ছে করে আমার। আর যদি আমি ওর খাবার
অর্ডার করেছি তো আমার নাম নেই। এর থেকে কুড়কুড়ে ঢের ভালো।
কিন্তু পরদিন লাঞ্চের সময় হতে হতে আমার রাগ চলে গিয়ে তার জায়গায় কুড়কুড়ে আর
তার পরবর্তী আটঘণ্টাব্যাপী চোঁয়াঢেঁকুরের কথা মনে পড়ে গেল। আমি তাড়াতাড়ি ফোনের
দিকে হাত বাড়ালাম।
-হ্যালো, ম্যাড্রাস হোটেল।
-হ্যালো, ম্যায় ____ সে বোল রহি হু। মুঝে লাঞ্চ অর্ডার করনা হ্যায়।
-বতাইয়ে।
-এক প্লেট উপ্মা ভেজ দিজিয়েগা প্লিজ।
-নাম বতাইয়ে।
আজ আমি সতর্ক। সম্ভাব্য সমস্ত খানাখন্দ বাদ দিয়ে আমি নিজের নামটা বললাম।
-কে ব্যানার্জি।
-বনার্জি?
-ইয়েস সার।
-ওক্কে ম্যাডাম, পহোছ যায়েগা, টাইম লাগেগা।
খটাস্। বাঁচা গেছে। আমার সত্যি সত্যি নিজের পিঠ চাপড়াতে ইচ্ছে করে। কী রকম
বুদ্ধি খাটিয়েছি ভাবতেই উত্তেজনা হয়।
আপনারা বোধহয় আন্দাজ করতে পেরেছেন কী হতে চলেছে? আবার আধঘণ্টা, পঁয়তাল্লিশ
মিনিট, একঘণ্টা...আবার সলিটেয়ারে হারের পর হার...আবার দরজার বাইরে কলকাকলি। আবার
একটু পরে দরজা প্রায় ভেঙে ফেলে উপ্মার প্যাকেট হাতে চিকুর প্রবেশ।
-হু ইজ বনার্জি?
রাগে আমার মাথার শিরা দপদপ করতে থাকে। চোয়াল শক্ত করে বলি,
-কিউ, ম্যায়?
-আপ বনার্জি হো? ম্যায়নে তো সোচা আপ কুছ উপাধ্যায় টাইপস...
অত্যন্ত শান্ত গলায় আমি চিকুকে ভারতবর্ষের ইতিহাস সম্পর্কে জ্ঞান দিতে শুরু
করলাম। মোগল সাম্রাজ্যের পতন, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ছুঁচ হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে
নির্গমন, সাহেবদের জিভের অনমনীয়তা এবং তার ফলশ্রুতি হিসেবে বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে
ব্যানার্জি, মুখোপাধ্যায় থেকে মুখার্জি, বর্ধমান থেকে বার্ডওয়ান, চুঁচুড়া থেকে
চিনসুরা ইত্যাদি অপভ্রংশের আবির্ভাব---সব খোলসা করে বলে তবে দম নিলাম।
চিকু খানিকক্ষণ চোখ গোল গোল করে আমার দিকে তাকিয়ে থেকে আস্তে করে ঘাড় নেড়ে
বেরিয়ে গেল। শুনতে পেলাম বাইরে গিয়ে দারোয়ানকে নিচু গলায় কী সব বলছে। নির্ঘাত বলছে
উপ্মা দেরিতে পাওয়ায় খিদেতে ম্যাডামের দিমাগ খারাব হয়ে গেছে। যাক্ গে, যা খুশি
বলুক, আই ডোন্ট কেয়ার।
কিন্তু সমস্যাটা শুধু চিকু নয়। আজকাল আমাকে দেখলেই শশী ম্যাডাম আর তাঁর
বান্ধবীরা হেসে জিজ্ঞাসা করছেন, “কেয়া কুন্তলা ম্যাডাম, উপ্মা মিলা?” পুরুষ
সহকর্মীরা অবশ্য সামনে কিছু বলছেন না, তবে দু’একবার মনে হয়েছে যেন আমাকে দেখে হাসি
চেপেছেন। একদিন লিফটে বসের সঙ্গে একা পড়ে গিয়েছিলাম, বস গুড মর্নিং, হাউ আর ইউ
এসবের পালা সাঙ্গ করে জিজ্ঞাসা করলেন, “সো, আই হিয়ার ইউ লাইক উপ্মা ভেরি মাচ?”
আপাতত এই হচ্ছে পরিস্থিতি। অবশ্য লাঞ্চ পেতে আর দেরি হচ্ছে না। ম্যাড্রাস
হোটেলের দূত আসামাত্র উপ্মার প্যাকেট বেছে চিকু একদৌড়ে ঘরে পৌঁছে দিয়ে যাচ্ছে। সব
থেকে বেশি বদলেছে ম্যাড্রাস হোটেলের মালিকের ব্যবহার। আজকাল ফোন তুলে আমার গলা
শুনলেই তিনি খুব খুশি হয়ে বলছেন, “আরে সকুন্তলা বনার্জি ম্যাডাম? নো প্রবলেম, উপ্মা
পহোছ যায়েগা, লেকিন থোড়া টাইম লাগেগা।”
যাক, খিদের সময়ে খাবার পাচ্ছেন সেইটা বড় কথা। আর স্বয়ং শেক্ষপীর বলে গেছেন নামে কিছু যায়ে আসেনা, তখন আমরা বলার কে? উপমা খুব ভালো জিনিস।
ReplyDeleteএ প্রসঙ্গে মনে পড়ল, জগন্ময় মিত্রের একটা সাক্ষাত্কারে শুনেছিলাম, উনি যখন প্রয়াগ সঙ্গীত সমিতির পরীক্ষা দিচ্ছিলেন তখন এগ্জামিনার কিছুতেই বিশ্বাস করেনি ওনার নাম জগন্ময়। "আরে তুমকো পতা নেহি, জগন্ময় কোই নাম হোতা হ্যায় কেয়া? তুমহারা নাম হ্যায় জগমোহন।" সেই থেকে হিন্দি লোকেরা ওনাকে জগমোহন বলেই ডাকত।
হাহা, বেচারা জগন্ময়বাবু।
Delete:)))) darun post...haste haste pete khil dhore gelo..ebar theke toke shakuntala bole dakbo..;)
ReplyDeleteখবরদার না।
Deleteএটা অসাধারণ গল্প। জাস্ট অসাধারণ।
ReplyDeleteধন্যবাদ।
Deleteএগজ্যাক্টলী!! আই ডোন্ট কেয়ার! উপমাকে লিয়ে জান কবুল ...
ReplyDeleteআর ইয়ে, মাদ্রাজী বন্ধু যে হিন্দী বলেছেন এই ঢের। আর ইংরিজিটা তো দক্ষিণ ভারতীয় ইংরিজি। এক দক্ষিন ভারতীয় কেমিস্ট্রি টিচার 'Yellowish base' সম্বন্ধে বেশ কিছু জ্ঞান ঝাড়ার পর যখন কিছুটা বেকুব হয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম, এই ক্ষারটিকে হলদেটে বলার বিশেষ কোনো কারন আছে কিনা, তখন তিনি একটু বিরক্ত হয়েই বোঝান যে উনি হলদেটে বলছেন না, বরং বিজ্ঞানী 'Lewis' এর নামে মালটিকে 'Lewis base' বলতে চেয়েছেন।
সেরেছে।
DeleteLekahta 'Excellent' . :-) hmmm eibare kintu 'Chiku' aro interesting hoe uthechhe.
ReplyDeleteচিকু ভয়ানক ইন্টারেস্টিং এবং পাজির পাঝাড়া।
Deleteore baba.darun enjoy korlam
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ।
Deleteebare ekta KHEROR KHATA publish korlei hoy
ReplyDeleteকী সাঙ্ঘাতিক!
DeleteMUKH THEKE AKTAI AWAJ BEROCHCHE....HEE.....HEE
ReplyDeleteSITE KAPAR AWAJ NOI...HASIR
ReplyDeleteহাহা কুহেলি, বুঝতে পেরেছি...থ্যাংক ইউ।
Deleteha ha ha!!! kintu chowmein option thakte upma keno khacho?
ReplyDeleteআরে পরমা, এরা এক প্লেটে যতখানি চাউমিন দেয়, আমার একার পক্ষে শেষ করা সম্ভব নয়, তাই।
DeleteHa ha...oi je ROFL bole...oi obostha amar. K for Kite, U for Uganda at least korte hoyni protyek bar
ReplyDeleteভাগ্যিস, সে করতে হলে আর পোস্ট লেখার জন্য বেঁচে থাকতাম না।
DeleteHahaha!!! Isshhh ki khorak abastha!!
ReplyDeleteAmi last 3 weeks Kolkatay chilam tai bohudin tomar post porte/comment korte parini. Abar ami back to form :)
Sorry, back "in" form :)
ReplyDeleteবাড়ি কেমন ঘুরলে রিয়া?
DeleteOtyonto bhalo...bari ki ar keu kharap ghore?
Deleteগুড।
Deleteeta daruun likhechho... ofc e boshe eta pore eka ekai hashchhi... ki bibhrat re baba !
ReplyDeletetobe ami kintu chowmein er pokhhei.. s.indian khabar last choice amar.
বিভ্রাট বলে বিভ্রাট সোহিনী?
Deleteওঃ, আমার একটা দারুণ গল্প মনে পড়ল।
ReplyDeleteআমি মাসছয়েক আগে মুম্বইয়ে ছিলাম, গোরেগাঁওয়ে। সেখানে "হ্যাংলা" বলে একটা কলকাতার খাবারের রেস্তরঁ ছিল, হোম ডেলিভারি দিত। তো একদিন আমি বিরিয়ানি আর চাঁপ অর্ডার করলাম।
পনেরো মিনিট। আসে না।
আধঘণ্টা। আসে না।
একঘণ্টা। তখনও আসে না।
অধৈর্য হয়ে ফোন করলাম। বলল - ডেলিভার করে চলে এসেছে। আমি প্রচণ্ড ঘাবড়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম - কাকে? কীসব প্রশ্নটশ্ন করে জানাল - অন্য একটা কার বাড়ি ভুল করে চলে গেছিল, সেখানেই দিয়ে এসেছে, তারাও টাকা দিয়ে আমার জন্য বরাদ্দ বিরিয়ানি আর চাঁপ বেমালুম গাপ করেছে।
ওদের যদি সেই খাবার হজম হয়ে থাকে, আমি নিজের নাম বদলে ফেলব।
হাহাহাহা, বেশ হয়েছে। না গো, ইয়ার্কি করছি, খুবই স্যাড হয়েছে। কিন্তু তুমি অন্য বাড়ির লোকেদের আনন্দটা একবার অনুভব করার চেষ্টা কর, দেখবে নিজের যন্ত্রণা অনেক কমে এসেছে।
DeleteFatafati.......
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ রণিতা।
Deletebhalo post..:)
ReplyDeleteবন্দ্যোপাধ্যায় থেকে ব্যানার্জি- r thela amio ekbar bujechilam..
থ্যাংক ইউ সৌমেশ। ওহ, তাহলে তো আপনি সমব্যাথী।
Delete