মণির ছোটবেলার গল্প


কাল বং মম মর্নিং স্কুলের কথা বললেন আর আমার হুড়মুড়িয়ে একগাদা কথা মনে পড়ে গেল। আর তারপরেই মনে পড়ল, কী আশ্চর্য, আজকেই তো একটা মর্নিং স্কুল ডে! তেইশে জানুয়ারি, পনেরোই আগস্ট, সরস্বতী পুজো আর গরমের ছুটি পড়ার দিন, এই ছিল আমাদের মর্নিং স্কুলের দিন। সকাল সাতটার সময় ইউনিফর্ম পরে, লাল ফিতে বেঁধে, স্কুলে যেতে কী রকম উৎসব উৎসব লাগত। স্কুলে যাচ্ছি মনেই হত না।

মনে পড়া ব্যাপারটা খুব অদ্ভুত। একটা স্মৃতির সঙ্গে যে লতায়পাতায় আরও কত কত স্মৃতি জড়িয়ে থাকে, একটা টানলে মাথার সঙ্গে চোখ নাক ঠোঁট কানের মতো সবাই মিলে একসঙ্গে এসে প্রেজেন্ট প্লিজ দেয়। অনেক সময় তারা প্রজন্মের পাঁচিলটাঁচিলও অনায়াসে টপকে চলে আসে। বিশেষ করে সে স্মৃতি যদি ছোটবেলার হয়। অনেক দেখেশুনে আমি বুঝেছি যে ছোটবেলার কোনও দেশকালসমাজ হয় না। আমার আর আমার ঠাকুমার কৈশোরযৌবনের অভিজ্ঞতার মধ্যে আকাশপাতালের ফারাক থাকতে পারে, কিন্তু শৈশব অবিকল এক। চিলেকোঠার দেওয়ালে নিজের নাম লিখে হাতের লেখা প্র্যাকটিস আর ইটপাটকেল ঘষে রান্নাবাটির মশলা তৈরি। সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মানো শ্বেতাঙ্গ টডলার আর লাজপতনগরের ভিখিরির ছেলের বাকি জীবনটুকু যতই আলাদা হোক না কেন, বৃষ্টির জমা জল দেখলেই লাফ দিয়ে গিয়ে তার মধ্যে গিয়ে ঝাঁপানোর ইচ্ছেটা হুবহু এক।

যাই হোক, এত কথা বলার মুখ্য উদ্দেশ্যটা হল যে আজকে যে গল্পটা আমি বলব সেটা আমার গল্প নয়, আমার মায়ের গল্প। একদিক থেকে দেখতে গেলে আমার মায়ের ছোটবেলাটা আমার ছোটবেলার থেকে অনেক বেশি ইন্টারেস্টিং, তার কারণ, এক, বাড়ির ভেতর টোয়েন্টিফোর সেভেন মজুদ খেলার সঙ্গী আর দুই, দাদুদিদিমার টোয়েন্টিফোর সেভেন খড়গহস্তে পাহারা না দেওয়া। মাইক্রোওয়েভ ছিল না, ওয়াশিং মেশিনও না, কাজেই সারাসকাল রান্না করে উঠে, সারাদুপুর কাপড় কাচতে কাচতেই দিদিমার ফের রান্নাঘরে ঢোকার সময় হয়ে যেত, আট ছেলেমেয়ের পেছনে হেলিকপ্টার পেরেন্টিং-এর বিলাসিতার তাঁর সময় ছিল না। আর তখনকার বাবারা অনেক অন্যরকম ছিলেন, অফিস থেকে ফিরে ছেলেমেয়েদের সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম স্পেন্ড করলে সমাজে তাঁদের ধোপানাপিত বন্ধ হওয়ার উপক্রম হত।

কাজেই মায়েরা দেদার খেলতেন। ঘুম থেকে উঠে খেলা শুরু হত, চলত সেই রাত্তিরবেলা ভাতের থালার সামনে বসে ঘুমে ঢুলে পড়ার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত। মাঝে মাঝে সেজমাসি এসে দুই কানে দুই প্যাঁচ দিলে খেলা থামিয়ে বই খুলে বসতে হত, কিন্তু ওই পর্যন্তই। বই খুলেও খেলার নিত্যনতুন পদ্ধতি বার করা হত। কারও পড়া থামিয়ে বাথরুম যাওয়ার দরকার হলে নানারকম সংকেতের মাধ্যমে সেটা জানাতে হত। ছোটবাথরুম হলে মেঝেতে একবার টোকা, বড়বাথরুম হলে দু’বার। জল খেতে ওঠবার সময় তিনবার টোকা দিতে হত।

আমি এ সব শুনি আর চোখ গোল গোল করে মায়ের দিকে তাকাই।

“আমি এসব করলে তুমি আমাকে কী করতে মা? আস্ত রাখতে?”

মা লজ্জা পেয়ে হাসেন। স্বীকার করেন, ছোটবেলাটা তাঁর আমার থেকে আরামে কেটেছে।

“আর কী কী খেলতে মা তোমরা?”

আমি গালে হাত দিয়ে গুছিয়ে বসি। এই স্বপ্নের মতো ছোটবেলাটা থেকে বেরোতে ইচ্ছে করে না আমার।

“আরও কত খেলা, খেলার কী শেষ আছে? খেলনা যত কম, খেলা তত বেশি। বাড়ির চেয়ার টেবিল, খাট বিছানা, জানালার খড়খড়ি, বারান্দার রেলিং, সবই খেলার জিনিস।”

একটা নাকি গোলটেবিল ছিল মায়েদের কইপুকুরের ভাড়াবাড়িতে। সেটাকে এক পায়ার ওপর কাত করে টেবিলটপটাকে স্টিয়ারিং-এর মতো করে ঘোরানো হত। সঙ্গে মুখে গোঁ গোঁ করে ইঞ্জিনের আওয়াজ। খানিকক্ষণ পরে আরেকজন খেলোয়াড় এসে টেবিলের পায়ার তলায় শুয়ে পড়ে, “বাঁচাও বাঁচাও, আআআআআআ” বলে চিৎকার করত। ব্যস হয়ে গেল বাস অ্যাক্সিডেন্ট। আর হত স্কুল থেকে ফিরে এসে ফুটবল। এগারো জনের টিম বানানোর মতো লোকবল ছিল না সত্যিই, কিন্তু তার থেকে খুব কমও ছিল না। মা আর ছোটমাসিকে দু-দলের গোলকিপার হয়েই তুষ্ট থাকতে হত। সেটাকে আবার কায়দা করে বলা হত “গোলকি”। মা বলেন, ছোড়দা পায়ে বল নিয়ে তীরের মতো ছুটে আসছে আর মেজদা চেঁচিয়ে মা’কে নির্দেশ দিচ্ছে, “মণিইইই, শুইয়া পড়্‌, শুইয়া পড়্‌...” এ স্মৃতি এখনও মায়ের কানে বাজে।

সবই যে সুখস্মৃতি, তা নয় অবশ্য। তৃতীয় বিশ্বের যা চিরকালীন সমস্যা, সীমিত রিসোর্সের সমবন্টন, সে সমস্যা মায়েদের নিয়মিত ভোগাত। বড়রা অবশ্য সেগুলোকে সম্পদ বলে চিনতে পারবে না, কিন্তু জং ধরা পেরেক, আলো ঝলসানো সবুজনীল কাঁচের গুলি, মিষ্টির দোকানে পাওয়া কাঠের চামচ---অমূল্য সব ধনসম্পদ, বাকি লুটেরাদের নজর থেকে বাঁচিয়ে রাখতে হত। বেশিরভাগ সময়েই বাঁচানো যেত না, তখন শুরু হত মরণপণ সংগ্রাম। মাটিতে গড়াগড়ি খেয়ে, চুল টেনে, খামচে, চেঁচিয়ে কেঁদে, সারা পাড়া জানিয়ে যুদ্ধ চলত যতক্ষণ না পড়ার ঘর থেকে সেজমাসি কিংবা রান্নাঘর থেকে দিদিমা ছুটে এসে টেনে আলাদা করছেন। সেজমাসি হলে যুযুধান দু’পক্ষের কপালে দুঃখ ছিল, দিদিমা বকতেন না। আদর করে মাথায় হাত বুলিয়ে বলতেন, “তাই তো কই, প্যাটে কিসু নাই, রাগ তো হইবেই...” বলে রান্নাঘরে নিয়ে গিয়ে চোখের জল মুছিয়ে বাটি করে মুড়ি খেতে দিতেন। চোখের জল আর দুঃখ, দুইই নিমেষে শুকিয়ে যেত।

আরও লক্ষ লক্ষ গল্প আছে মায়েদের ছোটবেলার। কিন্তু আমার আর লেখার সময় নেই। অন্তত আজ নয়। আপনারা যদি শুনতে চান, পরের কোনও পোস্টে আবার লিখবখ’ন।

Comments

  1. Khasha lekha!! r kaj korte ichhe korche na...

    ReplyDelete
    Replies
    1. কাজ করে কেই বা কবে বড়লোক হয়েছে টিনা? যতখানি না করলেই নয় ততখানি করে উঠে পড়। ব্যস।

      Delete
    2. শুনে ভালো লাগল পরমা।

      Delete
  2. darun laglo. amar ma-er o chhotobelar galpo onekkhani eki rakom. ar amar chhotobelao mone korie dile, oi sob special diner laal phite ar shoe bnedhe bhor-e uthe jaoa mone pore galo. desh kal somaj kono bhedabed thakena bodhoi chhotobelar oisob smriti mone korateo. ki sob rod jholmol-e din chhilo. achha tomake amar ekta priyo gan-er link dilam, somoi moton shuno. http://www.youtube.com/watch?v=zqDTZJYf5bM

    ReplyDelete
    Replies
    1. আহা বড় ভালো গান শোনালেন ইচ্ছাডানা। অনেক ধন্যবাদ। লেখাটা আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।

      Delete
  3. বৃদ্ধও এরকম কিছু একটা লিখেছিলেন, নিচে পেস্ট করলাম।


    আহারে আমাদের শৌখিনতার গন্ধও ছিল না। কাপড়চোপড় এতই যৎসামান্য ছিল যে এখনকার ছেলের চক্ষে তাহার তালিকা ধরিলে সম্মানহানির আশঙ্কা আছে। বয়স দশের কোঠা পার হইবার পূর্বে কোনোদিন কোনো কারণেই মোজা পরি নাই। শীতের দিনে একটা সাদা জামার উপরে আর-একটা সাদা জামাই যথেষ্ট ছিল। ইহাতে কোনোদিন অদৃষ্টকে দোষ দিই নাই। কেবল, আমাদের বাড়ির দরজি নেয়ামত খলিফা অবহেলা করিয়া আমাদের জামায় পকেট-যোজনা অনাবশ্যক মনে করিলে দুঃখ বোধ করিতাম— কারণ, এমন বালক কোনো অকিঞ্চনের ঘরেও জন্মগ্রহণ করে নাই, পকেটে রাখিবার মতো স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি যাহার কিছুমাত্র নাই; বিধাতার কৃপায় শিশুর ঐশ্বর্য সম্বন্ধে ধনী ও নির্ধনের ঘরে বেশি কিছু তারতম্য দেখা যায় না। আমাদের চটিজুতা একজোড়া থাকিত, কিন্তু পা দুটা যেখানে থাকিত সেখানে নহে। প্রতি-পদক্ষেপে তাহাদিগকে আগে আগে নিক্ষেপ করিয়া চলিতাম— তাহাতে যাতায়াতের সময় পদচালনা অপেক্ষা জুতাচালনা এত বাহুল্য পরিমাণে হইত যে পাদুকাসৃষ্টির উদ্দেশ্য পদে পদে ব্যর্থ হইয়া যাইত।

    ReplyDelete
    Replies
    1. দেবাশিস, আপনি আমার ফেভারিট লেখকের, ফেভারিট লেখার, অন্যতম একটা ফেভারিট প্যারাগ্রাফ আবার করে পড়ালেন। থ্যাংক ইউ।

      Delete
    2. দাদু! দাদু! থুড়ি, সাধু! সাধু!

      Delete
  4. Thik i bolecho. Chhotora sobai eki rokomer hoy, tai tader modhye bhab hotey ek minute o lagey na, jotoi difference thakuk na keno. Difference ta shuru hoy boro holey pore. In fact language barrier tao chhotoder kache kono problem i noy.
    Amar ekta totally onyo golpo mone pore gelo. Ami tokhon bochhor 6 er. California'y mama'r kache berate eshechilam. Target na kothay ekta garden house dekhe tar modhye dhukechi. Ar ekta Mexican meyeo eshe dhukeche, shey hoyto bochho 8 er. Shey amay bollo - "you buy this house?" Ami bollam - "No, you buy this?" Shey matha nere na bollo. Kintu tarpor amra koto khellam shekhane. Sorbot baniye khelam, thala-bashon dhulam...karur kichui mone holo na. Ekhon amader paray Kedo'r dada der sange pasher barir Korean khudro chhele tar kono bhasha chhara badminton khela dekhle amar oi tai mone hoy :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. সুন্দর অভিজ্ঞতা রিয়া। সত্যি, ছোটদের কাছে কত জিনিস কত সোজা, যেটা আমরা বড়রা কল্পনাই করতে পারি না।

      Delete
  5. Replies
    1. ভালো লাগল? গুড গুড।

      Delete
  6. ..tomaar ei post ta pore mone pore gelo, purono sandesh patrika-te ekjon lekhika-r "prothom shiuli" bole ekta golpo porechilam, lekhika-r naam bhule gechi, tobe onek din aage boimela te onaar onno lekha khunjte gie nirash hoechilam.. kintu shei golpo ta teo erokom mojadaar chotobelaar goppo with ma-thakuma der haate toiri nana rokom mishti r description chilo, shei sondesh issue ta hariye geche aar kothau kono din porte parbo o na hoeto ... atleast tomar post ta roilo phire eshe eshe baar baar poraar jonne :) (things i am loving)

    ReplyDelete
    Replies
    1. এই রকম অজানা লেখকদের একটা দুটো লেখা মন ছুঁয়ে যায় না পরমা? নামধাম কিছুই মনে থাকে না, কিন্তু লেখাটা ভোলা যায় না। ঠিকই বলেছ।

      Delete
  7. ekta kotha mone porlo jano ei chhotoder interaction er bhasha sombondhe.. goto aug mashe amra puri gechhilum.. hiya tokhon serom kotha bolte parto na, oi bhanga bhanga ekta kore word bolto. amra jotokhhon lunch/ dinner kortam dining hall e o chhute berato sara dining hall ar je table e bachha royechhe tader sathe giye socialise korto. eirom korte korte ek rat e duto oriya twin bachha ke o amar kachhe dhore enechhilo "mummum er sathe kotha bolabe" bole. tara bochhor 8-10 er. i wondered hiya giye oder sathe ki bhashay interact korlo ar ki kore bojhalo je tara or hath dhore elo amar songe kotha bolbe bole ! chhotoder ekta "onubhuti-bhasha"ache bodhhoy, jeta amra bujhte pari na...

    ReplyDelete
    Replies
    1. হিয়া তোমার মেয়ের নাম বুঝি সোহিনী? খুব সুন্দর নাম। আমি কল্পনা করতে পারছি ও ছুটে ছুটে গিয়ে সবার সঙ্গে নিজের ভাষায় আলাপ করছে। মিশুকে বলতে হবে কিন্তু, বল?

      Delete
    2. Hiya till date bhishon mishuke. or notun attendant ele bhishon khushi hoy. ager din playschool e giye ferar nam korchhilo na. okahnkar aunty o obak.

      Delete
    3. বাঃ ভালো তো!

      Delete
  8. লেখাটা তো খুব ভাল লেগেইছে, তার ওপর স্পেস নিয়ে একটা মজার ব্যাপার লক্ষ্য করলাম- "দেশকালসমাজ, কৈশোরযৌবনের, আকাশপাতালের, লতায়পাতায়,পাঁচিলটাঁচিলও, ছোটবাথরুম, বড়বাথরুম..." এইসব। অযথা হাইফেন দিয়ে ভারী না করাটা আমার বেশ লেগেছে। এমনকি "চোখ নাক ঠোঁট কানের" মধ্যেও ফাঁক না থাকলে ভালই লাগতো। :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. এই তো, সম্পাদকসুলভ মন্তব্য।

      Delete
  9. আমার বাস-বাস খেলার গল্পটা সবথেকে ভালো লেগেছে। আজকালকার বাচ্চারা অনেকেই এই "খেলনা ছাড়া খেলা" ব্যাপারটা ভাবতেই পারেনা। এ দেশে তো আবার দেখি ব্যাটারি ছাড়া খেলনাও চলেনা। আমাদের ছোটবেলায় আমাদের দালানের একটা জায়গায় একটা বন্ধ জানালার সামনে ভাঙ্গা খাট , মই , আর দুনিয়ার হাবিজাবি জিনিস ছিল, সেইখানে আমরা জাহাজ-জাহাজ খেলতাম। ওই জানালা বা স্তুপাকার আসবাবপত্র থেকে ঝুলে ঝুলে আমরা সমুদ্রের ঝড় সামলাতাম। সেটাই মনে পড়ে গেল আপনার লেখা পড়ে। তবে আজকাল যা ট্রেন্ড দেখছি, ওই বাস অ্যাক্সিডেন্ট-বাস অ্যাক্সিডেন্ট খেলতে দেখলে বড়রা ভাববে হয়ত বাচ্চার পার্সোনালিটি তে গোলমাল আছে, লোকজনের মৃত্যুতে পৈশাচিক উল্লাস পাচ্ছে। খুব খুব ভালো লিখেছেন।

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমারও ওই বাসচাপা খেলাটার গল্পটাই সবথেকে প্রিয়। কতবার যে মাকে দিয়ে বলিয়েছি ইয়ত্তা নেই। আমার মা আবার বেশ অভিনয় করে গল্পটা বলেন। চাপা পড়ার সময়ের "আআআআআআ" আর্তনাদটা করার সময় মায়ের মুখটা যা হয় না, প্রায় সত্যি চাপা পড়ার মতোই।

      নাবিক নাবিক খেলার গল্প শুনে আমারই আপনাদের সঙ্গে খেলতে নেমে পড়তে ইচ্ছে করছে।

      Delete
  10. amra goenda goenda kheltam mone ache,sekhane chadmobesh o neoa hoto oporadhi jate chinte na pare...emni boka boka chadmobesh ..aj mone porle hasi pay....aar ekta khela chilo darkroom..mane ghurghutti ondhkar ghor e lukochuri..je ekbar chor hoto..off..tar kopal kharap...plus chador muri dewa allowed chilo fole chor bechara bhul kortoi..identify korte..ar ekta khela to sobai kheleche..mone korun..bachchader park er slip gulote ekjon upore arek jon er hat dhore bachcanor chesta korche..kintu sesh obdi bachchate pare na..se slip diye goriye pore...off ki acting...

    ReplyDelete
  11. arekta khela mone porlo..seita kheltam amar babar mamabarite giye..unun er koyla gulo..ba gul gulo jolar por sei gulo chai gaday fele deowa hoto khuje khuje sei gulo theke motamuti intact dekhe jogar kora hoto gul gulo...tai diye missile bom..se ek bapar.team hoto proper live counter strike ekebare..sei gul gulo chure chure dhup kore awaj..aar moja hochche gaye marle cholbe na..tahole explosion hobe na je..marte hobe pa er kache..shakto jomite..ba kaner pashe dewal e..

    ReplyDelete

Post a Comment