হ্যাদ্দেহোয়া
বান্টির ইদানিং কিছু ইন্টারন্যাশনাল বন্ধু জুটেছে শুনতে
পাচ্ছি। অনেকদিন ধরেই ওর ইচ্ছে ছিল মনে, কিন্তু হচ্ছিল না। বেহালার লোকেরা,
পৃথিবীর যে প্রান্তেই যাক না কেন, গড়িয়ার লোকেদের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করবে। এ
সত্যিটা নিউটনের তিনটি সূত্রের মতোই অমোঘ। কিন্তু সত্যি অমোঘ হলেই যে লোকে মানবে
এমন তো নয়। কোনও না কোনও কে. সি. পাল থাকবেই যে সারা শহর চুনকাম করে বলবে পৃথিবী
আছে পৃথিবীর জায়গাতেই, সূর্যটাই আসলে তার চারপাশে ছুটে ছুটে মরছে। কেউ না কেউ থাকবেই
যে বুক ঠুকে দাবি করবে বাঙালরা দলে দলে ট্রাঙ্ক হাতে মসিহার মতো শেয়ালদা স্টেশনে
এসে না নামলেও কলকাতা একদিন নাকি ঠিকই সভ্য শহরে পরিণত হত।
হেঃ।
যাই হোক। মোদ্দা কথা হচ্ছে আমাদের বান্টি এই অবিশ্বাসীদের
মধ্যে পড়ে। আমাদের সঙ্গে দিবারাত্র ওঠাবসা নাওয়াখাওয়া করে বটে, কিন্তু মনে মনে
গুমরে মরে যে বাঙালিঘেটো থেকে ওর আর এ জীবনে বেরোনো হল না। কিন্তু সে আফসোস
অ্যাদ্দিনে ঘুচেছে, নাস্তিক বান্টির দিকে ভগবান মুখ তুলে চেয়েছেন, ওর ঝোলায় রংবেরঙের
বন্ধুবান্ধবের আমদানি হয়েছে।
সেদিন চা শিঙাড়া খেতে খেতে তাদের কথাই হচ্ছিল, এমন সময় বান্টি
বলল ওর কোনও একজন ফরাসি বান্ধবী নাকি ওকে একরকম স্বর্গীয় খাবারের কথা বলেছেন। যেটা
না খেলে নাকি বেঁচে থাকা আর কোমাটোজে থাকার মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই।
আমি শিঙাড়ায় সিংহের মতো একটা কামড় বসিয়ে বললাম, “বটে? শুনি
কী খাবার?”
বান্টি মুখটা কাঁচুমাচু করে বলল, “হ্যাদ্দেহোয়া।”
“অ্যাঁ!!” আমার মুখ থেকে একটা আধখানা বাদাম ছিটকে বেরিয়ে
এল। সেটাকে খুঁজেপেতে মেঝে থেকে কুড়িয়ে আবার মুখের ভেতর চালান করে আমি বললাম, “সে
আবার কী রকম খাবার?”
বান্টি বলল, ও-ও নাকি খাবারের নামটা শুনে “অ্যাঁ!” করেছিল,
কিন্তু মেয়েটি বারপাঁচেক নামটা রিপিট করার পরও যখন ব্যাপারটা বান্টির কানে
“হ্যাদ্দেহোয়া”ই থেকে গেল তখন ও ছাড়ান দেওয়াই সাব্যস্ত করল। কে জানে হয়তো মেয়েটা
ভাববে যে বান্টি ওর উচ্চারণ নিয়ে রসিকতা করছে। হয়তো ভাববে বান্টি ইনসেনসিটিভ।
হয়তো ভাববে বান্টি যথেষ্ট প্রোগ্রেসিভ নয়।
কথাটা মাথায় আসতেই আমরা দুজন একসঙ্গে শিউরে উঠলাম। কী
ভয়ানক। আমি বান্টির পিঠে হাত বুলিয়ে বললাম, “ভালোই করেছিস ভাই, বাঙালির নাম
ডোবাসনি।”
বান্টি খুব খুশি হয়ে আমার হাত থেকে শিঙাড়ার বাকিটুকু নিয়ে
নিজের মুখে পুরে বলল, “তবে?
কিন্তু সমস্যাটা থেকেই গেল, খাবারের নামটা জানা গেল না।
অতএব আমরা হ্যাদ্দেহোয়ার রহস্যভেদে নামলাম। বান্টি আমাকে
তাতিয়ে দেওয়ার জন্যই বলল বোধহয়, “কে বলতে পারে কুন্তলাদি, হ্যাদ্দেহোয়ার রহস্যভেদ
করতে গিয়েই হয়ত তোমার মাথায় একটা ঝিংচ্যাক প্লট এসে যাবে, আর সেটাই হবে তোমার
বাংলার আগাথা ক্রিস্টি হওয়ার পথের প্রথম পদক্ষেপ।”
বান্টি যতই বিরক্তিকর হোক না কেন, একটা কথা ওর সম্পর্কে বলতেই
হবে, রক্ত গরম করে দেওয়ায় ওর জুড়ি নেই। আমি ওর সামনে “বাজে না বকে ফোনটা খুঁজে
নিয়ে আয়” বলে হাত নেড়ে দিলাম বটে, কিন্তু মনের ভেতর আশার শিখা দপদপ করে উঠল। বলা
তো যায় না। হতেও তো পারে? পারে না? বলুন?
যে কোনও রহস্যভেদের শুরুতেই চাই একটা প্ল্যান। আর প্ল্যান
করতে গেলে চাই একটা সবুজ ডাইরি আর পেন। সবুজ ডাইরি হাতের কাছে পাওয়া গেল না কাজেই
আমার নীল ডাইরি দিয়েই কাজ চালাতে হল। ডাইরির একটা ফ্রেশ পাতা বার করে তার ওপর সেলো
গ্রিপার বাগিয়ে ধরে আমি বান্টিকে বললাম, “বল দেখি, হ্যাদ্দেহোয়া কেসের
কি-ওয়ার্ডসগুলো কী কী?”
বান্টি হতাশ করল না। টকাটক বলে গেল আর আমিও ফটাফট এক দুই
করে লিখে ফেললাম।
১. ফ্রেঞ্চ
২. ফুড
ফার্স্ট স্টেপ শেষ। এর পরের স্টেপ হচ্ছে একবার চট করে
সিধুজ্যাঠার বাড়িতে ঢুঁ মেরে আসা। আমরাও তাই করলাম। গুগলে ‘ফ্রেঞ্চ ফুড ইন নিউ
দিল্লি’ টাইপ করতেই একঝাঁক নাম বেরিয়ে পড়ল। বেশিরভাগই খাবারের দোকানের নাম---পাঁচতারা
হোটেল, ক্যাফে, বেকারি ইত্যাদি। সেগুলোর মধ্যে থেকে ফোন নম্বরওয়ালা জায়গাগুলোকে
শর্টলিস্ট করা হল। পাঁচতারা হোটেলগুলোকেও বাদ দেওয়া হল। কারণ আমার বা বান্টি
কারোরই পাঁচতারা হোটেলের রিসেপশনিস্টের সঙ্গে কথা বলার সাহস নেই। ফোনের আড়াল থেকেও
না।
বাকি দোকানগুলোতে একে একে ফোন করে খোঁজ নেওয়া শুরু করলাম।
কয়েকটায় বলল “নাম্বার নট ইন ইউজ”, কয়েকটায় নো রিপ্লাই হয়ে গেল, কতগুলো নম্বরে ওদিক
থেকে ফোন তুলে কেউ চুপ করে রইল, আমি এদিক থেকে “হ্যালো হ্যালো” করে গেলাম। কোনও কাজই
হল না, খামোকা আমার উনিশ পয়সা বিল উঠে গেল।
জঘন্য।
অ-অ-ব-ও-ও-শে-এ-এ-ষে-এ একটা দোকানে ফোন তুলে একজন বললেন,
“হ্যালো?”
আমি অত্যন্ত উত্তেজিত হয়ে বললাম, “হাই, আই অ্যাম অমুক কলিং ফ্রম তমুক।” তারপর একটু থেমে বান্টির দিকে তাকিয়ে একবুক দম নিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, “ডু ইউ হ্যাভ হ্যাদ্দেহোয়া?”
কোনও উত্তর নেই। বান্টির চোখের মণি ঠিকরে বেরিয়ে আসছে। আমি
আমার হৃৎপিণ্ডের ধুকপুক শুনতে পাচ্ছি।
“নো, ফিনিশড।”
“ফিনিশড?”
“ইয়েস, ফিনিশড।”
ফোনটা কেটে দিয়ে আমি দুই হাত মাথার ওপর তুলে উল্লাসে চেঁচিয়ে
উঠলাম।
“আছে আছে, হ্যাদ্দেহোয়া আছে!”
বান্টিও হইহই করে লাফিয়ে উঠল। মিনিট দুয়েক পরে উত্তেজনা
একটু কমে এলে আমরা মাথাঠাণ্ডা করে আলোচনায় বসলাম। বান্টি বলল, “ওকে, তাহলে কী
দাঁড়ালো? হ্যাদ্দেহোয়া বলে সত্যিই একরকম ফ্রেঞ্চ খাবার আছে?”
“থাকতেই হবে। না থাকলে সেটা ফিনিশড হবে কী করে?”
“তাও বটে। তাহলে এবার আমাদের কী কর্তব্য?”
কর্তব্য ঝটিতি ঠিক হয়ে গেল। যে দোকানে ফোন করা হয়েছিল,
সেখানে সশরীরে একদিন যাওয়া হবে এবং হ্যাদ্দেহোয়া কিনে আনা হবে। এত কান্ড করতে গিয়ে
আমারও কী রকম হ্যাদ্দেহোয়া খাওয়ার জেদ চেপে গিয়েছিল। দোকানটা আমাদের দুজনের অফিসের
ঠিক মাঝখানে, কাজেই আমরা ঠিক করলাম সোমবার, অর্থাৎ কিনা গতকাল, বিকেলবেলা অফিসফেরত
বান্টি আর আমি দোকানটায় যাব।
যেমন কথা তেমন কাজ। সিধুজ্যাঠার কাছ থেকে ঠিকানাটাও জেনে
নিয়েছিলাম, কাজেই খুঁজে বার করতে অসুবিধে হল না। ছোট্ট দোকান। দামি দামি ফরেনারে
ঠাসা। সাধারণত এসব দোকান দেখলে আমরা রাস্তা বদলাই, কিন্তু কাল “জয় হ্যাদ্দেহোয়া”
বলে ঢুকে পড়লাম।
দোকানের ঝকঝকে শোকেসের ভেতর লোভনীয় দেখতে নানানরকম ফ্রেঞ্চ
পেস্ট্রি, কেক, বিস্কুট সারিসারি রাখা। দেওয়ালের গায়ে পালিশ করা চকচকে কাঠের শেলফে
লম্বা গোল চৌকো পাউরুটি, চকলেটের ফিতে বাঁধা বাক্স, ইমপোর্টেড কফির প্যাকেট।
কাউন্টারের ওপারে পুতুলের মতো দেখতে একটি ঝকঝকে সুন্দরী মেয়ে, ইস্তিরি
করা ইউনিফর্ম পরে মাপা হাসি হেসে খদ্দের সামলাচ্ছে। বাংলা তো ছেড়েই দিলাম, এ সব
দোকানে শেষ কবে
হিন্দিতে কথা বলা হয়েছে কেউ মনে করতে পারবে না। বান্টি নার্ভাস হয়ে হড়বড়িয়ে
মেয়েটাকে “হ্যাদ্দেহোয়া হ্যায়?” জিজ্ঞাসা করতে যাচ্ছিল, আমি ওকে আস্তে করে টিপুনি
দিয়ে থামালাম।
কারণ আমি ততক্ষণে দেখে ফেলেছি কেকপেস্ট্রির গায়ে গায়ে হেলান
দিয়ে শোয়ানো কাগজের গায়ে ক্যালিগ্রাফি করে তাদের নামধাম লেখা রয়েছে। আমার মতলবটা
ছিল, যেন কোনটা কিনব পছন্দ করতে পারছি না এমন ভাব করে সবগুলোর নাম পড়ে পড়ে দেখব,
নির্ঘাত হ্যাদ্দেহোয়া-র আশেপাশে উচ্চারণের কিছু একটা বেরোবে, তখন আমরা ‘সেই
ছোটবেলা থেকেই তো এ জিনিস খেয়ে আসছি’ মুখ করে, স্মার্টলি সেইটা অর্ডার করব।
দ্রুত একের পর এক নাম পড়তে থাকলাম। একে দোকানের কায়দার
মিটমিটে আলো, তার ওপর ক্যালিগ্রাফির প্যাঁচ। একটা নাম পড়তে একঘণ্টা লাগছিল। এদিকে
একে একে বিদেশীরা তাঁদের অর্ডার নিয়ে বেরোতে শুরু করেছেন, দোকান ক্রমশ ফাঁকা হয়ে
আসছে, আর মিনিটখানেকের মধ্যে সুন্দরী মহিলা আমাদের দিকে এগিয়ে এসে, “এক্সকিউজ মি?”
বলে হাসবেন। বান্টি মরিয়া হয়ে আমার পিঠে খোঁচা মারতে শুরু করল।
“কুন্তলাদি, হারি আপ!”
ঠিক তক্ষুনি আমার চোখ পড়ল কেকটার দিকে। বাকি সব কেকপেস্ট্রির
মাথা ছাড়িয়ে বেশ খানিকটা উঁচু হয়ে ওঠা একটা কেকস্ট্যান্ডের ওপর রাখা। রাস্টিক, কিন্তু
গ্র্যান্ড দেখতে। বড় গোল কেকটার চারধার ঘিরে ছোট সাইজের ওই কেকেরই স্যাম্পল গোল
করে সাজানো।
টুং করে একটা শব্দ হল। স্প্রিং লাগানো কাঁচের দরজাটা খুলে
দোকানের শেষ মেমসাহেব বেরিয়ে গেলেন। এখন দোকানে খালি মহিলা, বান্টি আর আমি।
চোখের কোণ দিয়ে দেখতে পাচ্ছি মহিলার ঘাড় ধীরে ধীরে আমার দিকে ঘুরছে। বান্টি ছিটকে
দেওয়ালের অন্যদিকে গিয়ে অ্যাবস্ট্রাক্ট পোস্টার দেখতে লেগেছে।
একটা অদৃশ্য শক্তি যেন আমার ওপর ভর করল। আমি দৃঢ় পদক্ষেপে
রাজার মতো দেখতে কেকটার দিকে এগিয়ে গেলাম। চোখ সরু করে কাত করে রাখা কার্ডের দিকে
তাকালাম।
Galette des rois.
গ্যা...লে...ত্তে দে...স র...ই....স...
গ্যালেত্ দে রোঁয়া!!!
“ইয়েস ম্যাম?”
“ওহ, হাই, ক্যান আই গেট ওয়ান অফ দিজ গ্যালেত্ দে রোঁয়াস
প্লিজ?”
“টেক অ্যাওয়ে ম্যাম?”
“ইয়েস প্লিজ।”
মহিলা গ্লাভস পরা কমলকলির মতো হাত দিয়ে একখানা গ্যালেত্ দে
রোঁয়া প্যাকেটে পুরে ওদিক থেকে আমার দিকে বাড়িয়ে দিলেন, আমি এদিক থেকে আমার কার্ড
বার করে ওনার দিকে বাড়িয়ে দিলাম, দেওয়ানেওয়া শেষ হল, থ্যাংক ইউ ভেরি মাচ-এর পালা
সাঙ্গ হল, আমি আর বান্টি দোকানের বাইরে বেরিয়ে এসে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম।
বাড়ি এসে জানতে পারলাম এ অতি রাজসিক কেক। আর প্যাকেট খুলে
লিফলেট পড়ে দেখলাম, সারা বছরের মধ্যে একমাত্র জানুয়ারি মাসেই এই কেক উক্ত দোকানে
পাওয়া যায়। ভাবুন একবার। আর দুটো দিন বাড়িতে বসে নষ্ট করলেই আমাদের আর এবছরে
হ্যাদ্দেহোয়া খাওয়া হত না। গালে হাত দিয়ে ২০১৪র জন্য বসে থাকতে হত।
এই দেখুন সেই হ্যাদ্দেহোয়ার ছবি। স্বমহিমায় আমার খাটের ওপর
বিরাজমান।
হেঁ হেঁ, আগাথা হয়েই গেছে। বান্টি জটায়ুর স্থানে। অমনিবাসের প্রথম গল্প।
ReplyDeleteএই গপ্পোটা পড়ে আমার ভাইয়ের গোয়েন্দা গল্প লেখা মনে পড়ে গেল। ক্লাস থ্রি তে ও একটা গোয়েন্দা সমগ্র লিখেছিল। সব কটা গল্পই গোটা গোটা হাতের লেখায় ডায়েরীর দেড় থেকে দু'পাতা। সেই অমনিবাসের প্রথম গল্পে - রোমহর্ষক নীল গাড়ি চেজ করে গোয়েন্দা, এক ঝলক দেখা নাম্বার দেখে অপরাধীকে ধরবেন।
ডায়েরী হারিয়ে গেছে, কিন্তু সেই গল্পের প্রথম দুটো লাইন আমার আজীবন মনে থাকবে, গোয়েন্দার স্বকথন - "সে প্রায় দেড়শো বছর আগের কথা। আমার বয়েশ তখন পঁচিশ বছর।"
ইস অনির্বাণ, তোমার কমেন্টের প্রথম লাইনটা পড়ে (সোমনাথের ভাষায়) দিল গার্ডেন গার্ডেন হয়ে গেল।
Deleteতোমার ভাইয়ের তো রীতিমতো প্রতিভা দেখতে পাচ্ছি। ক্লাস থ্রি-তেই ঐতিহাসিক মিস্ট্রি দিয়ে শুরু করা তো বিরাট ব্যাপার!
সেই। ঐতিহাসিক মিস্ট্রি সল্ভ্ড বাই প্রাগৈতিহাসিক গোয়েন্দা।
Deletegolper suruta toh marattok:))
Deleteসিরিয়াসলি।
Deleteএকদম ঠিক কথা- আগাথা হয়েই গেছে। আর সে বিলকুল বাঙালি। :)
Deleteঅভিষেকদার মতো আমিও 'হ্যাদ্দেহোয়া'য় হ্যাং করে গেছি-
হ্যাদ্দেহোয়া!
darun shuru to golpotar!
Deleteerokom post er aagey warning deoa uchit! tomar toh mukh theke badam beriye esechilo, ami shukno pnauruti khachhilam, naam ta porey bishom khelam!
ReplyDeleteআহারে টিনা, জল খাও আর জোরে জোরে মাথায় থাবড়া মারো।
Deletehayy re! ...ato kashto karbar por ei হ্যাদ্দেহোয়ার chehara...e to amader golir rani bakeryteo paoa jay..:((( ..dhik banti ar tar farashi bandhobi......:(
ReplyDeletejai hok bhondar bahadur porchish??darun na?
আই অবজেক্ট। রাণী বেকারির সঙ্গে লা অপেরার তুলনা করা মানে ইলেকট্রিক তারের সঙ্গে তুবড়ির তুলনা করা। ওটা ডালডা দিয়ে বানানো আর এটা ফ্রেঞ্চ বাটার। কাজেই তুলনা চলবে না।
Deleteভোঁদড় বাহাদুর রিভাইস দিচ্ছি। এত ছোটবেলায় পড়েছিলাম যে নতুন করে পড়ছি মনে হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত বেস্ট লেগেছে যেখানে এক দঙ্গল রাজহাঁস গটমট করে যাচ্ছিল, আর বাহাদুরের পল্টন তাদের কাছে এক কাহন সোনা ধার চাইতে গেছে, অমনি হাঁসেরা বলেছে, "এখন আমাদের বিরক্ত কোর না। এখন আমরা পরীক্ষা দিতে যাচ্ছি।"
:))))) tahale bombayte হ্যাদ্দেহোয়ার khonj lagatei hobe bolchish?..janata to uttejito hoye poreche....:)
Deleteoi angshota amar ar amar ma dujoneri bhishon priyo:)
আমি নিশ্চিত যে বিম্ববতী কালই দৌড়ব হ্যাদ্দেহোয়া খেতে (শব্দটা টাইপ করেই শরীরে কীর'ম বল এল একটা)।
ReplyDeleteনাঃ, তিনবার পড়লাম, আর প্রতিবারেই মনে হল প্রথমবার পড়ছি। আমাকে হ্যাদ্দেহোয়া খেতেই হবে। অনেক অনেক হ্যাদ্দেহোয়া। আরও হ্যাদ্দেহোয়া।
ReplyDeleteনা, আমি পাগল হয়ে যাইনি। শব্দটা লিখে একটা অদ্ভুত আত্মবিশ্বাস পাচ্ছি।
আর হ্যাঁ, লেখাটা অদ্ভুত অ্যাডিক্টিভ হয়েছে। আবার পড়তে পারি। এই মুহূর্তে নানারকম লোককে দিয়ে পড়াচ্ছি।
হ্যাদ্দেহোয়া।
হ্যাদ্দেহোয়া।
Deleteপড়েই এই, খেলে কী রকম তাগদ পাবে ভেবে দেখ। আর প্রশংসার জন্য অনেক অনেক থ্যাংক ইউ। ভীষণ খুশি হয়েছি।
ফাটাফাটি লেখা তো! খাবারটা খেতে লোভ হচ্ছে!
ReplyDeleteতবে এটা খুঁজে বের করতে বোধহয় হন্যে হতে হবে না :D! কেকের তলার কাগজটায় দোকানের নাম পষ্ট দেখা যাচ্ছে (আমিও এট্টু আগাথাগিরি করলাম) আর সিধুজ্যাঠা খুলে নামটা টাইপ করলেই দোকানের ঠিকানা-সাকিন সব মিলছে...
অতএব যাঁরা দিল্লিতে আছেন...ট্রাই করে ফেলুন।
রাকা
আরে রাকা, দারুণ আগাথাগিরি করেছ। হ্যাঁ হ্যাঁ দিল্লিতে থাকলে দোকানটা ট্রাই করা উচিত।
Deleteআমার ধারণা এই দোকানটায় আমি এইবার এর দিল্লী সফরে গেছি। এইটা কি খান মার্কেট এ? বি টি ডাব্লু, দারুণ লেখা!
Deleteখান মার্কেটই বটে।
Deleteapnar hobe.. :)darun lekha...
ReplyDeleteachha ta bostutir malik hote koto khoslo?
শ'দুয়েক সৌমেশ।
Deleteরইসি ব্যাপার! হ্যাদ্দেহোয়ার জন্যে হদ্দ হওয়া!
ReplyDelete"ফোনের আড়াল থেকেও না।" =))
অভিষেক দা-র তো মনে হচ্ছে এক শব্দেই সন্মোহনদশালাভ হয়ে গেছে...হেঁইয়ো-র অনেক ওপরের লেভেলে বল পাচ্ছে!
হ্যাদ্দেহোয়া।
Delete:-) :-)
DeleteApnar golpote to dekhchi race 2 er thekeo beshi twist:)
ReplyDeleteDarun hoyeche..sokale esei erokom akta golpo porle saradin bhalo jai.
tai bole bhuleo race 2 dekhte jaaben na...durgotir sima porisima and khetrofol konotai thakbena
থ্যাংক ইউ অ্যানোনিমাস। না না, রেস ১ টিভিতে দেখেই যথেষ্ট শিক্ষা হয়েছে।
Deletedarun lekha, ekhono hese cholechhi. Google khule dekhlam, google er kolyane ja bujhlam tate 'HADDOHOYA!!' ekti rajosik jinish bole mone holo, othocho chhobite ektu jeno chena chena, sotti try korte hochhe. :-) mane haddohoya khetei hobe dekhchhi.
ReplyDeleteহদ্দহওয়া নামটা দারুণ দিয়েছেন তো ইচ্ছাডানা। একেবারে উপযুক্ত।
Deleteha ha, Haddo na hoia upai nai :-D
Deleteডাইরির একটা ফ্রেশ পাতা বার করে তার ওপর সেলো গ্রিপার বাগিয়ে ধরে আমি বান্টিকে বললাম, “বল দেখি, হ্যাদ্দেহোয়া কেসের কি-ওয়ার্ডসগুলো কী কী?”
ReplyDeleteবান্টি হতাশ করল না। টকাটক বলে গেল আর আমিও ফটাফট এক দুই করে লিখে ফেললাম।
১. ফ্রেঞ্চ
২. ফুড
:D :D :D
হ্যাদ্দেহোয়া খেতে হলে বাবাগানুশ মাখিয়ে খাওয়া উচিত। তাহলে একটা জবরদস্ত্ ব্যাপার হয়।
ReplyDeleteবেগুনপোড়া দিয়ে খেলেও হবে।
Deleteএবার তো সিধুজ্যাঠার কাছ থেকে হ্যাদ্দেহয়ার কলকাতার ঠিকানাটা জানতেই হবে দেখছি :)
ReplyDeleteজেনে জানাস।
Deleteআর একটা কথা- উইকির পাতার ছবিটা তো জিভে আরও বেশি জল এনে দিচ্ছে... ওই ফর্মের বস্তুটি লাভ হলে বেজায় ভাল হয়।
সংহিতা, খুঁজে বার করে ফেল, তারপর খেয়ে বোলো কেমন লাগল।
DeleteHahaha!!! Odbhut mojar byapar!!! :D :D
ReplyDeleteহুম রিয়া।
Deletetomra sahebi mishti khachho aar edike amar farashi bandhabi amar dyash theke ana bapi chanachur aar narkel takti kheye "kya baat" korchey. dyash er mishti kaajer jaygay emon hit je nijer janne aar kichu bishesh thaklo na! satyi gurer season e kolkatay jao-ar ekta daroon labh achey.
ReplyDeleteদ্যাশ কেমন ঘুরলে শম্পা?
Deletethik kore hashteo parchhilam na, meye jege jaabey boley. tai bathroom-e giye heshe elam. uff! just jaataa!
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ সোমনাথ।
Deleteনা মশাই এটাকে দেখে আমাদের হুগলির পাড়ার বেকারীর প্যাটিস বিস্কুটের মতন লাগছে, সে আপনি হ্যাদ্দেহোয়াই বলুন, আর হুক্কাহুয়াই বলুন। তবে গল্পটা অসাধারণ হয়েছে তাতে সন্দেহ নেই।
ReplyDeleteধুর আপনারা সবাই মিলে পাড়ার দোকান পাড়ার দোকান বলে আমার ফরাসি কেকের মাহাত্ম্য নষ্ট করে দিচ্ছেন।
Deleteকি উৎকট প্যাটিস প্যাটিস দেখতে! অনেকটা ওই খোওয়াসঁঅ-র মত (croissant, যাকে অজ্ঞানের অন্ধকারে ডুবে থাকা লোকজন ক্রয়সান্ট বলে থাকে...), হাতে তুললেই ঝুরঝুর করে পড়ে যেতে থাকে। খেতে কি সত্যিই অসাধারণ? পরের বার কলকাতা গেলে খাওয়া যাবে? নামমাহাত্ম্যের কথা জিজ্ঞাসা করলাম আমার ফরাসী ক্যানাডিয়ান কলীগের কাছে। জানা গেল, galette টা গ্যালেট-ই, অর্থাৎ কেক। তার মানে হ্যাদ-টা ফোনে বান্টি ভুল শুনেছে (কানে খোল?), কিন্তু des rois-র উচ্চারণ দে হোয়া (অর্থাৎ অফ দ্য কিংস), কারণ ফরাসীতে r -এর উচ্চারণটা বেশ জটিল, কফ ওঠানোর স্টাইলে হ বলতে হয় নাকি। তারই কাছে প্রথম জেনেছিলাম যে যাকে সারা জীবন হার্কুল পয়রো জেনে এসেছি, সেই ভদ্রলোকের নাম নাকি এহ্ক্যুল পোয়াহো। কি কাণ্ড!
ReplyDeleteএকটা কথোপকথনের কথা মনে পড়ে গেল এই প্রসঙ্গে।
"... Oh, you are so pretentious!"
"Pretentious? Moi?"
আমিও খোওয়াসঁঅ বলি আর সঙ্গের লোকেদের ঠাট্টার শিকার হই। কী অন্যায় বলুন দেখি।
Deleteo amar satheo hoy,apnara eka non..sobai hasahasi kore aar bole ei re eseche,,diggoj babu eseche.sobai bujhe shune kotha bolbi..etyadi etyadi..tobe khowasno uruscharon ta ami jantam na..ami jantam cronsa...croissant ta ekebari jata..paket ei to banglay porishlar lekha theke bauli (ekta company aar ki) cronsa...tao public kemni kore bole croissanttt...ekebare chepe chepe t ta bole
Deleteei hediye uthe haddehowa khojar goppo ta darun hoyeche kuntala di, haste haste pete khil dhore gelo..tobe akta kotha, jinista dekhte kintu besh chena chena moton i lagche...mane pari r dokan na thik, parar dokan mone hoche...
ReplyDeleteএই দেখ, আবার পাড়ার দোকান বলে। তবে তোমার যে লেখাটা ভালো লেগেছে, সেটা জেনে খুবই খুশি হলাম স্বাগতা।
DeleteEtar bhetore ki ekta bean chhilo? Seta ke peyechhilo? Ei cake-er recipe dekhchhilam kichhudin age, tv te. Khub kothin kichhu chhilona Tobe bhadromohila bishal proshongsha korechhilen banate banate.
ReplyDeleteনা গো রুচিরা, আমাদের কেকটায় কিছু ছিলটিল না। যদিও থাকার কথা। হয়তো বড় কেকটায় ছিল, আমরা তো স্যাম্পল ছোট কেক কিনে এনেছিলাম, তাই বোধহ্য় দেয়নি।
DeleteCase to puro jome khir...
ReplyDeletethuri thuri...Case to puro jome 'হ্যাদ্দেহোয়া'... :)
হাহা।
Delete"Hadd ho gayi" er lekhata ta kintu besh
ReplyDeleteআরে থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ বং মম।
Deleteager lekhata Shibram ubach chilo ar ei lekhata te Shibram shoyong tomar opor bhor korechilen mone hocche.....oshadharon hashlam.....Haddahyoaya kheye kotota anondo peyecho bujhte parchi...ami kintu tomar lekha pore darun haddayahoya anondo pelam..ar arekta kotha ami behalar lok .....tumi to jotdur jani adi nibash Rishra.....kon law diye tan ta explain korbe?
ReplyDeleteআর আমি তোমার কমেন্ট পড়ে যে কী খুশি হলাম রণিতা। অনেক ধন্যবাদ।
Deleteআহা মনের টানের কি ল হয় না হতে আছে? আমাদের টান অকারণ, অবান্তর। বেস্ট কাইন্ড অফ টান।
Ei khabar ta special order chara ekhane pawa jabe na! Ar unnashik French bakery banabe at least 4 joner jonne. Ki gero bolo dekhi. Lekha ta, as always, etoi bhalo hoyeche je amader group addae shobai ekhon virtually ei cake khachhe. Darun :)
ReplyDeleteএই রে, তাহলে তো দেশে এসেই খেতে হবে, কী আর করা। লেখাটা ভাল লেগেছে জেনে শান্তি পেলাম।
Deleteeta ekebare HYADDEHOA hoyechhe, mane kirokom HYADDEHOA hoyechhe, seta thik HYADDEHOA kore bojhate parchhi na. bakita HYADDEHOA kore nijei bujhe nin. :) :)
ReplyDeletebtw, HYADDEHOA sobdota likhe mone prane besh ekta HYADDEHOA feeling hochhe :)
হাহা, আরে থ্যাংক ইউ অরিজিৎ।
Deletehya hya, HYADDEHOA :D
ReplyDeleteei rakam ekta goenda galpo porechi,ektu bachcha bayna dhorechilo FONNONG khabe,sei khabar ti je ki keu ante pare na,se ek case..tarpor goenda babu bar koren aadote sei khabar ti ki....uttaar ta bole debo?
ReplyDeleteফন্নংটা আবারকী বস্তু? বলে দিন প্লিজ।
Deletegalpotar lekhak mone nei,bujhle didibhai,galpo ta hochche,ekti baccha moha bayna dhoreche FONNONG khabe,jata bayna,se khaoa dawa cherei diyeche..tarpor galper goenda babu ke daka holo...ta tini eirakam chutko case normally nen na...ta ekti bachcha khaoa dawa chereche dekhe hate nilen case ta...ebong bujhlen je case ta ki...tini dudh,methai,rabri,sob mishiye ekta odbhut khichuri marka khabar order diye baniye bachcha tike khawalen ebong bollen je babu etai holo sei FONNONG...ta case solved..bachcha moha khushi...ebar climax...bachcha ti ekdin rastay ghurte ghurte paurutir gari dekhe...oi je tricycle gulo...mone porche??....ebong mone karo..tate ki ki lekha thake...LOAF,CREAM ROLL,BREAD,CREAM CAKE,PHONE NONG(BANGLA HARAF E PHONE NO).....holo rahasya ta porishkar........ta bachchati bhebechilo etao bujhi notun kono khabar........ami seibhabe rahasya ta jomate parlam na...golpo ta besh chilo...
ReplyDeleteKhub sombhoboto Sukumar Roy er bhai ? Sukumar Roy mara jawar por jini kichudin sondesh chaliyechen ?
Deleteরাজসিক কেক-এর চেয়েও দুর্দমনীয় লেখা। জাস্ট কোনো কথা হবে না।
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, ঋজু। আপনি খুবই দয়ালু পাঠক।
Deleteoffice e boshe boshe hothat ei Hyaddehoah -r kothata mone pore gyalo,r bhabamatrei kaaj....abar pore fellam. share 3 bochhor baade poreo shei prothomabrer moton Hyaddehoah feeling elo. :) :)
ReplyDeleteJoy Hyaddehoah!!
বোঝো। বন্ধু একেই বলে। থ্যাংক ইউ, অরিজিত।
DeleteAmi gotokaal ekdin er jonyo Delhi te chilum. Apnar lekahi onupranito hoye kalke giye L'Opera dekhe esechi. Oboshoi "haddehoya" pawa jai ni -- se ekmatro January te i pawa jai -- kintu onyo onek kichu pawa gache.
ReplyDeleteএটা দারুণ হয়েছে, ঘনাদা।
Delete