ঘুম ভাঙাতে গিয়ে


দিল্লিতে শীতটা এতদিনে বেশ জাঁকিয়ে পড়েছে। বেশ দাঁতে দাঁত ঠেকানো, হাড়ে হাড় কাঁপানো। “অ-অ-অ-টো-ও-ও” হাঁকতে গেলে একেবারে গলা খেলিয়ে ধ্রুপদ গাওয়ানো। আমার অবশ্য খারাপ লাগছে না। মে মাসের বিয়াল্লিশ ডিগ্রিতে ভাজাভাজা হওয়ার থেকে এ ঢের ভালো। পার্কে পার্কে রংবেরঙের ফুল, মাথায় মাথায় রংচঙে টুপি, ঠ্যালাভ্যান ভর্তি টগবগে পেঁয়াজকলি, বৌদির দোকানে সারে সারে আগুনদাম পাটালি আর ঝোলাগুড়।

শীতের দুটোমাত্র বিশ্রী ব্যাপার হল ঘুম থেকে ওঠা আর স্নান করতে যাওয়া। স্নান ব্যাপারটা তবুও একরকম। একসময় মায়ের হাড়ভাঙা পরিশ্রমের জন্যই হবে হয়ত, এখন ব্যাপারটা সিস্টেমের ভেতর ঢুকে গেছে। যেমন করে শ্বাসপ্রশ্বাস নিই, দাঁত মাজি, চুল আঁচড়াই, তেমন করে অফিস যাওয়ার আগে ঝুপঝাপ গায়ে জল ঢালি। বারো মাস, তিনশো পঁয়ষট্টি দিন। ছোটবেলায় মা বলতেন, মানুষ যখন পৃথিবীতে আসছিল তখন নাকি ভগবান পিছু ডেকে চেঁচিয়ে বলেছিলেন, “ও হ্যাঁ বলতে ভুলে গেছি, মনে রেখ, তিনবার স্নান করবে, একবার খাবে।” মানুষের তখন পৃথিবীতে আসার তর সইছিল না, সে “হ্যাঁ রে বাবা, বুঝেছি বুঝেছি” বলে দৌড়ে চলে এসেছে কিন্তু তাড়ার চোটে শুনেছে, “তিনবার খাবে একবার স্নান করবে।”

সেইজন্যই নাকি আমাদের এত রোগবালাই। তিনবার (চা কফি চানাচুর গুনলে অ্যাকচুয়ালি তিরিশবার) খাই আর মেরেকেটে একবার কাকস্নান করি বলে।

যাই হোক স্নান যদি বা হল, ঘুম থেকে ওঠাটা একটা হৃদয়বিদারক ঘটনা। মনকে যে কতরকম করে বোঝাতে হয়, বাবা বাছা বলে মাথায় হাত বোলাতে হয়, গলা মোটা করে বকতে হয়, তবুও সে রাজি হয় না। কেবল বলে, আরে সূর্যটাকে উঠতে দাও আগে? সূর্যের যে এদিকে অফিসে আই-কার্ড পাঞ্চ করার ব্যাপার নেই, তার যখন খুশি উঠলেই চলে, না উঠলেও কারও কিছু বলার নেই, সে কথা কে কাকে বোঝাবে। লেপের ভেতর আধোঘুমে শুয়ে থাকি, মাঝে মাঝে অতিকষ্টে এক চোখের পর্দা আধখানা খুলে জানালার দিকে তাকাই, আলোর ছিটেফোঁটাও দেখা যাচ্ছে না দেখে আবার তাড়াতাড়ি লেপের তাঁবুর ভেতর ঢুকে যাই। এদিকে ঘড়ি ঘোড়ার মতো ছুটতে থাকে। অবশেষে যখন আলো ফোটে, ততক্ষণে রাস্তায় জ্যাম শুরু হয়ে গেছে, অটোর আকাল লেগে গেছে, আর অফিসে কে-আগে-আসতে-পারে নিয়ে যে মহিলার সঙ্গে আমার ঠাণ্ডা লড়াই চলে, তিনি “কেমন দিলাম” চোখমুখ করে ঘোরাঘুরি করছেন।

জঘন্য।

কাজেই আমাকে ব্যবস্থা নিতে হল। আমার হা-সস্তা মোবাইলেও অ্যালার্ম দেওয়ার সুন্দর ব্যবস্থা আছে, কখন বাজবে, কবে কবে বাজবে, প্রথমবার শুনতে না পেলে কতক্ষণ বাদে বাদে আবার বাজবে, সব সেট করা যায়। ভয়ানক অ্যাম্বিশাস হয়ে সপ্তাহে ছ’দিন ভোর পাঁচটায় অ্যালার্ম সেট করলাম। তারপর নিজের সঙ্গে মোবাইলটাকেও লেপের ভেতর নিয়ে রাতে ঘুমোতে গেলাম।

অ্যালার্ম বেজেছিল কিনা কে জানে, প্রথমদিন চোখে আলো পড়ে ঘুম যখন ভাঙল তখন বালিশের তলা থেকে হাতড়ে মোবাইল বার করে দেখি স্ক্রিনের কোণে জ্বলজ্বল করছে ছ’টা তেরো। দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ...সপ্তম দিনেও যখন একই ঘটনা ঘটল তখন আর মায়ের দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া গতি রইল না।

সব শুনে মা আঁতকে উঠলেন। তাঁর মতে সকাল ছ’টার পরে ঘুম থেকে ওঠার থেকে চরম বিশৃঙ্খলার নমুনা আর কিছু হয় না। আমার মোবাইলের অ্যালার্মকে নিমেষে উড়িয়ে দিয়ে বললেন, “ফুঃ তোদের আজকালকার জিনিসে কাজ দেয় নাকি? সে ছিল আমাদের আমলের স্টিলের গোল টেবিলঘড়ি, অ্যালার্ম বাজলে কুম্ভকর্ণের বাবারও ঘুমোনোর জো থাকত না। আর বেশি রাগ হলে ছুঁড়ে মারার জন্যও আদর্শ জিনিস। সত্যিকারের মাল্টিপারপাস, তোদের মোবাইলের মত নয়।”   

সানন্দে রাজি হয়ে গেলাম। কী যে ভুল করেছি টের পেলাম পরদিন সকালে।

যান্ত্রিক শব্দে ঘুম ভাঙা এক ব্যাপার, আর একগাদা ভালো ভালো কথা শুনতে শুনতে ঘুম থেকে ওঠা আরেক। “সোনা শিগগিরি উঠে পড়...প্রাণায়াম কর...গলাটা ধরা ধরা লাগছে গার্গল কর...” মাথায় চাঁটি মেরে যে থামাব, তারও উপায় নেই। শুনতে পাচ্ছি না ভান করে ফোন না তোলার স্ট্র্যাটেজি নিয়েছিলাম, কিন্তু পরপর বারোটা মিসড কল হওয়ার পর ধরতেই হল।

সেই থেকে চলছে। মায়ের উৎসাহে ভাঁটা পড়ার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বিপদ বুঝে শেষ পর্যন্ত আমি আবার যন্ত্রের কাছে ফিরে যাওয়াই সাব্যস্ত করলাম। তবে মোবাইল দিয়ে কাজ হবে না। আজকালকার জিনিসপত্র, মানুষজনের ইনএফিশিয়েন্সি নিয়ে মায়ের পর্যবেক্ষণ ভুল নয়। আমি মিলিয়ে দেখেছি।

আশেপাশের দোকানে খোঁজ করলাম, দোকানিরা দাঁত বার করে বললেন, “ও সব ঘড়ি আজকাল চলে না ম্যাডাম, রোজ দম দেওয়ার সময়ই নেই কারও। তার বদলে মিনিম্যালিস্টিক ডিজাইনের এই কিউট ঘড়িটা দেখুন না, পালকের মতো হালকা, সকালবেলা অ্যালার্ম বাজলে মনে হবে যেন কানের কাছে শ্রেয়া ঘোষাল গান ধরেছেন।” আমি আর ভেঙে বললাম না যে ঘুম ভাঙানোর পক্ষে শ্রেয়া ঘোষালের মিহি লারেলাপ্পার থেকে কেসরবাইয়ের হেঁড়ে গলার তানকারি অনেক বেশি কার্যকরী।

দমলাম না। বাড়ি ফিরে আধঘণ্টাখানেক গুগলের পায়ে ধরে সাধতেই যেমনটি চাইছিলাম তেমনটি বেরিয়ে পড়ল। আধুনিক প্রযুক্তি, ভিন্টেজ লুক। কাজ কেমন করে সে নিয়ে মনে সন্দেহ ছিল, কিন্তু দুর্গা বলে দিলাম অর্ডার করে।

মা দুর্গা হতাশ করেননি। এ রকম বাজখাঁই অ্যালার্ম আমি কেন, আমার মাও সারাজীবনে শুনেছেন কিনা সন্দেহ। বাজলে মনে হয় সাউথ দিল্লির যত দমকলের গাড়ি, একসাথে পাগল হয়ে গিয়ে ঘণ্টা বাজাতে বাজাতে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছে। আওয়াজে ঘুম তো ভাঙেই, ভেঙেই আতঙ্ক হয় যে এই বুঝি বাড়িওয়ালা পাড়াপ্রতিবেশী সবার ঘুম ভেঙে গেল, আর আমার এই পার্ক-ফেসিং বাড়িখানার বাসও ওঠাতে হল। সে আতঙ্কে আর শীতে কাঁপতে কাঁপতে লেপকম্বলের পাহাড়ের তলা থেকে বেরিয়ে যতক্ষণে ঘড়িকে শান্ত করি, ততক্ষণে চোখের ত্রিসীমানায় আর ঘুমের টিকিটি দেখা যায় না।

ঘড়িটার ফ্যান হয়ে গেছি, বুঝলেন। চেনাজানা সবাইকে লিঙ্ক পাঠিয়ে বলেছি, ঘুম তাড়ানোর অব্যর্থ ওষুধ যদি চাও তো পত্রপাঠ কিনে ফেল। তবে সবথেকে খুশি হয়েছি মাকে ভুল প্রমাণ করতে পেরে। কে বলে, একালের জিনিসে সেকালের ধক নেই?




Comments

  1. durdanto !!! ei eki problem amaro. oi bhorer ghuma bhanga-ta baroi dukhyodayok. ghorita jabordast, dekhi ekta jogar kora jai kina.:-)

    ReplyDelete
    Replies
    1. হ্যাঁ হ্যাঁ দেখুন ইচ্ছাডানা। খুব কাজে দেবে। এত বেশি কাজে দেবে যে শেষে আমাকে গালি দেবেন।

      Delete
  2. Ami etodin 'silent' pathika chilam, ebar theke chesta korbo comment korbar. Amar tomar blog khub bhalo lage, roj pori. :) Amar roj ghum bhenge jay thiki, kintu tarpor khub mon kharap hoy, arektu keno ghum holo na bhebe. er ki kono somadhan ache?

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে! ২০১৩র শুরুটা তো দুর্দান্ত হল। নির্বাক থেকে সবাক হওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ টিনা। তুমি কমেন্ট করলে আমার খুব খুব ভালো লাগবে, তবে খুব ঝামেলা মনে হলে না করলেও অসুবিধে নেই, অবান্তর যে পড়ছ, তাতেই আমি খুশি।

      তোমার যা সমস্যা তার সমাধান তো চট করে কিছু দেখতে পাচ্ছি না। কিন্তু একটা সান্ত্বনা নিজেকে দিতে পার। সকাল সকাল উঠলে লোকে বড়লোক হয় বলে না? টাকায় আর জ্ঞানেও? সে কথা ভেবে মনখারাপ কাটানোর চেষ্টা করতে পারো। কাজ দিল কিনা জানিও কিন্তু।

      Delete
  3. ওই তিনবার না'বে আর একবার খাবে'র গল্পটা আমার বাবাকেও বলতে শুনেছি।
    আমার ছোটবেলায় আমাদের বাড়িতে যে অ্যালার্ম ঘড়িটা ছিল, সেটা নাকি আমার বাবা পৈতেতে পেয়েছিল। যেমন তার ওজন, তেমনি তার আওয়াজ। তারপর এক সময়ে জাগতিক নিয়মে সেটা আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে আসতে লাগলো। তখন বাবা আরেকটা অ্যালার্ম ঘড়ি কিনে আনলো। ঘড়িটার নাম Favre-Leuba Jaz, আর সে ঘড়িটার বিশেষত্ব হলো তার ৭ এর জায়গায় একটা লাল রঙের পাখি বসে সেকন্ডের সঙ্গে দোল খায়। সে ঘড়িটা বোধহয় এখনো আছে, চলে কিনা জানিনা। আর ওই পুরনো ঘড়িটাকে খুলে আমি ঘড়ির কলকব্জা কেমন হয় সে সব শিখে ফেললাম, তারপর দেখলাম তেল-টেল দিয়ে মাঝে মধ্যে চালানো যায়।
    আপনার ঘড়িটা ভারী সুন্দর। আমার ওরকম ঘড়ি নেই এখানে, তাই নেহাত সকালে ওঠার দরকার থাকলে একাধিক অ্যালার্ম দিয়ে শুই।

    ReplyDelete
    Replies
    1. দেখেছেন, ছোটবেলা থেকেই আপনার কী রকম ইঞ্জিনিয়ার ইঞ্জিনিয়ার হাবভাব? ঠিক প্রফেশনেই গেছেন। আপনি দেশে ফিরলে যদি দেখা হয়, তাহলে এ রকম ঘড়ি আমি আপনাকে গিফট করব'খন। প্রমিস।

      Delete
  4. আমার এক প্রাক্তন মোবাইলে অ্যালার্ম ছিলো- ঝনঝন শব্দে কাচ ভাঙার আওয়াজ। মেসে থাকতাম, পাশের ঘর থেকে উত্তেজিত মেসমেটরা সুমধুর স্বরে আমার বংশোদ্ধার করতে করতে এসে সেটা বন্ধ করে দিয়ে যেত। ওই আওয়াজে ঘুম ভেঙে প্রথম যে অনুভূতিটা হত, সেটা আতঙ্কের। মনে হত, সারা বাড়ি ভেঙে পড়ছে। এই আওয়াজ পাল্টানোর জন্য আমায় অনুরোধ, উপরোধ এমনকি হুমকিও পেতে হয়েছে। শেষে একঘরে হয়ে যাওয়ার ভয়ে ওটা পাল্টেছিলাম।

    তবে হ্যাঁ, অ্যালার্মের যে বর্ণনা দিলাম, সেটা লোকের মুখেই শোনা। আমার মাথার পাশেই বাজতো, কিন্তু তাতে আমার ঘুম সামান্য পাতলাও হয়নি। ও-ই শেষ। দুনিয়ার কোন অ্যালার্মেই আর ঘুম ভাঙার কোন আশা দেখি না আমি। :(

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে তোমার মোবাইলে তো কাঁচ ভাঙার আওয়াজ, আমি লোকজনের মোবাইলে যা সব শুনেছি সে আর বলার কথা নয়। সেগুলো অবশ্য রিং টোন, অ্যালার্ম নয়। আমার মামাতো ভাই, মামার মোবাইলে এমন রিং টোন সেট করে দিয়েছে যে ফোন আসলেই ভাইয়ের গলায় বাজতে থাকে, "বাবা ফোন এসেছে, বাবা ফোন এসেছে"। বীভৎস ব্যাপার।

      Delete
  5. Swikar kortei hobe je aami chirokali bishrinkal: chotar modhye uthte hole hoy kono sanghatik proyojon thaka chai ... athaba jetlag. Besh kichu bochor saptahe du ekdin amay sakal aat-tay class e pouchote hoto, ebong aami aami sab samayi bhoy petam je kono na konodin ghum theke uthte parbo na! Ekhon sadharanoto serokom kichu thake na. Kintu ekhono ghum theke na uthte parar bhoy amar emoni, je serokom khub sakale kothao jabar bishesh proyojon thakle, aami aager din raate na ghumonor cheshta kori.

    Asole, oi gol alarm ghorio amar ghum bhanganor janya jatheshto noy (ekhon tar theke anek kom ei bhange, kintu chotobelay bhangto na). Sadharanoto amay ma dike diten. kintu ekdin, mamar barite amake niye giye thakar samay alarm bajar aage ma uthe bathroom e jan. Kajei ghare ekmatra aami ghumocchi, Alarme (egulo sei golakar "criiiing criiing" shabda kora Favre louvre ghori) amar to ghum bhange na, tai alarm bejei choleche, ebbong barir anya sokole (janra aaro dure chilen) chintito hoye porechen je era dujone alarm bondho korche na keno, karan ei alarm er modhye keu ghumote pare seta tara keui bhabte paren ni. Sei thekei bodhhoy bhore ghum theke othar cheshta aami kokhonoi kori na, dorkar hole raate kaj kori!

    ReplyDelete
    Replies
    1. হুম আপনিও নিশাচর গোত্রের দেখতে পাচ্ছি আরজিবি। আগের দিন রাতে না ঘুমোনোর স্ট্র্যাটেজিটা আমার অনেক বন্ধুকেও ফলো করতে দেখেছি।

      আপনার মামার বাড়ির লকেদের দুর্দশা আমি কল্পনা করতে পারছি, কারণ হোস্টেলে থাককালীন পাশের চাবি দেওয়া ঘরের ভেতর থেকে রোজ শেষরাতে অ্যালার্মের শব্দ শুনে ঘুম ভাঙার অভিজ্ঞতা আছে আমার। ভয়াবহ।

      Delete
  6. ঘড়ির আওয়াজটা রেকর্ড করে দিলে পারতেন। তবে লুক'টা ফ্যান্টাস্টিক, জোড়া-বিনুনী-ঘড়ি, বেশ একটা অ্যান্টিক-অ্যান্টিক ভাব।

    এন আর আই খেতাব ত্যাগ করলেন?

    ReplyDelete
    Replies
    1. রিলায়েবিলিটির অভাব আমার আছে মানছি অনির্বাণ, কিন্তু তা বলে নামের সঙ্গে সঙ্গে সে অভাবটাকে বয়ে আর বেড়াচ্ছি না।

      ঘড়িটা সবার পছন্দ হয়েছে দেখে আমার সিরিয়াসলি গর্ব হচ্ছে।

      Delete
  7. hahaha ghorita dekhlei bhoy korche....:)) ki sanghatik......bombayte full speed-e pakha cholche ;)
    lekhata khub bhalo hoyeche

    ReplyDelete
    Replies
    1. বম্বে সমুদ্রটমুদ্র দিয়ে দিল্লিকে হারিয়ে দিয়েছে বটে, কিন্তু ঠাণ্ডায় আমরা জিতেছি।

      Delete
  8. ghori ta dekhte anekta "chhoto dushtu meye mathay dukhana binuni with phite bende doure berachhe" r moto.

    ReplyDelete
    Replies
    1. সেই জন্যই আমার বেশি পছন্দ শম্পা। আমি লজ্জাজনক রকম বড় বয়স পর্যন্ত মাথায় দুখানা ঝুঁটি বেঁধে আর ঝুঁটিতে লাল ফিতের ফুল বেঁধে স্কুলে যেতাম। ঘড়িটার ছবি দেখেই নস্ট্যালজিয়া চাগাড় দিয়েছিল, তাই আর কিনতে দেরি করিনি।

      Delete
    2. phite dite jhnuti bandha tow bhalo. aami tow ekhono ratre phite diye tene chul bendhe shute jai...aboshho lokjon er bari gele tara amar ratrer "hairdo" ta dekhe ektu "strange look" je deyna ta noy. jotoshob!!!

      Delete
  9. Tomra baddo lucky! Amar to kothao ektu shabdo holei ghum bhenge jai! Shudhu borer naak tate ektu seasoned hoye gechhi. Amar alarm lage shudhu khub sakale uthte hole, Tao phone-vibrator brrr kora shuru korlei jatheshto!

    ReplyDelete
    Replies
    1. ভালো তো রুচিরা! তোমার মতো হতে পারলে অনেকেই বর্তে যেত বলে আমার বিশ্বাস।

      Delete
    2. Ektuo na! Ekbar ghum bhenge gelo to 3-4 ghantar dhakka!! Actually gota raat ghumono ta amar jeebone baroi birol byapar.

      Delete
    3. ওরে বাবা, অনিদ্রা রোগ! না না আর হিংসে করছি না। ও বড় সাংঘাতিক জিনিস।

      Delete
  10. Abantar ghorir awaj niye kicchu bolchina....dekhte kintu bhishon cute...tomar mishti lekhar moton.

    ReplyDelete
    Replies
    1. রণিতা, ও ঘড়ি দেখতেই মিষ্টি, আওয়াজ শুনলে মনে হবে সাক্ষাৎ শয়তানের অবতার।

      Delete
  11. amar kintu khuub chotobela theke bhore othar obhyes chiloi...ekhon abar amar alarm er kaj kore amar ranna r meye...jaihok bhaloi bapar..sokale uthe baranday ekla dariye thakte amar besh lage..charidik shanto..keu disturb korar nei....nijer kaj karor instruction charai sundor vabe guchiye nite pari....r sobbai jokhon ghum theke uthlo tokhon ami beriye porlam kaje..hehe.

    ReplyDelete
    Replies
    1. এই তো একজন সকালে ওঠা লোক পাওয়া গেছে। হাই ফাইভ রাখী।

      Delete

Post a Comment